গোপ কলেজ এসএফআইয়ের |
তিন কলেজে জয়ী সিপি-টিএমসিপি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
আদালতের নির্দেশে স্থগিত হয়ে গেল মেদিনীপুর কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচন। তবে আরও ৪টি কলেজে নির্বাচন হল বৃহস্পতিবার। দু’টিতে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়েছে ছাত্র পরিষদ। একটি কলেজে ছাত্র পরিষদ ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদ জোট এবং একটি কলেজে এসএফআই জয়ী হয়েছে।
রাজ্যে পালাবদলের পর বিভিন্ন কলেজেই কোণঠাসা এসএফআই। প্রভাব বাড়ছে সিপি-টিএমসিপি’র। তবে এসএফআইয়ের বক্তব্য, যদি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোট হয়, তাহলে সর্বত্র ধরাশায়ী হবে টিএমসিপি। উঠেছে ‘সন্ত্রাসে’র অভিযোগও। এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক সৌগত পণ্ডা বলেন, “ধরাশায়ী হবে জেনেই টিএমসিপি মনোনয়ন দিতে দিচ্ছে না। সন্ত্রাস করছে। যে কলেজে লড়াই করার সুযোগ পেয়েছি। সেখানেই সাফল্য এসেছে।” |
|
খড়্গপুর কলেজে উচ্ছ্বাস টিএমসিপির। |
অভিযোগ উড়িয়ে টিএমসিপি-র জেলা সভাপতি লোকেশ করের বক্তব্য, “বামফ্রন্টের আমলে কোনওদিন এসএফআই সমর্থকেরা পুলিশের মার খায়নি। পুলিশ ডেকেও আমরা পেতাম না। এখন পুলিশের উপস্থিতিতে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোট হচ্ছে। মানুষ এসএফআইয়ের সন্ত্রাসকে উপেক্ষা করে আমাদের সমর্থন করছে।” ছাত্র পরিষদ নিজেদের জয় ধরে রাখতে পেরে খুশি। সংগঠনের নেতা মহম্মদ সইফুল্লা বলেন, “ছাত্রছাত্রীরা আমাদের সমর্থন করায় সকলকে ধন্যবাদ।”এ দিন নির্বাচন ছিল সবং কলেজ, হিজলি কলেজ, গোপ কলেজ ও খড়্গপুর কলেজে। সবং কলেজে ৩২টি আসনের মধ্যে ৩১টিতেই জয়ী হয়েছে ছাত্র পরিষদ। মাত্র ১টি আসন পেয়েছে টিএমসিপি। হিজলি কলেজে ২৫টি আসনের মধ্যে ১৩টি পেয়েছে ছাত্র পরিষদ। ১২টি পেয়েছে টিএমসিপি। তবে রাজা নরেন্দ্রলাল খান মহিলা মহাবিদ্যালয়ে (গোপ কলেজ) ৩২টি আসনের মধ্যে এসএফআই পেয়েছে ২১টি আসন। |
|
ছাত্র সংসদ দখলের পরে ছাত্রীরা। |
১১টি আসন পেয়েছে টিএমসিপি। আর খড়্গপুর কলেজের ৬৫টি আসনের মধ্যে এসএফআই পেয়েছে ৩১টি আসন। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ পেয়েছে ১৮টি আসন। ছাত্র পরিষদ ১৪টি ও ডিএসও ২টি আসনে জয়ী হয়েছে।
এ দিন মেদিনীপুর কলেজে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এসএফআইয়ের আবেদনের ভিত্তিতে নির্বাচনে স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। এরপর এসএফআইকে কলেজে আবেদন জানাতে হবে। তার ভিত্তিতে কলেজ কর্তৃপক্ষ পরিচালন সমিতির বৈঠক ডেকে পরবর্তী পদক্ষেপ করবেন বলে অধ্যক্ষ প্রবীর চক্রবর্তী জানিয়েছেন। |
নিজস্ব চিত্র। |
|