|
|
|
|
দুর্গাপুরে বললেন পার্থ |
বন্ধ কারখানা খুললে সাহায্য শিল্পপতিদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
কোনও শিল্পপতি রাজ্যের একটিও বন্ধ কারখানা খুলতে উদ্যোগী হলে তাঁকে বাড়তি সুবিধা দেওয়া হবে বলে জানালেন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যে শিল্পপতিরা ‘প্রয়োজনের তুলনায় বেশি’ জমি নিয়ে ফেলে রেখেছেন, তাঁদের উদ্দেশে জমির সদ্ব্যবহার করার আর্জিও জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার দুর্গাপুরে এক আলোচনাসভায় যোগ দিতে আসেন শিল্পমন্ত্রী ও রাজ্যের আবাসন মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। আসানসোল-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে শিল্প, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে বিনিয়োগকারীরা অনেকেই সেখানে হাজির ছিলেন। পার্থবাবু বলেন, “শিল্পপতিরা নতুন শিল্প গড়ুন। সেই সঙ্গে একটি বন্ধ কারখানা খোলার দায়িত্বও নিন। সরকার এ জন্য তাঁদের
অতিরিক্ত সুবিধা দেবে।” সেই সঙ্গে দুর্গাপুর, আসানসোল ও বাঁকুড়ার বড়জোড়ায় তথ্যপ্রযুক্তি ‘হাব’ গড়ার পরিকল্পনার কথাও তিনি জানিয়েছেন।
রাজ্য সরকার আগেই জানিয়ে দিয়েছে, শিল্পের জন্য তারা জমি অধিগ্রহণ করবে না। শিল্পপতিকেই সরাসরি জমি কিনতে হবে। এ প্রসঙ্গে তাঁদের ‘জমিনীতি’ ব্যাখ্যা করে পার্থবাবু দাবি করেন, শিল্পের জন্য জমির অভাব নেই। ভূমি মানচিত্র তৈরি করা হয়েছে। বিনিয়োগকারীরা যোগ্য বিবেচিত হলে নির্দিষ্ট পরিমাণ জমি তাঁরা পাবেন। শিল্পমন্ত্রীর খেদ, “রাজ্যে বহু বিনিয়োগকারী প্রয়োজনের চেয়ে বেশি জমি নিয়ে ফেলে রেখে দিয়েছেন। তাঁদের কাছে আবেদন, জমির সদ্ব্যবহার করুন।”
তিন জায়গায় তথ্যপ্রযুক্তি ‘হাব’ গড়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে পার্থবাবু বলেন, “তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পেই সবচেয়ে কম জমিতে বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। রাস্তা ও পরিকাঠামো গড়ে জেলায় জেলায় এই শিল্প ছড়িয়ে দেওয়া হবে।” জেলায় জেলায় শিল্পস্থাপনে উৎসাহ জোগাতে বিনিয়োগকারীদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে বলেও তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। শিল্পমন্ত্রী জানান, একটি হিসেব অনুযায়ী রাজ্যে বন্ধ কারখানার সংখ্যা প্রায় ৫৫ হাজার। সঠিক সংখ্যা এবং সংস্থাগুলির অবস্থা জানতে পেশাদার সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বাম জমানায় একের পর এক কারখানা বন্ধ হওয়ার জন্য বহু ক্ষেত্রেই সিটু ও অন্য কিছু শ্রমিক সংগঠনের জঙ্গি আন্দোলনের দিকে আঙুল তোলা হয়। শিল্পায়নের স্বার্থে মালিক-শ্রমিক সহাবস্থানের উপরে জোর দিয়ে মন্ত্রী বলেন, “মালিক পক্ষকে কিছুটা ছাড়তে হবে। অন্য দিকে, শ্রমিকদেরও উৎপাদন বন্ধ রেখে আন্দোলন করা চলবে না। কোনও দলীয় পতাকা দেখিয়ে কাজ হবে না।” কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মীরা সমস্যা সৃষ্টি করলে সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনকে তা জানানোর পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।
এ দিন সভার আগেই বাঁশকোপায় ড্রাই ডক পরিদর্শন করেন শিল্পমন্ত্রী। পরে দুর্গাপুরের বিধাননগরে একটি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে গিয়ে গরিব রোগীদের জন্য ছাড়ের ব্যবস্থা রাখার আর্জি জানান। ইতিমধ্যেই কিছু ব্যবস্থা রয়েছে জানিয়ে হাসপাতালের তরফে সরকারি সহযোগিতা বাড়ানোর আবেদন জানানো হয়েছে। |
|
|
 |
|
|