পথচারীদের আতঙ্ক জীর্ণ জোড়া বাড়ি |
ক্রিক রো হয়ে রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারের সামনের রাস্তা দিয়ে চলার সময় বুক কাঁপতে থাকে পথচারীদের। শুধু পথচারী নয়, ক্রিক রো-র মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা সারি সারি গাড়ির যাত্রীরাও থাকেন আতঙ্কের মধ্যে। কে জানে, কখন মাথার উপরে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়বে দু’ধারের দু’টি মান্ধাতার আমলের ভাঙাচোরা বাড়ি। এক দিকের জীর্ণ বাড়িটি ১৮৮৩ সালে তৈরি রাজা সুবোধ মল্লিকের। অন্যটিরও বয়স প্রায় একই। পুরসভা ওই দু’টি বাড়ির সামনে ‘সাবধান, বিপজ্জনক’ বিজ্ঞপ্তি লাগিয়েই দায় সেরেছে। কিন্তু সাবধান হওয়ার উপায় কোথায়? ক্রিক রো দিয়ে ধর্মতলার দিকে আসার প্রধান রাস্তাই তো ওই বাড়ি দু’টির গা দিয়ে! |
মৃত্যুফাঁদ: ক্রিক রো-র সেই বিপজ্জনক বাড়ি দু’টি। দেশকল্যাণ চৌধুরীর তোলা ছবি। |
পুরসভা সূত্রের খবর, রাজা সুবোধ মল্লিকের ওই তেতলা বাড়িটি আপাতত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে। কিন্তু আইনি ঝামেলায় তারাও রক্ষণাবেক্ষণের অধিকার পায়নি। বাড়িটি তাই কার্যত বেওয়ারিশ। বর্ষায় চূড়ান্ত খারাপ অবস্থা ওই ‘হেরিটেজ’ ভবনের। উপরের অংশ খসে পড়ছে প্রতিনিয়ত। দেওয়াল জুড়ে বেড়ে উঠেছে গাছ। নড়বড় করছে কড়িবরগা। অন্য বাড়িটি বছর দশেক আগে এক বার ভেঙে পড়েছিল। তাতে জখম হয় একটি শিশু। ওই বাড়ি নিয়েও মামলা চলছে। পথচারীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে পুরসভা কি বাড়ি দু’টি সংস্কার করবে? মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের জবাব, “শহরে এই ধরনের বাড়ি রয়েছে শতাধিক। বাড়িগুলির সংস্কারের জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, পুরসভা তা খতিয়ে দেখছে।” |