ছাত্রছাত্রী: ১৯৮০ জন।
শিক্ষক-শিক্ষিকা: ৩৬ জন
পার্শ্বশিক্ষক: ৭
শিক্ষাকর্মী: ২ জন।
২০১১ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় মোট ছাত্র-ছাত্রী: ১৭৯ জন।
উত্তীর্ণ হয় ১৭৭ জন।
২০১১ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় মোট ছাত্র-ছাত্রী
ছিল ১৫৭ জন। উত্তীর্ণ হয় ১৪২ জন।
১৯৪৪ সালের ৩ জানুয়ারি, হাওড়া জেলার প্রত্যন্ত গ্রাম শ্যামপুরের অনন্তপুরে তৈরি হল অনন্তপুর সিদ্ধেশ্বরী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের। এলাকার তৎকালীন বিদ্যানুরাগী বিশিষ্ট ব্যক্তিরা গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিয়ে এখানে একটি স্কুল গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিলেন। তাঁদের দূরদৃষ্টি যে কতটা বিস্তৃত ছিল, তার প্রমাণ আমরা পাই স্কুলের বর্তমান কলেবর দেখলে।
স্কুলের এই উন্নতিতে এক দিকে যেমন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ভূমিকা রয়েছে, অন্য দিকে গ্রামবাসী, অভিভাবক, পরিচালন সমিতির সদস্য এমনকী প্রাক্তন পড়ুয়ার আন্তরিকতাও কম নয়। এ ছাড়াও রয়েছেন ছাত্র-ছাত্রীদের বন্ধু-সম অশিক্ষক কর্মীরা। সব মহলের এই মেলবন্ধনই স্কুলটিকে দিয়েছে একটি অন্য মাত্রা।
ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষার ফলাফলের দিকে নজর রাখলেই স্কুলের গুণগত উৎকর্ষের দিকটি বুঝতে অসুবিধা হয় না। প্রতি বছর মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় আমাদের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের পাশের গড় হার ৯৫ থেকে ১০০ শতাংশ। গ্রামের একটা স্কুলের ক্ষেত্রে এটা কম কথা নয়। শুধু পড়াশোনা নয়, খেলাধূলা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডেও ছাত্র-ছাত্রীরা যোগ দেয়। নিয়ম করে প্রকাশিত হয় স্কুলের বাৎসরিক পত্রিকা।
তবে, শিক্ষার্থীর তুলনায় শ্রেণিকক্ষ কম। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য নেই কোনও কমনরুম। খেলার মাঠের সংস্কার দরকার। পানীয় জল এবং শৌচাগার প্রয়োজনের তূলনায় অপ্রতুল। নেই কোনও গ্রন্থাগারিক। বিজ্ঞান বিভাগের জন্য প্রয়োজন ল্যাবরেটরি। একটি সভাকক্ষ বা প্রার্থনা-ঘর দরকার।
আমার চোখে
সুপর্ণকান্তি পাড়ই দশম শ্রেণিতে প্রথম
সুবজ গাছগাছালিতে ঘেরা আমাদের স্কুলের মাঠটি প্রতিদিন শিক্ষার্থীদের কলতানে মুখর হয়ে ওঠে। আমাদের স্কুলের অপেক্ষাকৃত নবীন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উদ্ধাবনী চিন্তাধারার সঙ্গে মেলবন্ধন ঘটে প্রবীণ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অভিজ্ঞতা। এর ফলে সমৃদ্ধ হই আমরা ছাত্র-ছাত্রীরা। এ কথা মানতেই হবে প্রবীণ শিক্ষক শিক্ষিকাদের ভাবমূর্তি কঠোরতার মোড়কে ঢাকা থাকলেও ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি অপার স্নেহ এবং ভালোবাসা তাঁরা আড়াল করতে পারেন না। এটা আমরা উপভোগ করি। সব কিছু মিলিয়ে এই স্কুল আমাদের কাছে গর্ব এটা স্বীকার করতে কোনও দ্বিধা নেই।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website
may be copied or reproduced without permission.