নবাবকে শেষ সেলাম
সচিন তেন্ডুলকর: বিশ্ব ক্রিকেটের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে গেল। আমার বেশ কয়েকবার ওঁর সঙ্গে দেখা হওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল। ওঁর মতো এক জন মহানায়কের অভাব ক্রিকেট দুনিয়া সত্যিই টের পাবে। আমি ওঁকে অসম্ভব শ্রদ্ধা করতাম।

সুনীল গাওস্কর: অসম্ভব দুঃখের খবর। মাত্র ক’দিন আগেই আমরা ওঁকে ইংল্যান্ডে পটৌডি ট্রফির পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে দেখেছিলাম। বোঝাই যায়নি যে কোনও রকম অসুস্থতা রয়েছে। যে কারণে মৃত্যুর খবরটা আমার কাছে আরও বড় ধাক্কা। নিজের প্রজন্মের সবচেয়ে ক্যারিশমাটিক ক্রিকেটার। একটা চোখে প্রায় ‘জিরো ভিশন’ সত্ত্বেও ৩০০০ রান আর আধ ডজন সেঞ্চুরি! এতেই বোঝা যায় কত বড় জিনিয়াস ছিলেন। ওঁর অভাব টের পাব। ক্রিকেটের বড় ক্ষতি হয়ে গেল।

ইমরান খান: দুর্ধর্ষ ক্রিকেটার। তাও তো ওঁর একটা চোখ খারাপ ছিল। আমরা যখন সবে ক্রিকেট খেলা শুরু করেছি, তখন খুব শুনতাম পটৌডির কথা। দর্শকদের হৃদয় জিততে জানতেন।

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়: ওঁর মধ্যে একটা অসম্ভব আভিজাত্য ছিল। তেমনই মর্যাদাবোধ। খবরটা শুনে খারাপ লাগছে। ওঁর পরিবারকে সমবেদনা জানাই। ওঁর আত্মা শান্তি পাক।

রাহুল দ্রাবিড়: আমাদের অনুপ্রেরণা ছিলেন। আমরা তো ওঁকে খেলতে দেখিনি, শুধু গল্পই শুনেছি। বিশ্বনাথ, প্রসন্নর মতো সিনিয়রদের কাছে শুনেছি, উনি কী ভাবে ভারতীয় ক্রিকেটকে বদলে দিয়েছিলেন। আমি ভাগ্যবান যে ওঁর সঙ্গে কয়েক বার সাক্ষাৎ হয়েছিল। ক্রিকেট নিয়ে কথা বলার জন্য আদর্শ লোক। ভারতীয় ক্রিকেটকে অন্তর থেকে ভালবাসতেন, দলটার জন্য ভাবতেন।

অনিল কুম্বলে: ক্রিকেটারদের সংগঠনের চেয়ারম্যান হতে এক কথায় রাজি হয়ে গিয়েছিলেন। খবরটায় গোটা দেশ শোকাহত। ইতিহাস বদলানো যায় না। উনি বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্রিকেটারদের তালিকায় থেকে যাবেন।
ভি ভি এস লক্ষ্মণ: উনি রঞ্জি ট্রফিটা হায়দরাবাদের হয়ে খেলতেন, তাই এখানকার মানুষ ওঁকে ভীষণ ভালবাসে। জয়সীমা স্যর সব সময়ে ওঁর কথা বলতেন। বলতেন উনি কী অসম্ভব প্রতিভাবান ক্রিকেটার ছিলেন আর কী অসাধারণ কভার ফিল্ডার।

বিষেণ সিংহ বেদী: আমি এখনও স্তম্ভিত। কী বলব? মৃত্যুকে মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য মর্মান্তিক দিন। অসাধারণ একটা অধ্যায় শেষ হয়ে গেল।

গুন্ডাপ্পা বিশ্বনাথ: সবচেয়ে দুঃখের দিন। কী মনে হচ্ছে সেটা ঠিক ভাষায় বলে বোঝাতে পারব না। যত বড় ক্রিকেটার তত বড় মানুষ। আমি ওঁর ভীষণ কাছের মানুষ ছিলাম। কী করে ভুলব আমার প্রথম টেস্ট ক্যাপ্টেনকে? জীবনের প্রথম টেস্টটা তো ওঁর নেতৃত্বেই খেলেছি।

রবি শাস্ত্রী: ভারতীয় ক্রিকেটে ওঁর অবদান কেউ ভুলবে না। সত্যিকারের প্রিন্স বলতে যা বোঝায়, পটৌডি তাই ছিলেন। উনি ভারতীয়দের মধ্যে প্রথম এই বিশ্বাসটা এনে দেন যে আমরা বিদেশেও জিততে পারি।

কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত: অসাধারণ রসবোধ। মানুষ হিসাবে প্রচণ্ড আকর্ষণীয় আর তেমনি ভাল ব্যবহার। এখন লোকে জন্টি রোডসের কথা বলে। কিন্তু সে আমলে পটৌডি কভারে যে ফিল্ডিংটা করতেন, তাতে কোথায় লাগে রোডসরা!
দিলীপ বেঙ্গসরকর: অসম্ভব সাহসী ক্যাপ্টেন ছিলেন। ভীষণ সৃষ্টিশীল। ভারতের হয়ে বেশ কিছু ম্যাচ জেতায় বড় ভূমিকা ছিল। ভারতীয় ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িত আমরা সবাই ওঁকে মিস করব।

মোহিন্দর অমরনাথ: জীবনের প্রথম টেস্ট ওঁর নেতৃত্বেই খেলি। খুব কম কথা বলতেন কিন্তু বুঝিয়ে দিতেন তোমার কাছে ঠিক কী চাইছেন। মাঠে যেমন নবাব, মাঠের বাইরেও নবাব! খুব কম বয়সে অধিনায়ক হয়েছিলেন বলে অন্যদের থেকে চিন্তাভাবনা ছিল আলাদা।

অমিতাভ বচ্চন (টুইটারে): অসম্ভব দুঃখের খবর। টাইগার পটৌডি চলে গেলেন!




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.