টুকরো খবর |
তাঁতশালে জল ঢুকে বিপত্তি
নিজস্ব সংবাদদাতা • বিষ্ণুপুর |
|
ছবি: শুভ্র মিত্র। |
দু’সপ্তাহ পরেই পুজো। বিষ্ণুপুরের বালুচরী তাঁতশিল্পীদের যখন দম ফেলারও ফুরসত নেই, তখন শুক্র ও শনিবারের অতিবৃষ্টির জেরে তাঁতশালে জল ঢুকে পড়ায় কাজ বন্ধ হয়ে গেল শিল্পীদের। বিষ্ণুপুর শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বৈষ্ণবপাড়ায় গিয়ে রবিবার দেখা গেল, বিভিন্ন তাঁতশালের নিচু পা রাখার জায়গায় প্রায় হাঁটুসমান জল। অনেক তাঁত শিল্পীকেই দেখা গেল বালতি করে জল তুলে বাইরে ফেলার চেষ্টা করছেন। কিন্তু কুয়ো বা পাশের পুকুর উপচে ভিতরে জল ঢোকায় সেই মরিয়া চেষ্টাতেও বিশেষ কাজ হচ্ছে।
এই অবস্থায় স্থানীয় তাঁতশিল্পী সুশান্ত বিট, মথুর গরাইদের মাথায় হাত পড়েছে। বললেন, “পুজোর বালুচরী কাপড়ের একটু বেশি বরাত থাকে। জল ঢুকে পড়ায় তাঁত বন্ধ। সম্পূর্ণ কর্মহীন হয়ে পড়েছি। দোকানে কী ভাবে সময়মতো শাড়ির জোগান দেব, বুঝতে পারছি না।” তাঁতশালে দৈনিক মজুরিতে কাজ করা বিল্লেশ্বর দাস, ধনঞ্জয় গরাইদের হতাশা, “গত দু’দিন ধরে স্রেফ হাত গুটিয়ে বসে আছি। ফলে মজুরিও হচ্ছে না। সরকারি সাহায্য না পেলে সংসার চালানোই মুশকিল হয়ে পড়বে।” মল্লভূম তাঁতশিল্প ও তাঁত শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি রবিলোচন দে বলেন, “পুজোর মুখে এই টানা বৃষ্টিতে তাঁতশিল্পী ও কর্মীরা বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন। সরকারি ভাবে ত্রাণের চেষ্টা করা হচ্ছে।” ওই এলাকার কাউন্সিলর দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশ্বাস, পুরসভার তরফে যা করণীয় করা হবে।
|
মহিলা প্রতিনিধি নেই, স্কুল-কমিটি নিয়ে সংশয়
নিজস্ব সংবাদদাতা • ইন্দাস |
স্কুল পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধিদের ৬টি আসন। তার মধ্যে দু’টি মহিলা অভিভাবক প্রতিনিধির জন্য সংরক্ষিত। অথচ স্কুলে মহিলা অভিভাবক প্রতিনিধি পাওয়া যাচ্ছে না। এর ফলে স্কুলের পরিচালন সমিতি গঠন নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে ইন্দাসের আকুই ননীবালা গার্লস হাইস্কুলে। এই স্কুলের পরিচালন সমিতি দীর্ঘদিন ধরে সিপিএমের দখলে। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর সেখানে অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। শুক্রবার ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। তৃণমূল সমর্থিত চার জন পুরুষ প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন। আর কেউ মনোনয়নপত্র জমা না দেওয়ায় ওই চার প্রার্থীকেই জয়ী বলে ঘোষণা করেছেন প্রধান সিক্ষিকা লীনা সরকার বসু। কিন্তু বাকি দু’টি আসনে মহিলা অভিভাবক প্রতিনিধি না থাকায় পরিচালন সমিতি গড়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। এলাকার বাসিন্দা তথা তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সদস্য পঙ্কজ মাজিলা বলেন, “হারার ভয়ে সিপিএম এ বার ভোটের ময়দানেই নেই। আমরা অভিভাবক প্রতিনিধিদের চারটি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছি। কিন্তু মহিলা অভিভাবক প্রতিনিধি না থাকায় এখনও দু’টি আসন শূন্য। ফলে পরিচালন সমিতি আদৌ গড়া যাবে কি না, তা নিয়ে আমাদের যথেষ্ট