টুকরো খবর
দ্বন্দ্বে ভাঙল রবীন্দ্রভারতীর টিএমসিপি
গোষ্ঠী-দ্বন্দ্বের জেরে ভেঙেই দেওয়া হল রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) ইউনিট। সংগঠনের অন্যতম রাজ্য সম্পাদক সুজিত শ্যামকে আপাতত ওই ইউনিট পুনর্নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। টিএমসিপি-র রাজ্য সভাপতি শঙ্কুদেব পণ্ডা জানিয়েছেন, ওই ইউনিটে যে সমস্যা দেখা গিয়েছিল, তা নিয়ে সংগঠনের তরফে তদন্ত করা হবে। তদন্তে কেউ দোষী প্রমাণিত হলে সংগঠনের তরফেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর দায়ের করা হবে। প্রসঙ্গত, রবীন্দ্রভারতীর ছাত্র সংসদ এখন কারও দখলেই নেই। কয়েক মাস আগে ছাত্র সংসদের নির্বাচন ছিল। কিন্তু ভোটে অনিয়মের অভিযোগ তুলে শিয়ালদহ কোর্টে মামলা দায়ের করে কিছু ছাত্র। ভোট হয়ে গেলেও তার ফলপ্রকাশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে আদালত। বিষয়টি আদালতেরই বিচারাধীন।

অভিযুক্তেরা এখনও অধরা
নিমতায় মদ্যপানের প্রতিবাদ করে নিগ্রহের ঘটনায় অভিযুক্তেরা এখনও অধরাই। রবিবার, বিশ্বকর্মা পুজোর দিন দুপুরে মদ্যপানের প্রতিবাদ করায় বেধড়ক মারধর করা হয় শমিত বিশ্বাস নামে এক যুবককে। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে জখম হন তাঁর মা আশালতাদেবী-সহ আরও কয়েক জন। এই ঘটনায় উত্তর দমদমের তৃণমূল সভাপতির ছেলে ও ভাগ্নেদের নামে থানায় অভিযোগও হয়। আশালতাদেবী মতুয়া মহাসঙ্ঘের মহিলা সংগঠন ‘শান্তি সত্যভামা নির্বাণ কমিটি’র সদস্য। এই ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় মঙ্গলবার আশালতাদেবী-সহ কয়েক জন মতুয়াধামে গিয়ে বড়মা বীণাপাণিদেবীর কাছে অভিযোগ জানান। বীণাপাণিদেবী সঙ্গে সঙ্গে তাঁর ছেলে তথা রাজ্যের উদ্বাস্তু, ত্রাণ ও পুনর্বাসন প্রতিমন্ত্রী মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুরকে ব্যবস্থা নিতে বলেন। বিষয়টি জানানো হয় খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককেও। মতুয়া মহাসঙ্ঘের সাধারণ সম্পাদক গণপতি বিশ্বাস বলেন, “সঙ্ঘের মহিলাদের উপরে এমন আক্রমণের ঘটনায় বড়মা উদ্বিগ্ন। দুষ্কৃতীরা যাতে ধরা পড়ে, সে জন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও আলোচনা করতে চেয়েছেন। তিনি বলেছেন, মহিলাদের অসুবিধা হলে কমিটির সদস্যদের নিয়ে আন্দোলনে নামবেন।” জখম শমিতবাবু বেলঘরিয়ার একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় উত্তর দমদমের তৃণমূল সভাপতি ঠাকুর দাস বিশ্বাসের ছেলে বিশ্বজিৎ ও ভাগ্নেদের নামে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়। তাঁরাও পাল্টা অভিযোগ করেন। পুলিশের বক্তব্য, অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।

স্ত্রীকে হত্যা, দোষী সাব্যস্ত স্বামী
স্ত্রীর গায়ে আগুন দিয়ে হত্যার দায়ে স্বামীকে দোষী সাব্যস্ত করল আলিপুর আদালত। মঙ্গলবার, প্রথম ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে ববি নামের ওই মহিলাকে খুন করার অপরাধে স্বামী বিট্টু দাসকেই দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক শঙ্করমণি ত্রিবেদী। সাজা ঘোষণা হবে বুধবার। কোর্টে হাজির ববির শ্বশুর, শাশুড়ি ও ননদকে খালাস দেওয়া হয়। ২০০৭-এর ২১ জুন ববি গায়ে আগুন লাগা অবস্থায় রাস্তায় বেরিয়ে এলে স্থানীয়েরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। তখন তাঁদের ছেলের বয়স ছিল আড়াই বছর। সরকারি আইনজীবী স্বপনকুমার পাঠক জানান, বিট্টু ববিকে বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য প্রায়ই চাপ দিত। ঘটনার আগের দিনও বচসা হয় তাঁদের। মামলায় সাক্ষ্য দেন ১৯ জন।

ট্রেনের ধাক্কায় মৃত
ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে গ্বালিয়র ঘাটের কাছে নদীতে স্নান করতে নামেন উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা রাধেলাল দীক্ষিত (৬৫)। ফেরার পথে চক্ররেলের লাইন পেরোতে গিয়ে আপ বিমানবন্দর লোকালে ধাক্কা খান তিনি। গুরুতর জখম রাধেলাল পিজিতে মারা যান।

দু’টি অগ্নিকাণ্ড
শহরে মঙ্গলবার দু’টি অগ্নিকাণ্ড ঘটল। পুলিশ জানায়, সকালে আলিপুর জজ কোর্টের একটি ঘরে আগুন লাগে। দমকল সূত্রের খবর, কর্মীরা মিটারবক্স থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন। দমকলের দু’টি ইঞ্জিন যায়। বিকেলে বাঘা যতীনে যুব দফতর অনুমোদিত একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে কম্পিউটার থেকে আগুন লাগে। দমকলের তিনটি ইঞ্জিন যায়। শট-সার্কিট থেকেই এই আগুন বলে অনুমান দমকলের।

‘তোলা’ চেয়ে ধৃত
কলেজ-শিক্ষকের থেকে তোলা চেয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে মঙ্গলবার গ্রেফতার হলেন প্রাক্তন আরপিএফ কর্মী। ধৃতের নাম দেবজ্যোতি রায়। পুলিশ জানায়, সঞ্জয় মল্লিক নামে ওই শিক্ষকের অভিযোগ, সিআইডি-কর্মী পরিচয়ে তাঁকে ফোন করেন দেবজ্যোতি। সঞ্জয়বাবুর মোবাইল নম্বর নিয়ে তাতেও ক্রমাগত ফোন করেন। ৫০ হাজার টাকা না দিলে তাঁকে গ্রেফতারের হুমকিও দেন। শেষে পুলিশে অভিযোগ করেন সঞ্জয়বাবু। দেবজ্যোতির মোবাইল টাওয়ারের অবস্থান খতিয়ে দেখে গড়ফা থেকে তাকে ধরা হয়। পুলিশ জেনেছে, ২০০৪ সালে আরপিএফ-এর কনস্টেবলের পদ থেকে বরখাস্ত হন দেবজ্যোতি। আগেও তোলাবাজির অভিযোগে তিনি ধরা পড়েছিলেন।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.