|
|
|
|
|
|
|
ব্রিটেনে উচ্চশিক্ষার জন্য বৃত্তির সুযোগ |
সম্প্রতি ভারত সরকারের মানবোন্নয়ন মন্ত্রকের পক্ষ থেকে ‘কমনওয়েলথ স্কলারশিপস/ ফেলোশিপস প্ল্যান-২০১২-ইউ কে’-র কথা ঘোষণা করা হল। ব্রিটিশ কমনওয়েলথ-এর অন্তর্গত যতগুলি দেশ রয়েছে তাদের জন্য এই বার্ষিক প্রকল্পটি পরিচালনা করে কমনওয়েলথ স্কলারশিপস কমিশন। যে সমস্ত ভারতীয় ছাত্রছাত্রী ব্রিটেনে বিভিন্ন বিষয়ে উচ্চশিক্ষা বা গবেষণা অথবা স্পেশালাইজড প্রশিক্ষণ নিতে যেতে চায়, এই প্রকল্পটির মাধ্যমে তাদের বৃত্তি দেওয়া হয়।
কী কী বিষয়ে পাওয়া যাবে এই বৃত্তি?
১) এম বি বি এস/ বি ডি এস/ এম এস বা এম ডি ডিগ্রি নিয়ে যারা ক্যানসার রিসার্চ, কার্ডিয়োলজি, গায়নকলজি, মেডিসিন, ডেন্টিস্ট্রি, অর্থোপেডিক্স, নিউরলজি অথবা ই এন টিতে ছ’মাসের ক্লিনিকাল ট্রেনিং/ রিসার্চ/ স্পেশালাইজেশন করতে চায়;
২) ক) এক বছরের মাস্টার্স অথবা সমতুল কোর্স, খ) ডক্টরাল ডিগ্রি (মেয়াদ তিন বছর পর্যন্ত)।
এখানে ক্ষেত্রগুলি হল
১) ইঞ্জিনিয়ারিং এবং টেকনলজি;
২) পিয়োর এবং অ্যাপ্লায়েড সায়েন্স;
৩) এগ্রিকালচার;
এবং
৪) হিউম্যানিটিজ ও সোশাল সায়েন্সেস।
যোগ্যতা কী লাগবে? মাস্টার্স পড়ার ক্ষেত্রে অক্টোবর ২০১২ সালের মধ্যে উল্লিখিত বিষয়ে প্রার্থীর ব্যাচেলর্স ডিগ্রি থাকতে হবে। হিউম্যানিটিজ এবং সোশাল সায়েন্সের ক্ষেত্রে প্রার্থীকে ৬০ শতাংশ বা তার বেশি নম্বর আর মেডিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং টেকলনজি, সায়েন্স এবং এগ্রিকালচারের ক্ষেত্রে ৬৫ শতাংশ বা তার বেশি নম্বর পেতে হবে। ব্রিটেনে কেন সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে পড়তে যেতে চায়, সেই নিয়ে এক পাতার একটি ‘অ্যাকাডেমিক জাস্টিফিকেশন’ও দিতে হবে ছাত্রকে। বৃত্তির জন্য মনোনীত ছাত্রছাত্রদের ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা প্রমাণ করতে আই ই এল টি এস পরীক্ষায় বসতে হবে। এ ক্ষেত্রে ১ অক্টোবর, ২০১১ পর থেকে ৬ মার্চ, ২০১২-র আগের মধ্যে দেওয়া আই ই এল টি এস পরীক্ষা গণ্য করা হবে। আর পিএইচ ডি-র ক্ষেত্রে মাস্টার্স ডিগ্রি স্তরে ব্যাচেলর্স ডিগ্রি স্তরের অনুরূপ নম্বর পেতে হবে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে।
বৃত্তিতে অন্যান্য খরচপত্র সহ ব্যক্তিগত ব্যয়ের জন্য প্রতি মাসে ৮৮২ পাউন্ড করে দেওয়া হবে। যাদের প্রতিষ্ঠান লন্ডন মেট্রোপলিটান এলাকার মধ্যে পড়বে তারা পাবে ১০৯১ পাউন্ড। বিবাহিত প্রার্থীর ক্ষেত্রেও আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে।
অনলাইন এবং অফলাইন এই বৃত্তির জন্য আবেদন করা যাবে। অনলাইনে আবেদন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৭ অক্টোবর। আর পোস্টের মাধ্যমে মানবোন্নয়ন মন্ত্রকে আবেদন পাঠানোর শেষ তারিখ ১২ অক্টোবর। ওয়েবসাইট: http://www.education.nic.in/। বৃত্তি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত খোঁজ পাওয়া যাবে ব্রিটিশ কাউন্সিলেও।
|
|
ব্রিটেনে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে এম এসসি বা পিএইচ ডি করার সুযোগ কেমন?
