বার বার থানায় গিয়ে পুলিশকে জানিয়ে আসার পরেও কোন সুরাহা না হওয়ায় লাঠি, ঝাঁটা হাতে নিয়ে এলাকার ৯-১০টি দেশি মদের ঠেক গুড়িয়ে দিয়েছে প্রমিলা বাহিনী। প্রমিলা বাহিনীর হামলায় পালিয়ে গিয়েছে ঠেকের মালিকরা। রবিবার ইংরেজবাজার থানার মালদহ শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বালুচর এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। পাশাপাশি শহরের হোটেলে জুয়া খেলা বন্ধের দাবিতে আজকে দুপুরে ইংরেজবাজার থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখিয়েছে তৃণমূল যুব কংগ্রেস। জেলা পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, জেলা জুড়ে মদের ঠেক ভাঙা ও ধরার অভিযান চলছে। ইতিমধ্যে ৮০-৯০ জনকে ধরা হয়েছে। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বালুচর এলাকায় ৯-১০টি বেআইনি মদের ঠেক গজিয়ে উঠেছে। ওই মদের ঠেকের জন্য স্থানীয় বাসিন্দারা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। স্থানীয় ভারতী রজক, আরতি রজকরা জানান, সারা খেটে বাড়ি পুরুষেরা যে টাকা উপার্জন করে বাড়িতে ঢোকার আগেই মদের ঠেকে সব টাকা উড়িয়ে দিচ্ছে। মদের ঠেকে সব টাকা লুটিয়ে দিয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরছে। মদের ঠেক তোলার জন্য কাউন্সিলার ও পুলিশকে বহু বার বলেছি। কিন্তু কেউ বেআইনি মদের ঠেক তোলেনি। পরিবারকে বাঁচাতে বাধ্য হয়ে নিজেরাই লাঠি হাতে তুলে নিতে হয়েছ। এদিন বেলা ১১টা নাগাদ বালুচরের ৪০-৫০ জন মহিলা লাঠি, ঝাঁটা হাতে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে বেআইনি মদের ঠেকে হামলা শুরু করেন। ৯-১০টি মদের ঠেকে হামলা চালিয়ে মহিলারা ২০০ র বেশি মদের বোতল ভেঙে দিয়েছেন। স্থানীয় কাউন্সিলার সঞ্জয় চৌধুরী জানান, ফের যাতে এলাকায় বেআইনি মদের ঠেক না বসতে পারে সে দিকে কড়া নজর রাখা হবে। শহরের এক দিকে যখন প্রমিলা বাহিনী বেআইনি মদের ঠেক ভাঙছে তখন শহরে বিভিন্ন হোটেলে বেআইনি জুয়া খেলা বন্ধের দাবিতে ইংরেজবাজার থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখিয়েছে টাউন যুব তৃণমূল কংগ্রেস। পুলিশ হোটেলে জুয়া খেলা বন্ধের আশ্বাস দিলে তৃণমূল যুব কংগ্রেস অবরোধ তুলে নেয়। টাউন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি বিশ্বজিৎ রায় বলেন, “পুলিশের একাংশের মদতে শহরের হোটেলে বেআইনি ভাবে জুয়া খেলা চলছে। শহরে বেআইনি মদ রমরমিয়ে চলছে। হোটেলে জুয়া খেলা ও বেআইনি মদের ঠেক পুলিশ বন্ধ না করে তবে ফের বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।” |