|
|
|
|

পুজো সংক্ষেপে |
|
• দশমীতে কবি গানের আসর বসবে ময়নাগুড়ির দক্ষিণ ভূস্কারডাঙা সরকার পাড়ার পুজো মণ্ডপে। স্থানীয় চাষি পরিবারের সদস্যরা গত বছর থেকে ওই পুজোর আয়োজন করছেন। বাহ্যিক আড়ম্বর নয়। সরকারপাড়ার পুজোর প্রধান আকর্ষণ গ্রামীণ পরিবেশ। পুজোর অন্য দিনগুলিতে থাকবে রকমারি প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠান। উদ্যোক্তারা গ্রামের বাইরে চাঁদা আদায় করেন না। পুজো কমিটির কর্তা শিরেন রায় বলেন, “বাসিন্দারা স্বেচ্ছায় যতটুকু সাহায্য করেন তা দিয়ে পুজো হয়। তাই জমকের কথা ভাবি না।”
• মহাঅষ্টমীতে মহাভোজের আসর বসবে রায়গঞ্জের বিধাননগর বারোয়ারি দুর্গোৎসব কমিটির পুজো মণ্ডপে। ওই দিন বাসিন্দাদের ফ্রায়েড রাইস, পোলাও খাওয়াতে উদ্যোগী পুজো কমিটি। মহানবমীতে প্রতিবন্ধী ও গরিব পড়ুয়াদের তুলে দেওয়া হবে নতুন জামা এবং বইখাতা। পুজো ৫৮ বছরে পা রাখছে। অজন্তার আদলে প্রতিমা এবং ধ্বংসাবশেষের আদলে মণ্ডপ গড়ছেন স্থানীয় শিল্পীরা।
• জাপানের ভূমিকম্পের দৃশ্য দেখা যাবে রায়গঞ্জের ভারত সেবক সমাজের পুজো মণ্ডপে। আলো ও বিভিন্ন মডেলের সাহায্যে ওই ঘটনা ফুটিয়ে তুলবেন রাজ্যের বিভিন্ন জেলার শিল্পীরা। বাঁশ, কাঠ ও থার্মোকলের সাহায্যে এখানে শিব মন্দিরের আদলে মণ্ডপ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। প্রতিমা সাবেকি। থাকছে চন্দননগরের আলোকসজ্জা। ক্লাবের সদস্য মনা পাল বলেন, “পুজোর চার দিন বাসিন্দাদের খিচুড়ি খাওয়ানোর পরিকল্পনা হয়েছে।”
• রবিবার ভূমিকম্পের পর থেকে বিকেল হতেই বাজার ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টির জন্য দিনেও বাজার জমছে না। পুজোর মুখে ওই ঘটনায় মাথায় হাত ময়নাগুড়ির ব্যবসায়ীদের। ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষে স্বপন দত্ত বলেন, “কয়েক দিন পরে পুজো। পাটের দাম না-থাকায় এমনিতেই কেনাকাটা কম। যতটুকু শুরু হয়েছিল রবিবার ভূমিকম্পের পর থেকে প্রায় বন্ধের মুখে।”
• বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের মডেল দিয়ে পুজো মণ্ডপ সেজে উঠছে রায়গঞ্জের প্রতিবাদ ক্লাবে। বাঁশ, কাঠ ও থার্মোকলের তৈরি বিরাট মণ্ডপের গায়ে বাদ্যযন্ত্রের ওই মডেল দেখা যাবে। থাকবে নটরাজের মূর্তির আদলে দেবী প্রতিমা। চন্দননগরের আলোকসজ্জা। ক্লাবের সদস্য জয়ন্ত রায়চৌধুরী বলেন, “পুজোর দিনে এলাকার গরিব বাসিন্দাদের হাতে নতুন জামা তুলে দেওয়া হবে।”
• বাঁশের তৈরি মণ্ডপ দেখা যাবে রায়গঞ্জের দেহশ্রী ক্লাবের পুজোয়। ওই পুজো এ বার ৫৫ বছরে পড়বে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলার কারুশিল্পীরা বাঁশের নক্সা তৈরির কাজ শুরু করেছেন। প্রতিমা কুমোরটুলির সাবেকি ধাঁচের। পুজো কমিটির সদস্য প্রাণেশ সরকার বলেন, “বাঁশ শিল্প সম্পর্কে আগ্রহ ও সচেতনা বাড়াতে এ বার অভিনব মণ্ডপের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।”
• থার্মোকলের বিরাট মণ্ডপ গড়ে চমক দিতে চলেছে রায়গঞ্জের অনুশীলনী ক্লাব। চল্লিশ বছরের পুরনো ওই পুজোর প্রতিমা একচালার সাবেকি ধাঁচের। মণ্ডপ ছাড়াও এখানে মন মাতাবে চন্দননগরের আলোর খেলা ক্লাবের সদস্য। বিশ্বজিৎ বসু বলেন, “মহানবমীতে এলাকার বাসিন্দাদের খিচুড়ি খাওয়ানো হবে।” |
|
|
 |
|
|