পুরনো বাড়ির ছাদের পাঁচিল ও বারান্দা ভেঙে একটি মাদ্রাসার চার পড়ুয়া-সহ ছ’জন জখম হয়েছেন। বৃহস্পতিবার, বন্দর এলাকার ওয়াটগঞ্জ রোডে ঘটনাটি ঘটেছে। এলাকাবাসীরা জানান, ওই বাড়িতে শ’খানেক ভাড়াটে পরিবারের হাজার দেড়েক বাসিন্দা থাকেন। রয়েছে কিছু অফিসও। দোতলার একটি মাদ্রাসায় থাকে শ’খানেক পড়ুয়া।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। মেয়র বলেন, “ঘিঞ্জি এলাকায় এমন বাড়িতে প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই অনেকে থাকেন। পুরসভার পক্ষ থেকে বার বার তাঁদের সতর্ক করা হয়।” তিনি জানান, ওই বাড়িটিকে বিপজ্জনক ঘোষণা করা হয়েছিল। এখন সেটির বিপজ্জনক অংশগুলি চিহ্নিত করে ভেঙে দেওয়া হবে। কলকাতা পুলিশের ডিসি (বন্দর) অসিত পাল বলেন, “ঘটনার তদন্ত করবে পুলিশ।” |
রাস্তায় পড়ে রয়েছে ভেঙে পড়া পাঁচিলের অংশ। ওয়াটগঞ্জে বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র |
এ দিনের ঘটনায় আতঙ্কিত মাদ্রাসার পড়ুয়ারা। বছর বারো-চোদ্দোর মহম্মদ শাহিদ আখতার, মহম্মদ সিদ্দিকি, শাহনওয়াজ আলমরা বলে, “জলখাবার খাচ্ছিলাম। হঠাৎ প্রচণ্ড শব্দ। ছাদের পাঁচিলটা হুড়মুড়িয়ে দোতলার বারান্দার উপর পড়ল। বারান্দাও ভেঙে পড়ল নীচে।” কয়েক জন সহপাঠী ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়েছে দেখে চিৎকার শুরু করে বাকিরা। ভয়ে কান্নাকাটি জুড়ে দেয় অনেকে।
বাসিন্দারা জানান, ৬০-৭০ বছরের পুরনো ওই বাড়িতে বহু দিন মেরামতি হয়নি। আগেও কয়েক বার দুর্ঘটনা ঘটেছে। ভাড়াটেদের বক্তব্য, দিন চারেক আগের ভূমিকম্প, একটানা বৃষ্টিতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। |