কলাপাতায় ভেসে যাবে দেবীর নাম
নিজস্ব চিত্র।
পরিবারের সদস্যেরা জানান, ছয় পুরুষ ধরে পুজো চলছে। প্রথমে পদবি দে থাকলেও পরে চৌধুরী উপাধি মেলে পরিবারের। একচালার এই প্রতিমা আগে পুজো হত তালপাতার ছাউনিতে। প্রায় দু’শো বছর আগে শ্রীনাথ দে চৌধুরী মন্দির তৈরি করেন। বর্তমানে তিন শরিক পালা করে পুজোর আয়োজন করেন। পুজো হয় বৈষ্ণব মতে। ষষ্ঠীর দিন বাড়ির বধূরা পান-সুপারি দেন গ্রামবাসীকে। রীতি অনুযায়ী সপ্তমীর সকালে কুলদেবতা শ্রীধর ও ধান দিয়ে তৈরি দেবী লক্ষ্মীকে আনা হয় মণ্ডপে। দশমীর রাতে পরিবারের সদস্যদের মতো গ্রামবাসীও শুদ্ধাচারে কলাপাতায় লেখেন দেবীর নাম। তা ভাসিয়ে দেওয়া হয় জলে।
এক সময়ে এই পুজোর জন্য প্রচুর ভূসম্পত্তি বরাদ্দ ছিল। পরিবারের সদস্য রামকৃষ্ণহরি দে জানান, এখন পুকুর ও আমবাগানের আয়েই পুজো হয়। তবে তাতেও সঙ্কটে পড়লে নিজেদের চাঁদা দিতে হয়। বাড়ির বধূ করবী দে জানান, এক সময়ে যাত্রা, থিয়েটার, পালাগানের আসর বসত। দোতলায় পর্দার আড়াল থেকে মহিলারা দেখতেন। এখন আর সে সব হয় না।” আগে বাড়িতে আদিবাসী নৃত্যেরও আয়োজন হত। তা-ও এখন বন্ধ, জানালেন কাঞ্চনলতা দে চৌধুরী। কৌলিন্য হয়তো কমেছে, তবু দে বাড়ির পুজোর জন্যই গ্রামবাসী এখনও অপেক্ষা করেন সারা বছর। গ্রামের কালীপদ বৈরাগ্যের কথায়, “দে বাড়ির ঢাকের আওয়াজ শোনার অপেক্ষাতেই থাকি সবাই।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.