|
তিস্তা জলবণ্টন নিয়ে ভারত-বাংলাদেশ মতবিরোধ অমীমাংসিত |
|
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে তিস্তা নদীর জলবণ্টন সংক্রান্ত চুক্তি একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে ভেস্তে গিয়েছে। প্রাপ্য বা দেয় জলের ভাগ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তির ফলেই এটা ঘটেছে। দুই দেশের মধ্য দিয়ে মোট ৫৪টি নদী প্রবাহিত হয়েছে। সব কটিই হিমালয় বা সন্নিহিত ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে উৎপন্ন হয়ে কম-বেশি পথ পেরিয়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশে ঢুকে হয় সরাসরি বঙ্গোপসাগরে পড়েছে, নয়তো বাংলাদেশেরই অন্য বড় নদীতে মিশেছে। এর মধ্যে প্রধানতম নদী গঙ্গা, যা বাংলাদেশে ঢুকে সেখানকার প্রধান নদী পদ্মায় নামান্তরিত। গুরুত্বের দিক থেকে তার পরেই আসে তিস্তার নাম, তার পর ফেণী।
১৯৭২ সালেই দু’ দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত অভিন্ন এই নদীগুলির জলবণ্টনের সমস্যা মীমাংসায় ভারত-বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশন তৈরি হয়। ১৯৭৫ সালে ভারত তৈরি করে ফরাক্কা বাঁধ, যার লক্ষ্য ছিল পদ্মার দিকে বয়ে যাওয়া বিপুল জলরাশির গতিপথ ভারতীয় ভূখণ্ডেই নিয়ন্ত্রণ করে তাকে ভাগীরথী দিয়ে প্রবাহিত করা, যাতে শুকিয়ে যাওয়া কলকাতা বন্দরকে বাঁচানো যায়। কলকাতা বন্দর বাঁচেনি, তার বিকল্প রূপে হলদিয়া গড়ে তোলা হয়েছে। কিন্তু জলের ভাগ নিয়ে ঢাকার সঙ্গে নয়াদিল্লির বিবাদ ক্রমেই তিক্ততর হয়েছে। ১৯৯৬ সালে গঙ্গার জলবণ্টন নিয়ে যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হয়, তা গঙ্গা-সমস্যা মেটালেও তিস্তা সহ অন্যান্য নদীগুলির প্রাপ্য জলের ভাগ নিয়ে বিরোধ থেকেই যায়। এ বারের সফরের সময় ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী সেই সব বিরোধের স্থায়ী সমাধানে সচেষ্ট হন। কিন্তু তিস্তা ও ফেণীর জলের ভাগ নিয়ে দ্বন্দ্ব থেকেই যায়। বাংলাদেশকে বেশি জল দিলে ভারতের চাষাবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হবে, আবার কম জল পেলে বাংলাদেশের চাষবাস, জল-পরিবহণ, ব্যবসা-বাণিজ্য মার খাবে। মীমাংসা অতএব সহজ নয়। তবু ৫২টি নদীর জলবণ্টন নিয়ে চুক্তি পাকা হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে অবশ্য দেড় হাজার মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য অসমের বরাক নদীর উপর টিপাইমুখ প্রকল্প নির্মাণের প্রস্তাবেও ঢাকা আপত্তি জানিয়েছে। প্রস্তাবিত ওই বিদ্যুৎকেন্দ্র অতিশয় ভূকম্পপ্রবণ অঞ্চলে গড়া হবে, যা ভবিষ্যতে দুই দেশের জন্যই বড় বিপর্যয়ের আশঙ্কা ঘনিয়ে তোলে। এই সব সমস্যা নিয়েই কথা চলছে, কথা চলবে। |
|
|
দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত ও বাংলাদেশে ছিটমহলের সমস্যা এ বার মিটতে চলেছে। ছিটমহল হল সীমান্ত বরাবর বাংলাদেশে ভারতীয় নাগরিকদের এবং ভারতে (মূলত পশ্চিমবঙ্গে) বাংলাদেশি নাগরিকদের বসবাসের ডাঙাবেষ্টিত দ্বীপ, যেগুলি মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন। কয়েক শতাব্দী আগে দুই আঞ্চলিক নরপতি, কোচবিহার ও রঙপুরের রাজারা এই সব ছোট ছোট ভূখণ্ড পরস্পর বিনিময় করেছিলেন, মুঘল সম্রাটের সঙ্গে চুক্তি মারফত যা বৈধতা পায়। দেশ ভাগ ও স্বাধীনতার পরে ছিটমহলগুলি হস্তান্তর করে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে মিশিয়ে দেবার কথা হলেও এত কাল তা বাস্তবায়িত হয়নি। ছিটমহলের বাসিন্দারা পানীয় জল, বিদ্যুৎ, স্কুল, রাস্তাঘাট, স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং চিকিৎসা-পরিষেবা থেকে সম্পূর্ণ বঞ্চিত থেকে গিয়েছেন। তাঁদের সম্পত্তি ও ভিটেমাটি বেদখল হলেও ভারতীয়দের বাংলাদেশের সীমান্ত পেরিয়ে নালিশ জানাতে ভারতে আসতে হয়। একই ভাবে বাংলাদেশিদেরও ভারতীয় ভূখণ্ড পেরিয়ে বি এস এফকে হাতে-পায়ে ধরে স্বদেশের প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দায়ের করতে যেতে হয়। সর্বদা কয়েদিদের মতো পরিচয়পত্র গলায় ঝুলিয়ে রাখতে হয়। ঠিক হয়েছে, শতাধিক ভারতীয় ছিটমহলকে ভারতের সঙ্গে এবং ৭১টি বাংলাদেশি ছিটমহলকে বাংলাদেশে জুড়ে দেওয়া হবে। এই প্রক্রিয়ায় ছিটমহলের পঞ্চাশ হাজার থেকে এক লক্ষাধিক বাসিন্দা এই প্রথম তাঁদের স্বদেশ ফিরে পেতে চলেছেন। |
