তাঁর সম্মতি ছিল না। তা সত্ত্বেও প্রকাশিত হল উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের স্মৃতিকথা।
বইটির নাম, ‘জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ: দি আনঅথরাইজড অটোবায়োগ্রাফি’। কিন্তু তাঁর সম্মতির পরোয়া না করেই বইটি ছাপা হল কেন, তা নিয়ে ক্ষুব্ধ উইকি-কর্তা। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “এটা বেআইনি প্রকাশনা। টাকা রোজগারের চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়। অত্যন্ত সুবিধেবাদী এবং অসৎ কাজের পরিচয়।” সংবাদসংস্থা এপি-কে অ্যাসাঞ্জ বলেন, “চুক্তি, বিশ্বাস, আস্থা সবই ভঙ্গ করেছেন প্রকাশক। আমার সৃষ্টির অধিকারও ভঙ্গ করা হয়েছে।” |
ক্যাননগেটের কথায়, “জুন মাসের ৭ তারিখ বিশ্বের ৩৮টি প্রকাশনা সংস্থার (যারা অ্যাসাঞ্জের বই প্রকাশ করতে চেয়েছিল) সামনে অ্যাসাঞ্জ বলেন, তিনি চুক্তি বাতিল করতে চান। কিন্তু তার আগেই অগ্রিম অর্থ নিয়ে ফেলেছেন তিনি। আইনি লড়াইয়ের জন্য সরাসরি তাঁর আইনজীবীদের হাতেই অর্থ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই চুক্তি অনুযায়ী আমরা বইটি ছেপেছি।” প্রকাশকের দাবি, অ্যাসাঞ্জ যেহেতু অগ্রিম অর্থ ফেরত দেননি, তাই চুক্তিও ভঙ্গ করা হয়নি।
অস্ট্রেলিয়ায় অ্যাসাঞ্জের জীবনের প্রথম দিককার দিনগুলো থেকে শুরু করে তাঁর কম্পিউটারের নেশা এবং উইকিলিকস-এর প্রতিষ্ঠা সবই ধরা পড়েছে এই বইয়ে। রয়েছে সুইডেনে ধর্ষণ-বিতর্ক নিয়ে অ্যাসাঞ্জের মন্তব্যও। তাঁর দাবি, ওই দুই মহিলাকে যৌন হেনস্থা করেননি তিনি। যা হয়েছে, পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতেই হয়েছে। |