সংশয় আছে।” তাঁর অভিযোগ, “যে দু’টি আসন যে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত, তা প্রধান শিক্ষিকা আগেই জানতেন। কিন্তু চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের আগে জেলা শিক্ষা দফতরে বিষয়টি প্রধান শিক্ষিকা বলেননি। তার ফলেই এই বিপত্তি।” সিপিএমের ইন্দাস জোনাল কমিটির আহ্বায়ক অসীম দাস অবশ্য বলেন, “এলাকার বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করেই ওই স্কুলের ভোটে আমরা প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে পরিচালন সমিতি গড়া নিয়ে সমস্যার কথা আমার জানা নেই।” ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা লীনাদেবীর দাবি, “মহিলা অভিভাবক প্রতিনিধি যে নেই, সে কথা জেলা শিক্ষা দফতরে লিখিত ভাবে আগেই জানিয়েছিলাম। শিক্ষা দফতর থেকে নির্বাচন স্থগিত রাখার ব্যাপারে কোনও নির্দেশ না পাওয়ায় অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এখন উদ্ভুত জটিলতা কাটাতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যে নির্দেশ দেবেন, তা মেনেই কাজ করা হবে।” বাঁকুড়া জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) পূর্ণচন্দ্র জানা বলেছেন, “ওই স্কুলে ঠিক কী কারণে পরিচালন সমিতি গড়া নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে, তা খোঁজ নিয়ে দেখব।”
|
সাসপেন্ড ল্যাম্পস
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুরুলিয়া |
গুদামে রেশন-পণ্য মজুত রাখার ক্ষেত্রে ‘অসঙ্গতি’ ধরা পড়ায় বলরামপুর ব্লকে রেশন ডিস্ট্রিবিউটরের দায়িত্বে থাকা লার্জ সাইজড এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড মার্কেটিং সোসাইটি বা ল্যাম্পসকে সাসপেন্ড করেছে পুরুলিয়া জেলা খাদ্য দফতর। সম্প্রতি এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা খাদ্য নিয়ামক সুনয়কুমার গোস্বামী। খাদ্য দফতর সূত্রের খবর, গত ১ সেপ্টেম্বর বলরামপুরের ওই গুদাম পরিদর্শন করেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। প্রাথমিক ভাবে গুদামে রেশন-পণ্য মজুতের ক্ষেত্রে ‘অসঙ্গতি’ মেলায় মন্ত্রী তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। গুদামও সিল-ও করে দেওয়া হয়। সুনয়বাবু বলেন, “বরাবাজার ব্লকের ডিস্ট্রিবিউটরকে আপাতত বলরামপুরের রেশন ডিলারদের পণ্য সরবরাহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” অন্য দিকে, রবিবার ঝালদা ১ ব্লকের মাড়ুমমিনা পঞ্চায়েতের ১৬টি গ্রামের প্রাপকদের হাতে ২ টাকা কেজি দরের চাল পাওয়ার বিশেষ কার্ড তুলে দিয়েছে জেলা খাদ্য দফতর।
|
দুর্ঘটনায় মৃত দুই পুরুলিয়ায়
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুরুলিয়া ও কেন্দা |
দুর্ঘটনায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে পুরুলিয়ায়। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার পুরুলিয়ায় বিশ্বকর্মা পুজোর বাজার সেরে বাইকে করে কেন্দা থানার পাটাপিড়ি গ্রামে নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন লক্ষ্মীকান্ত মাহাতো (৩৭)। কেন্দা থানার তালতলের হাটের কাছে বাইকের গতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পেরে একটি গাছে ধাক্কা মারেন ওই যুবক। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। শনিবার রাতেই পুরুলিয়া মফস্সল থানার বেলগুমা-শিমুলিয়া সড়কের ধার থেকে গুরুতর জখম সন্তোষ মাহাতো (৫৩) নামে প্রৌঢ়কে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয়। তাঁর বাড়ি মফস্সল থানার বালিগাড়া গ্রামে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, গাড়ির ধাক্কায় মারা গিয়েছেন ওই ব্যক্তি।