|
বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী আবার রথযাত্রা শুরু করার হুমকি দিয়েছেন। এ বার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনচেতনা বৃদ্ধি করতে। আডবাণী আর রথযাত্রা ভারতীয় রাজনীতিতে প্রায় সমার্থক। তবে তাঁর আগেও শীতাতপনিয়ন্ত্রিত বিলাসবহুল মোটরযানকে রথ সাজিয়ে রাজনৈতিক অভিযাত্রায় বের হওয়ার নজির সাম্প্রতিক ভারতে রয়েছে। মনে পড়বে তেলুগু দেশমের প্রতিষ্ঠাতা নন্দমুড়ি তারক রাম রাওয়ের কথা। রথে সওয়ার হয়েছেন হরিয়ানার জাঠ কুলপতি চৌধুরী দেবীলালও। মায়াবতী এখনও কোনও ‘দলিত রথ’ বের করেননি। তবে উত্তরপ্রদেশের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে করতেও পারেন। অবশ্য আডবাণীর রথযাত্রার জৌলুসই আলাদা। অযোধ্যামুখী রামরথে আর্যাবর্ত প্রদক্ষিণ করে তিনি একদা হিন্দুত্বের অনুকূলে যে দিগ্বিজয় হাসিল করেছিলেন, ভারতীয় রাজনীতিতে আজও তা স্থায়ী। সেই রথের যাত্রাপথ রক্তাক্ত ও বিভেদপন্থায় কলুষিত হয়েছিল। সংখ্যালঘুরা বিপন্ন, বিপর্যস্ত হয়েছিলেন। তাই আডবাণী রথে চড়বেন বললেই ভয় লাগে। এ বার অবশ্য তিনি কোনও ধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক প্রশ্নে মাঠে নামছেন না, দুর্নীতির মতো একটি সর্বজনগ্রাহ্য উদ্বেগই তাঁর প্ররোচনা। কিন্তু দুষ্ট লোকে বলছে (যার মধ্যে আর এস এসের দুষ্টরাও আছেন), ওটা নাকি আডবাণীর রাজনৈতিক কৌশল। আসলে তিনি নাকি চাইছেন পরবর্তী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে নিজের দাবি অবিসংবাদিত ভাবে প্রতিষ্ঠা করতে। |
|
ইহুদিরা তাঁদের প্রতিশ্রুত স্বদেশ ইজরায়েল পেয়ে গিয়েছেন। প্যালেস্টাইনিরাও কি ফিরে পাবেন তাঁদের স্বদেশ? গাজা ও ওয়েস্ট ব্যাংক-এর সংকীর্ণ পরিসরই সই। তা নিয়েই স্বাধীন প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতির দাবি আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রপুঞ্জে পেশ করতে চলেছেন তাঁরা। আরব লিগের চল্লিশ সদস্যরাষ্ট্র এ প্রস্তাব সমর্থন করবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনও-কোনও দেশও করবে। এমনকী নিরাপত্তা পরিষদের অধিকাংশ স্থায়ী সদস্যও সমর্থন দেবে। তবু মার্কিন ‘ভেটো’য় যে প্রস্তাবটি শেষ পর্যন্ত খারিজ হয়ে যাবে, তা কারও অজানা নয়। তবু আন্তর্জাতিক মঞ্চে এই স্বীকৃতির দাবি তোলার প্রতীকী মূল্য অপরিসীম। মার্কিন মধ্যস্থতায় সম্পাদিত ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি থেকে শুরু করে নিরাপত্তা পরিষদের গণ্ডা-গণ্ডা প্রস্তাবে প্যালেস্টাইনিদের স্বদেশ হাসিল করানোর প্রতিশ্রুতি অসংখ্য বার পুনরুচ্চারিত হলেও জায়নবাদীদের প্রশ্রয় দেওয়া থেকে আমেরিকা সরে আসেনি, সহসা সরবেও না। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও তাই প্যালেস্টাইনি রাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের প্রচেষ্টাকে ‘নজর ঘুরিয়ে দেওয়ার কৌশল’ বলে বর্ণনা করেছেন। তবু প্যালেস্টাইনিরা তাঁদের পতাকাটা টাঙিয়ে রাখছেন। সম্ভবত বিশ্বের কাছে জানতে চাইছেন-- আর কত কাল তাঁদের ‘শান্তি-প্রক্রিয়া’ আর অনন্ত আলাপ-আলোচনা ও দরকষাকষির প্রতীক্ষায় থাকতে হবে, যার ফাঁকে প্যালেস্টাইনের পবিত্র ভূমি পূর্ব জেরুজালেম ইহুদি বস্তিতে ছেয়ে যাবে? এই জিজ্ঞাসার অস্বস্তি জাগিয়ে রাখতেও হাসিল-না-হওয়া স্বদেশের পতাকাটা বাতাসে উড়িয়ে রাখা দরকার। ওয়েস্ট ব্যাংক ও গাজায় তাই এখন উৎসবের মেজাজ। ছবিতে প্যালেস্টাইন-প্রধান মাহমুদ আব্বাস। |
