জঙ্গি-দমনের হাল দেখতে স্বরাষ্ট্রসচিব |
ঝাড়খণ্ডে মাওবাদী-অধ্যুষিত জেলাগুলির হাল-হকিকত ও মাওবাদী-দমন অভিযানের পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে দু’দিনের সফরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব রাজকুমার সিংহ। রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতর সূত্রে এ খবর জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার ২২ সেপ্টেম্বর থেকে স্বরাষ্ট্র সচিবের সফর শুরু হচ্ছে। রাঁচি ছাড়াও স্বরাষ্ট্রসচিবের চাইবাসা ও হাজারিবাগ জেলায় যাওয়ার কথা। এর পরে তিনি বিহারের গয়া ও পটনায় যাবেন বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে রাজ্যকে জানানো হয়েছে। রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের যুগ্ম সচিব সদানন্দ সহায় বলেন, “কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব রাজ্যে মাওবাদী-প্রভাবিত জেলাগুলোয় উন্নয়ন পরিকাঠামো গড়ে তুলতে সার্বিক প্রকল্প বা কেন্দ্রের ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকশন প্ল্যান নিয়ে বিভাগীয় কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন।” ঝাড়খণ্ডের ২৪টির মধ্যে ১৪টি জেলাই মাওবাদী-অধ্যূষিত বলে চিহ্নিত। কেন্দ্রীয় প্রকল্প অনুযায়ী, গত আর্থিক বছরে এক-একটি জেলাকে ২৫ কোটি টাকা করে কেন্দ্র দিয়েছিল। কিন্তু ওই তহবিলের ৪৫ শতাংশের বেশি ঝাড়খণ্ড সরকার খরচ করতে পারেনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবের উপস্থিতিতে এই বিষয়টি নিয়েও রাজ্য সরকারের কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সরকারি সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় কর্তা রাঁচিতে ঝাড়খণ্ডের মাওবাদী-দমনের বিশেষ বাহিনী, জাগুয়ারের সদর দফতরে যাবেন। এর পরে চাইবাসায় গিয়ে সিআরপি ও কোবরা ব্যাটালিয়নের আধিকারিক ও জওয়ানদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সারান্ডায় সদ্য শেষ হওয়া বর্ষাকালীন অভিযানের বিষয়েও তিনি খোঁজ-খবর নেবেন। পরের দিন, ২৩ সেপ্টেম্বর হাজারিবাগের বারিতে সিআরপি-র শিবিরে যাবেন স্বরাষ্ট্রসচিব। হাজারিবাগ থেকে বিহারের গয়া হয়ে তাঁর পটনা যাওয়ার কথা।
|
চিদম্বরমের বিরুদ্ধে সিবিআই নয় |
টু-জি স্পেকট্রাম মামলায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরমের বিরুদ্ধে তদন্তের আর্জি খারিজের পক্ষে আজ সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করল সিবিআই ও কেন্দ্র। এই মামলায় চিদম্বরমের নাম অভিযুক্তের তালিকায় যুক্ত করতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন জনতা পার্টির নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। তাঁর বক্তব্য, ২০০৮ সালে টু-জি স্পেকট্রামের দাম স্থির করেন প্রাক্তন টেলিকম মন্ত্রী এ রাজা ও তৎকালীন অর্থমন্ত্রী চিদম্বরম। তবে সিবিআইয়ের আইনজীবী কে কে বেণুগোপাল বলেন, “সুব্রহ্মণ্যম স্বামী দায়রা আদালতে একই আবেদন পেশ করেছেন। টু-জি মামলার তদন্ত শেষ হয়ে গিয়েছে। অন্য কারও নাম অভিযুক্তের তালিকায় যোগ করা যায় কি না সেই বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেবে দায়রা আদালতই।” প্রায় একই সুরে সওয়াল করেছেন কেন্দ্রের আইনজীবী পি পি রাও-ও। তবে স্বামীর আবেদন খারিজ করতে রাজি হয়নি সুপ্রিম কোর্ট। শুনানি আগামিকাল পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়েছে।
|
বাংলাদেশ সফরে না যাওয়ার জন্য এ বারে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন বিজেপি নেতা অরুণ জেটলি। আজ উত্তর-পূর্বের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে একটি সভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে জেটলি বলেন, মনমোহন সিংহ সরকারের অন্তর্দ্বন্দ্বের জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে গেলেন না। তিস্তা চুক্তি নিয়ে আপত্তির জন্যই সফর বাতিল করেছেন মমতা। কিন্তু পাল্টা হিসাবে বাংলাদেশও ট্রানজিট সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি ঝুলিয়ে দিল। উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিকে তার খেসারত দিতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ সফরের আগে মমতাকে অন্ধকারে রেখে মনমোহন সরকার যে ভাবে তিস্তা চুক্তি নিয়ে এগোতে চেয়েছিল, তার সমালোচনা আগেই করেছেন জেটলি ও সুষমা স্বরাজের মতো বিজেপির শীর্ষ নেতারা। সেই সময়ে মমতার প্রতি সহানুভূতি রেখেই মনমোহন সিংহকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু এখন বিজেপি নেতৃত্ব বুঝতে পারছেন, মমতার আপত্তিতে তিস্তা চুক্তি না হওয়ায় ট্রানজিট পাওয়াও আটকে গিয়েছে। তাই আক্রমণের নিশানায় নিয়ে এলেন মমতাকেও। বিজেপির এক শীর্ষ নেতার মতে, “ট্রানজিট সুবিধা পেলে দেশের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির যোগাযোগ আরও সুগম হত। এ ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু মমতা ঢাকা না যাওয়ায় এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হল ভারত।”
