৩ বছরেও ভবন হয়নি
নিজস্ব সংবাদদাতা • শামুকতলা |
অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। বাড়ির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন হয়েছে। অথচ গত তিন বছরেও শামুকতলা জুনিয়ার গার্লস হাই স্কুলের বাড়ি হওয়ায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। একটি প্রাথমিক স্কুলে কোনও মতে ওই জুনিয়ার গার্লস স্কুলের ক্লাস চলছে। আসবাবপত্র না থাকায় নষ্ট হচ্ছে খাতাপত্র। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা কৃষ্ণা দাস বলেন, “ঘরের জন্য পঠনপাঠনে সমস্যা হচ্ছে। অন্য একটি স্কুলের ঘর, শৌচাগার, আলমারি ব্যবহার করতে হয়।” স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, স্কুলের সমস্যার কথা বিভিন্ন দফতরে জানানো হয়েছে। কিন্তু লাভ হয়নি। প্রধান শিক্ষিকা প্রতিদিন ব্যাগভর্তি করে খাতাপত্র স্কুলে নিয়ে যান। স্কুল শেষে ফের সেগুলি বাড়িতে নিয়ে যেতে হচ্ছে তাঁকে। মাত্র তিন জন শিক্ষিকা দিয়ে কোনও মতে পঠনপাঠনের কাজ চলছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন বছর আগে স্কুলটি চালুর পরে বাড়ি তৈরির জন্য ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়। স্কুলে ছাত্রী সংখ্যা দাঁড়ায় একশো জন। বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে টাকা বরাদ্দের পরেও কেন বাড়ি তৈরির কাজ শুরু হল না! পঞ্চায়েত সদস্য বিজয় বৈদ্য বলেন, “তিন বছর টাকা পড়ে থাকার পরেও কাজ হল না এটা মেনে নেওয়া যায় না।” আলিপুরদুয়ার ২ পঞ্চায়েত সমিতি সভাপতি অর্চনা দাস জানান, স্কুলের জন্য নির্দিষ্ট করা জমিতে দুটি বিদ্যুতের খুঁটি আছে। সেগুলি সরাতে বিদ্যুৎ দফতর ১৪ হাজার টাকা চায়। ওই টাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু তাও বাড়ি তৈরির কাজ এতটুকু এগোয়নি। কেন ওই পরিস্থিতি! স্কুল পরিচালন সমিতি সম্পাদক পার্থসারথি রায় বলেন, “যে টাকা বরাদ্দ হয়েছে তা দিয়ে ছাদ ঢালাই দিয়ে বাড়ি তৈরি করা সম্ভব নয়। তাই টিনের ছাউনি দিয়ে বাড়ি তৈরির অনুমতি চেয়েছি। তা পাওয়া গেলে কাজ শুরু হবে।”
|
ফাটল জেল প্রাচীরে
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
ভূমিকম্পে বিশেষ সংশোধনাগারের সীমানা প্রাচীরের একটা বড় অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। সীমানা প্রাচীরের সম্প্রসারিত অংশ প্রায় ৬/৭ ফুট ভেঙে পড়েছে। ফাটল দেখা দিয়েছে বন্দিদের রাখার ৮ টি ওয়ার্ডে। তা নিয়ে উদ্বেগে পড়েছেন জেল কর্তা থেকে পুলিশ প্রশাসন। রবিবার রাতেই ঘটনার পর সেখানে পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ভূমিকম্পের সময় জেল বন্দিদের মধ্যেও আতঙ্ক চড়ায়। তাঁরা সেলের মধ্যে দৌড় ঝাঁপ শুরু করে দেয়। ভয়ে চিৎকার শুরু করেন কয়েকজন বন্দি। প্রায় ৩০ সেকেন্ড ধরে সেলের দেওয়াল ছাদ কাঁপতে দেখে ভয়ে সিটিয়ে যান অনেকে। ভূমিকম্পের পরেও অনেকে আতঙ্কিত। শিলিগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি বলেন, “শিলিগুড়ি বিশেষ সংশোধনাগারের প্রচীরে ফাটল ধরেছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।” এই দিন শিলিগুড়ির বিশেষ সংশোধনাগারের সুপার থুকদেন রাচি ভুটিয়া জানান, ওয়ার্ডগুলিতে ৫০ জন করে কয়েদি থাকে। সেগুলিতে অল্পবিস্তর ফাটল দেখা দিয়েছে। আড়াইশোর বেশি বন্দি রয়েছে। তারা ভয় পেয়ে যায়। অন্য দিকে ভূমিকম্পের ফলে শহরের সুভাষপল্লি, কলেজপাড়া, গুরুঙ্গবস্তি, হিলকার্ট রোড-সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রচুর বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। হিলকার্ট রোডে পদ্মভবন নামে একটি বহুতল মার্কেট কমপ্লেক্স বেঁকে যায়। ঘটনার পরেই ভয়ে দোকান বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা। বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রচুর জখম রোগী আসছেন খবর পেয়ে মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত হাসপাতালে যান। তিনি জানান, শহরের বিভিন্ন এলাকায় বহু বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে বলে খবর পেয়েছেন। জখম রোগীদের চিকিৎসায় যাতে কোনও সমস্যা না হয় সে জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।
|