|
|
|
|
সেচ দফতরের জমি দখল করে অবৈধ নির্মাণের নালিশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
সেচ দফতরের জমি দখল করে অবৈধ ভাবে বাড়ি তৈরির অভিযোগ উঠেছে পুড়শুড়ার ভাঙ্গামোড়া পঞ্চায়েতের বৈকুণ্ঠপুর গ্রামের এক বাসিন্দার বিরুদ্ধে। সেচ দফতরের পক্ষ থেকে ওই নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৈকুণ্ঠপুরের সামুইপাড়া সংলগ্ন দামোদরের নদীবাঁধ দেখভাল করে সেচ দফতরের হুগলির ‘চাঁপাডাঙ্গা-মুণ্ডেশ্বরী’ বিভাগ। নদীবাঁধের কিছু দূর অন্তর একটি করে ‘দ্বীপ’ তৈরি করা হয়েছে, যাতে বন্যার সময়ে দুর্গতদের সেখানে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা যায়। ওই গ্রামেরই প্রফুল্ল সামুইয়ের বিরুদ্ধে তেমনই একটি ‘দ্বীপ’-এর ৩৮ শতক জমি দখল করে অবৈধ ভাবে বাড়ি তৈরির অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রায় ২৫০ বাসিন্দা সম্প্রতি নিজেদের স্বাক্ষর সংবলিত ওই জমি গ্রামেরই প্রফুল্ল সামুইয়ের বিরুদ্ধে দখলের অভিযোগপত্র পঞ্চায়েত, মহকুমাশাসক, থানা এবং সেচ দফতরের কাছে পাঠিয়েছেন। দিন সাতেক আগে সেচমন্ত্রী মানস ভুইঁয়ার হস্তক্ষেপে দখলি জায়গায় অবৈধ নির্মাণ বন্ধ হয়। কিন্তু জায়গাটি মুক্ত করতে এখনও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। কাছেই পুড়শুড়ার তৃণমূল বিধায়ক পারভেজ রহমানের বাড়ি। গ্রামবাসীদের দাবি, জমি দখলের পিছনে স্থানীয় বিধায়কের মদত রয়েছে। যদিও সে কথা তাঁরা অভিযোগপত্রে জানাননি। ‘চাঁপাডাঙ্গা মুণ্ডেশ্বরী সেচ দফতর’-এর অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার রমেন্দ্র কর্মকার বলেন, “ওই জায়গায় অবৈধ নির্মাণ বন্ধ করা হয়েছে। গোটা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপের কথা জানতে চাওয়া হয়েছে।” হুগলি জেলা সেচ দফতরের নির্বাহী বাস্তুকার প্রদীপ চক্রবর্তী বলেন, “দখলের অভিযোগ পেয়ে আপাতত অবৈধ নির্মাণ বন্ধ করা হয়েছে। বাঁধের পাশে কিছু ব্যক্তি-মালিকানারও জায়গা থাকতে পারে। সমস্ত বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য মাপজোক করা হবে। তার পরেই আমাদের জায়গায় অবৈধ নির্মাণ ভেঙে দেওয়া হবে।” তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বিধায়ক বলেন, “অভিযোগ ভিত্তিহীন। সেচ দফতরের জায়গা সেচ দফতরই দেখছে। কোথাও কোনও প্রভাব খাটানোর প্রশ্ন নেই।”
গ্রামবাসীদের দাবি, জায়গাটি যদি সেচ দফতরের কাজে না লাগে তা হলেও অবিলম্বে দখলমুক্ত করা হোক এবং ওই জায়গা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র বা স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা সামাজিক কোনও প্রকল্পের জন্য ব্যবহার করা হোক। গ্রামবাসীদের পক্ষে স্বরূপ বাইরি, হরমোহন মুখোপাধ্যায় প্রমুখের অভিযোগ, বিধায়ক গ্রামের মানুষ হয়েও জায়গাটি দখলমুক্ত করা তো দূরের কথা, নির্মাণে উৎসাহ জোগাচ্ছিলেন। যাঁর বিরুদ্ধে অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে, সেই প্রফুল্লবাবু বলেন, “আমার বাড়িতে জায়গা কম। সেই কারণে ঘর বানাচ্ছিলাম। ওই জমিটি আমি দীর্ঘদিন ব্যবহার করছি। কিছু মানুষ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে কাজে বাধা দিচ্ছেন।” |
|
|
|
|
|