বাম অনুগত অফিসারেরা উন্নয়নের বাধা |
রাজ্য প্রশাসনের বেশ কিছু পুরনো অফিসার কাজে ‘অনীহা’ দেখানোয় মন্ত্রীরা যথেষ্ট কাজ করতে পারছেন না, অভিযোগ সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়ার। বৃহস্পতিবার বর্ধমানের আদালত চত্বরে এক সভায় মানসবাবু বলেন, “রাজ্যে সরকারের বদল ঘটেছে। কিন্তু প্রশাসনের আধিকারিকদের বদল ঘটেনি। অনেকে এখনও সিপিএমের হয়েই কাজ করছেন। ফলে আমাদের পক্ষে কাজে অসুবিধা হচ্ছে।” তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বারবার বিষয়টি জানানো হয়েছে। আমূল ‘প্রশাসনিক সংস্কার’ চেয়ে বেশ কয়েক বার চিঠিও দেওয়া হয়। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। সেচমন্ত্রীর খেদ, “এই প্রশাসনই ২৩ বছর জ্যোতি বসুর সেবা করেছে। শেষ ১০ বছর বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের পদসেবা করেছে। প্রতি পাঁচ জন পুলিশের তিন জন এখনও সিপিএমের অনুগত।” তাঁর মতে, “এত দিন ধরে জমে ওঠা প্রশাসনিক আবর্জনা ঝাঁট দিয়ে সাফ করতে হবে।” এই পরিস্থিতিতে যে উন্নয়ন বাধা পাচ্ছে, মানসবাবু তা-ও বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। তাঁর মতে, “মানুষ উন্নয়ন চেয়ে জোট সরকারকে ক্ষমতায় এনেছেন। কিন্তু প্রশাসনিক গাফিলতির কারণেই এই সরকারের আমলেও ১০০ দিনের প্রকল্পে গতি আনা সম্ভব হয়নি।” তাঁর সংযোজন, “আমরা মন্ত্রিসভায় সংখ্যালঘু। কিন্তু কারও চোখরাঙানি সহ্য করব না। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত যেন আমাদের গুরুত্ব দিয়েই নেওয়া হয়। আমাদের স্বাধীন ভাবে কাজ করতে দেওয়া হোক।” সভায় উপস্থিত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যের হুঁশিয়ারি, “উন্নয়নের কাজে যদি রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত ঠিক না হয়, তার বিরোধিতা করব। এ রাজ্যে কংগ্রেসের হারানোর কিছু নেই। আমরা জোটে আছি, থাকব। কিন্তু কংগ্রেস একাই চলতে অভ্যস্ত। বহু দিন একাই চলেছে।” বলেই সুর করে তিনি গেয়ে ওঠেন, “যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলো রে।” তৃণমূলের একাংশের প্রতি কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের আক্রমণের অভিযোগও ফের তুলেছেন প্রদীপবাবু। তাঁর কথায়, “এখনও অনেক জায়গায় এ রকম আক্রমণ হচ্ছে। আমি আগেও এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছি। ফের ওঁর সঙ্গে দেখা করব।”
|
কারখানায় বেতন মেলেনি, বিক্ষোভ |
অগস্ট মাসের বেতন এখনও মেলেনি। প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার কাঁকসার বামুনাড়ায় একটি বেসরকারি ইস্পাত কারখানায় বিক্ষোভ দেখান কারখানার কর্মী ও ঠিকাকর্মীরা। ফলে কারখানার উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এ দিন বিকেলে কর্তৃপক্ষ কর্মীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। দ্রুত কর্মীদের বেতন মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস মেলার পরে বিক্ষোভ ওঠে। কর্মীদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ কারখানাটি বন্ধ করে দেওয়ার জন্যই কর্মীদের বেতন নিয়ে টালবাহানা করছেন। কারখানা কর্তৃপক্ষ অবশ্য এই অভিযোগ মানতে চাননি।
|
এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে কাটোয়া শহর সংলগ্ন মণ্ডলহাট ঘোষপাড়ার কাছে তাঁর দেহ মেলে। মৃতের আনুমানিক বয়স ৩৫ বছর। পাশে পড়েছিল সব্জির ব্যাগ। পুলিশের অনুমান, সব্জি চুরি করতে গিয়ে পাহারাদারদের মারে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
|