|
আয় বাড়ানোর জন্য কোথাও সুদের হার কম রাখা হচ্ছে, যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। আবার মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কোথাও সুদের হার চড়া, যেমন ভারতে। সুদের হার কেন গুরুত্বপূর্ণ? এক কথায় বললে, সুদ হল ঋণের ‘দাম’। সুতরাং সুদের হার বাড়লে ঋণের চাহিদা কমে। ফলে এক দিকে কমে যায় ভোগব্যয়, যেমন ধরো সুদ বেড়েছে বলে অনেকে ঋণ নিয়ে গাড়ি কেনার পরিকল্পনাটা স্থগিত রাখেন। অন্য দিকে, কলকারখানা, আবাসন ইত্যাদিতে বিনিয়োগের একটা বিরাট অংশই করা হয় ঋণের টাকায়, সুদ চড়লে সেই বিনিয়োগও কমে যায়। নানা দিক থেকে খরচ কমার ফলে বাজারে পণ্য এবং পরিষেবার চাহিদা কমে। তার ফলে মূল্যবৃদ্ধির গতি কিছুটা কমতে পারে। তবে অন্য দিকে, চাহিদার মন্দা আয়বৃদ্ধির হার কমিয়ে দিতে পারে। সুদের হার কমলে উল্টো ফল। তবে সুদের হারের গুরুত্ব নানা দেশে, নানা কালে, নানা রকম। |
|
আর্জেন্টিনা |
কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে অনুষ্ঠিত একটি বন্ধুত্বপূর্ণ ম্যাচে ভেনেজুয়েলাকে ১-০ গোলে পরাজিত করল আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টিনার হয়ে এক মাত্র গোলটি করেন ওতামেন্দি।
|
জকোভিচ |
টেনিসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ওপেন-এর পুরুষ সিঙ্গলস ফাইনালে স্পেনের রাফায়েল নাদালকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হলেন সার্বিয়ার নোভাক জকোভিচ। অন্য দিকে, মহিলাদের সিঙ্গলস খেতাব পেলেন অস্ট্রেলিয়ার সামান্থা স্তোজার। ফাইনালে তিনি হারান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেরেনা উইলিয়ামসকে।
|
ইস্তফা |
সংবিধানের ধারা মেনে ৩ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতির কাছে ইস্তফা দেন অভিযুক্ত বিচারপতি সৌমিত্র সেন। রাষ্ট্রপতি পরের দিনই সেটা গ্রহণ করেন। এর ফলে লোকসভায় তাঁর ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে গেল।
|
হকি চ্যাম্পিয়ন |
চিনের ওর্দুস-এঅনুষ্ঠিত প্রথম এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস প্রতিযোগিতার ফাইনালে টাইব্রেকারে পাকিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হল ভারতীয় হকি দল।
|
খান্ডুরি |
রমেশ পোখরিওয়াল নিশঙ্ক পদ ছাড়ার পর উত্তরাখন্ডের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হলেন ভুবনচন্দ্র খান্ডুরি।
|
বিস্ফোরণ |
গত ৭ সেপ্টেম্বর দিল্লি হাইকোর্টের সামনে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হল। হতাহতের সংখ্যা অনেক। ই-মেল-এর মাধ্যমে এই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করল জঙ্গিগোষ্ঠী হুজি।
|
কেমব্রিজ |
কিউ এস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং অনুসারে বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিরোপা ধরে রাখল কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও তৃতীয় স্থানে ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনলজি (এম আই টি)।
|
এআইইইই |
আগামী বছর থেকে পেপার-পেনসিল টেস্ট-এর পাশাপাশি অনলাইনেও অল ইন্ডিয়া ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ট্রান্স পরীক্ষা নেবে সি বি এস ই। অনলাইন পরীক্ষা হবে ৭ থেকে ২৫ মে আর পেনসিল-পেপার টেস্টটি হবে ২৯ এপ্রিল।
|
৯/১১ |
গত ১১ সেপ্টেম্বর আমেরিকার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে সন্ত্রাসবাদী হামলার এক দশক পূর্ণ হল।
• ৮৯ বছর বয়সে মারা গেলেন ভারতের বিখ্যাত চিত্রকর জাহাঙ্গির সাবাভালা। |
|