|
বাইক ছিনতাই
নিজস্ব সংবাদদাতা • ওন্দা |
বিষ্ণুপুর-তালড্যাংরা রাস্তায় ওন্দা থানার কাঁটাবাড়ি গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলে ছিনতাই হল দু’টি মোটরবাইক ও দু’টি মোবাইল ফোন। শনিবার সন্ধ্যায় সাড়ে ৭টা নাগাদ একটি বাইকে বিষ্ণুপুর থেকে নাকাইজুড়ি গ্রামের দিকে যাচ্ছিলেন দুই ভাই সঞ্জীব ও সৌগত বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্য দিকে, তালড্যাংরা থেকে ওই পথেই বাইকে করে বিষ্ণুপুরের দিকে যাচ্ছিলেন সত্যজিৎ বাগ নামে এক ব্যক্তি। পুলিশ জানিয়েছে, মোটরবাইক আরোহীদের পথ আটকে তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ও নগদ টাকার পাশাপাশি বাইক দু’টিও ছিনতাই করে পালায় দুষ্কৃতীরা। পুলিশ তাদের তল্লাশি চালাচ্ছে।
|
সিপিএম নেতা ‘প্রহৃত’ ইন্দাসে
নিজস্ব সংবাদদাতা • ইন্দাস |
এক সিপিএম নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শনিবার সকালে ইন্দাস থানার চিচিঙ্গা মোড়ে ঘটনাটি ঘটে। প্রহৃত সিপিএম নেতা শেখ সুকুরের বাড়ি চিচিঙ্গা গ্রামেই। তিনি সিপিএমের রোল লোকাল কমিটির সদস্য। রবিবার পুলিশের কাছে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ দায়ের করেন। সিপিএমের ইন্দাস জোনাল কমিটির আহ্বায়ক অসীম দাসের অভিযোগ, “এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার জন্যই পরিকল্পিত ভাবে শেখ সুকুরকে মারধর করেছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা।” অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে ইন্দাস ব্লক তৃণমূল সভাপতি রবিউল হোসেনের দাবি, “বিধানসভা ভোটের আগে এখানে সন্ত্রাসের অন্যতম চাঁই ছিলেন শেখ সুকুর। চিচিঙ্গা গ্রামে আমাদের এক দলীয় কর্মীকে ওই সিপিএম নেতাই আগে মারধর করেছেন।” পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
|
বাইপাসের ব্যবহার
নিজস্ব সংবাদদাতা • মানবাজার |
পুজোয় যানজট ও দুর্ঘটনা এড়াতে পুজোর ক’টা দিন মানবাজার বাইপাস ব্যবহার করার পরামর্শ দিল স্থানীয় প্রশাসন। সম্প্রতি আয়োজিত এক বৈঠকে মানবাজার ব্লক অফিস ও থানার কর্তাদের উপস্থিতিতে বলা হয়েছে, শহরে ঢোকার মুখে কয়েকটি পুজো মণ্ডপের কাজ শুরু হবে। এ জন্য বাস-লরি প্রভৃতি বড় যানবাহন ইন্দকুড়ি থেকে বাইপাস দিয়ে বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছবে। পুজোর পরে আগের নিয়মেই যানবাহন চলবে।
|
শিক্ষক সংগঠনের নির্বাচন |
প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির পুরুলিয়া জেলা কমিটির নির্বাচন হয়েছে পুরুলিয়ায়। শনিবার অনুষ্ঠিত হওয়া সমিতির নির্বাচনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন রামজীবন মাহাতো। বরাবাজার পঞ্চায়েত সমিতির কংগ্রেস সদস্য রামজীবনবাবু জানান, ১৭ জনের নতুন কমিটি গঠন হয়েছে। |
|