|
|
|
|
বার্তা আইএনটিটিইউসি’র |
কারখানা বন্ধ করে আন্দোলন চলবে না |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন হতেই পারে। কিন্তু কারখানার গেটে তালা ঝোলানো বা উৎপাদন বন্ধ করা যাবে না। এমনই বার্তা দিল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি।
বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর হলে আয়োজিত হয় সংগঠনের জেলা সম্মেলন হয়। মূলত, বেসরকারি মোবাইল সংস্থার বিভিন্ন টাওয়ারের কর্মীরাই সেখানে হাজির ছিলেন। এসেছিলেন সংগঠনের রাজ্য সভানেত্রী দোলা সেন। তিনি সাফ বলেন, “কোথাও কোনও সমস্যা হলে আলোচনার ভিত্তিতে মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। নিজেরা না পারলে জেলা নেতৃত্বকে জানাবেন। জেলা নেতৃত্ব ব্যর্থ হলে রাজ্য নেতৃত্বকে জানাবেন। কিন্তু হঠাৎ করে কাজ বন্ধ বা কারখানা বন্ধ করা চলবে না।”
তবে দল শ্রমিকদের স্বার্থে আন্দোলন করবে। সে জন্য মালিকের সঙ্গে আলোচনাতেও বসবে বলে সম্মেলনে জানানো হয়েছে। আলোচনা কী ভাবে হবে তা-ও জানানো হয় এ দিন। তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায় বলেন, “আগে সিপিএম নেতারা মালিকের সঙ্গে বসে রফা করে নিতেন। আর বাইরে দেখাতেন তাঁরা শ্রমিক-দরদি। এ বার তা হবে না। নেতৃত্বের সঙ্গে শ্রমিকরাও আলোচনায় যোগ নেবেন। শ্রমিকদের এড়িয়ে কিচ্ছু হবে না।” সবার উর্ধ্বে দলের ভাবমূর্তি বজায় রাখার উপরে জোর দেওয়া হয়।
খড়্গপুর শহরকে কেন্দ্র করে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় বেশ কয়েকটি কারখানা রয়েছে। আরও অনেক নতুন কারখানা হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। তবে সর্বত্রই রয়েছে কম-বেশি শ্রমিক অসন্তোষ। বিশেষত, অস্থায়ী শ্রমিকেরা মজুরি বৃদ্ধি-সহ নানা দাবিতে মাঝেমধ্যেই আন্দোলন করেন। এমন আন্দোলনের জেরে রামস্বরূপ কারখানায় লক-আউট পর্যন্ত হয়েছিল। টাটা মেটালিকসে লক-আউটের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এতদিন এই সব কারখানায় সিটু এবং এআইটিইউসি-র আধিপত্য ছিল। রাজ্যে পালাবদলের পরে জোরদার হয়েছে তৃণমূলের সংগঠন। সম্প্রতি এক নেতার বিরুদ্ধে একটি কারখানায় জুলুমবাজির অভিযোগও ওঠে। পরে রাজ্য নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে তা মিটে যায়। তবে আগামী দিনে যাতে এই ধরনের অবাঞ্ছিত পরিস্থিতি তৈরি না হয়, এ দিন কড়া ভাবেই তা জানিয়ে দেন আইএনটিটিইউসি নেতৃত্ব। |
|
|
|
|
|