|
সুষমার দাবি উড়িয়েও ওমরের কোপে মেহবুবা |
নরেন্দ্র মোদীকে প্রশংসা করা নিয়ে পিডিপি সভানেত্রী মেহবুবা মুফতি ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার মধ্যে কাজিয়া বেধে গেল। পিডিপি সভানেত্রী মেহবুবা মুফতি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করেছেন বলে গত কাল মন্তব্য করেছিলেন বিজেপি নেত্রী সুষমা স্বরাজ। সুষমার বক্তব্যের পরই মেহবুবার বিরুদ্ধে আজ মুখ খুলেছেন কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাও। টুইটারে ওমর লিখেছেন, “মেহবুবা যে মোদীর প্রশংসা করেছেন এতে আমি এতটুকুও বিস্মিত হইনি। উনি চাইলে কারও প্রশংসা করতেই পারেন। কিন্তু যাঁরা ওঁর বক্তব্য শুনেছেন, তাঁদের উপর উনি চটছেন কেন বুঝতে পারছি না। সুষমা স্বরাজকে মিথ্যাবাদী না বলে মেহবুবা বরং মেনে নিলে পারতেন যে তিনি মোদীর প্রশংসা করেছেন।” মেহবুবা অবশ্য সুষমার অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, দিল্লিতে জাতীয় সম্প্রীতির বৈঠকে কথাটি তিনি ভিন্ন একটি প্রসঙ্গে বলেছিলেন। প্রসঙ্গের উল্লেখ ছাড়া আলাদা ভাবে কথাটি ধরলে ভুল বোঝা হবে। সুষমা কাল জানান, জাতীয় সম্প্রীতির বৈঠকে মোদীকে ‘মসিহা’ এবং ‘মুসলিম-বন্ধু’ বলে বর্ণনা করেছেন মেহবুবা। অভিযোগ উড়িয়ে মেহবুবা বলেন, “গুজরাতে দাঙ্গার সময় এনডিএ সরকারের শরিক ছিলেন ফারুক আবদুল্লা, যিনি মোদীকে পছন্দ করতেন। মোদীকে প্রশংসার কথা আমার মুখে না বসিয়ে ওঁর মুখে বসাতে পারতেন। বিরোধী দলনেত্রী আমার নামে মিথ্যা প্রচার করছেন। এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক।”
|
উল্টো অবস্থান দুই নেতার, বিপাকে বিজেপি |
একই দিনে জোড়া অস্বস্তিতে পড়ল বিজেপি। বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের প্রধান জে কে জৈন দিল্লির বাটলা কাণ্ডের বার্ষিকীতে গিয়ে দলের অবস্থানের উল্টো পথে হেঁটেই সংখ্যালঘুদের মন জয় করার চেষ্টা করলেন। সেখানে গিয়ে তিনি বলেন, যে ভাবে সংখ্যালঘুদের সন্ত্রাসবাদী বলে ধরে নেওয়া হয়, তা ঠিক নয়। ২০০৮ সালে দিল্লির জামিয়া নগরে বাটলা হাউস এলাকায় ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন জঙ্গিদের খোঁজে অভিযান চালিয়েছিল দিল্লি পুলিশ। ওই ঘটনার পর অভিযোগ উঠেছিল, সংখ্যালঘু হলেই তাদের জঙ্গি বলে ধরে নিয়ে ধরপাকড় চালাচ্ছে পুলিশ। এবং আজ জৈন যা বলেছেন, বাটলা কাণ্ডে ঠিক এই অবস্থান নেওয়াতেই কংগ্রেসের দিগ্বিজয় সিংহ এর আগে বিজেপির কোপে পড়েছিলেন। দলের নেতা শাহনওয়াজ হোসেন বলেন, “দলের নির্দেশেই জৈন সেখানে গিয়ে থাকবেন। কিন্তু এই অবস্থান নেওয়াটা মোটেই কাম্য ছিল না।” অস্বস্তির অবশ্য এখানেই শেষ নয়। বিতর্কিত ‘আমর্ড ফোর্সেস স্পেশাল পাওয়ারস অ্যাক্ট’ প্রত্যাহারের দাবিতে মণিপুরে ইরোম শর্মিলা দশ বছর ধরে যে অনশন করছেন, তাকে এ দিন সমর্থন করেন বিজেপির তরুণ নেতা বরুণ গাঁধী। টুইটার-এ বরুণ লিখেছেন, “যে ভাবে গত ১১ বছর শর্মিলা অনশন করছেন, তা বোঝাতে সংসদীয় দলের প্রতিনিধি হিসাবে সেখানে যেতে চাই।” কিন্তু বিজেপির এক শীর্ষ নেতার বক্তব্য, যে দাবিতে শর্মিলা অনশন করছেন, তা মেনে নেওয়া হলে সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙে যাবে। শুধু উত্তর-পূর্বেই নয়, কাশ্মীরেও শক্ত হাতে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা কঠিন হয়ে পড়বে।
|
তারাপুরে বিষাক্ত গ্যাসে মৃত ৪ |
মহারাষ্ট্রের তারাপুরে একটি রাসায়নিক কারখানা থেকে বিষাক্ত গ্যাস লিক করে চার জন কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত কর্মীদের মধ্যে দু’জনের নাম হরিশ যাদব ও বিষ্ণু সিংহ। আজ সন্ধ্যা ৮টা নাগাদ ‘সিকোয়েন্সিয়াল সায়েন্টিফিক লিমিটেড’ সংস্থার কারখানা থেকে হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস লিক করে। তারাপুর পরমাণু কেন্দ্রের কাছে কারখানাটিতে পশুপাখির ওষুধ তৈরি হয়। পুলিশ জানিয়েছে, গ্যাসের প্রভাবে আরও ৩ কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গ্যাস লিক বন্ধ করা গিয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা গিয়েছেন। |