ছররা গুলি ছুটে গিয়ে জখম দুই |
ব্যাঙ্কের টাকাভর্তি ট্রাঙ্ক নিয়ে বেরোচ্ছিলেন বন্দুকধারী রক্ষী। গাড়িতে ওঠার সময়ে অটোর ধাক্কায় পড়ে যান তিনি। কাঁধের বন্দুকও ছিটকে পড়ে রাস্তায়। সেই বন্দুক থেকে ছররা গুলি ছুটে জখম হলেন দুই যুবক। এমনটাই দাবি করেছেন সমীর রায় (৫০) নামে ওই রক্ষী। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ উত্তর কলকাতার গৌরীবাড়ি লেনের কাছে দীনেন্দ্র স্ট্রিটের ঘটনা। ওই রক্ষীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, যাঁদের পায়ে গুলি লাগে, তাঁদের মধ্যে শঙ্কর দাস (১৮) পেশায় গাড়িচালক। অন্য জন গাড়ির মিস্ত্রি অমিত দাস (৩৩)। শঙ্কর আর জি করে ভর্তি। অমিত ভর্তি এক নার্সিংহোমে। তবে তাঁদের আঘাত গুরুতর নয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, উল্টোডাঙার বাসিন্দা শঙ্কর ছোট ট্রাক চালান। গাড়ি খারাপ হওয়ায় তিনি অমিতকে নিয়ে এ দিন দীনেন্দ্র স্ট্রিটের একটি গ্যারাজে যান। অমিতের বাড়িও উল্টোডাঙায়। ফুটপাথের ধারে গাড়ি রেখে অন্য এক মিস্ত্রির সাহায্যে সারানোর কাজ চলছিল। দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ ওই ফুটপাথেরই কিছুটা দূরে ব্যাঙ্ক থেকে টাকার ট্রাঙ্ক নিয়ে জিপে উঠতে যাচ্ছিলেন ব্যাঙ্কের দুই নিরাপত্তারক্ষী।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, জিপে আগে ওঠেন নিরাপত্তারক্ষী নিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। পিছনে ছিলেন সমীরবাবু। সেই মুহূর্তে একটি অটো তাঁকে ধাক্কা মারে। রাস্তায় পড়ে যান সমীরবাবু। কাঁধের বন্দুকটি রাস্তায় ছিটকে পড়লে ছররা গুলি বেরিয়ে লাগে শঙ্কর ও অমিতের পায়ে।
হাসপাতালে শঙ্কর এ দিন বলেন, “অমিতদা গাড়ির তলায় শুয়ে সারাচ্ছিলেন। আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম। এক সময়ে উঠে দাঁড়িয়ে অমিতদা বললেন, ইঞ্জিন স্টার্ট করে দেখতে। তখনই কী একটা ফাটল আর আমার বাঁ পায়ের পিছনে কিছু একটা ঢুকে গেল। গলগল করে রক্ত বেরোচ্ছিল। দেখি, অমিতদার পা থেকেও রক্ত বেরোচ্ছে।”
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, অন্য এক গ্যারাজের মিস্ত্রি সুজিত কর্মকার বলেন, “আওয়াজ পেয়েই দেখি, এক নিরাপত্তারক্ষী হামাগুড়ি দিয়ে রাস্তা থেকে বন্দুক তুলতে যাচ্ছেন। আমি কাছে যেতেই তিনি বললেন, অটো ধাক্কা মেরে চলে গেল। বন্দুক পড়ে গিয়ে গুলি ছুটেছে।” পুলিশ জানায়, শ্যামনগরের বাসিন্দা সমীরবাবু অবসরপ্রাপ্ত ফৌজি। এখন বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থায় কাজ করেন। তাঁর বন্দুক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সমীরবাবুর কর্তব্যে গাফিলতিতেই এই কাণ্ড বলে মনে করছে পুলিশ। |