সোমা দত্ত, কলকাতা
ব্রিটেনে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং-এ উচ্চশিক্ষা করার সুযোগ রয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম দেওয়া হল: ১) ইউনিভার্সিটি অব কেন্ট-এর ‘ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ডিজিটাল আর্টস’-এ অ্যাডভান্সড ইলেকট্রনিক সিস্টেমস ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ব্রডব্যান্ড অ্যান্ড মোবাইল কমিউনিকেশন নেটওয়ার্কস-এর মতো বিষয়ে এম এসসি বা পিএইচ ডি করা যায়। ওয়েবসাইট: http://www.kent.ac.uk/courses/postgrad/index.html।
সোয়ানসি ইউনিভার্সিটির ‘কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং’-এ এয়ারোস্পেস, কেমিক্যাল অ্যান্ড বায়োলজিক্যাল প্রসেস, সিভিল, কম্পিউটেশনাল, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স, এনভায়রনমেন্টাল, মেটিরিয়ালস, মেকানিক্যাল, মেডিক্যাল, ন্যানোটেকনলজি ও স্পোর্টস সায়েন্স-এ পিএইচ ডি করার সুযোগ রয়েছে। ওয়েবসাইট: http://www.swan.ac.uk/
এগুলি ছাড়াও ইউনিভার্সিটি অব বার্মিংহাম-এর স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ফিজিক্যাল সায়েন্স-এ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স, ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল ও কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ এম ফিল বা পিএইচ ডি করা যেতে পারে। কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ উচ্চশিক্ষা করার সময় যেমন বায়োপ্রসেসিং, এনার্জি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইন্ডাসট্রিজ, ফুড হেলথ অ্যান্ড নিউট্রিশন ও স্পেশালিটি প্রোডাকটস-এর ওপর স্পেশালাইজেশন করা যায়। ওয়েবসাইট: http://www.birmingham.ac.uk/index.aspx |
|
• যোগ্যতার ক্ষেত্রে ১২.১০.১১-র মধ্যে প্রার্থীর বয়স চল্লিশ বছরের মধ্যে থাকতে হবে ।
• বৃত্তির জন্য মনোনীত ছাত্রছাত্রীদের ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা
প্রমাণ করতে আই ই এল টি এস পরীক্ষা দিতে হবে।
• অন্যান্য খরচপত্র সহ ব্যক্তিগত ব্যয়ের জন্য প্রতি মাসে ৮৮২ পাউন্ড করে দেওয়া হবে। |
|
|
বিদেশে হোটেল ম্যানেজমেন্ট কোর্স করতে চাই। কত বছরের কোর্স করার সুযোগ থাকে? কোর্স করার চাকরি পাওয়ার সুযোগ কেমন?
পল্লব রায়, পশ্চিম মেদিনীপুর
হোটেল ম্যানেজমেন্টের তিন ধরনের কোর্স হয় ডিগ্রি, ডিপ্লোমা ও সার্টিফিকেট কোর্স। ব্যাচেলর্স ডিগ্রি কোর্স তিন-চার বছরের, ডিপ্লোমা কোর্স দেড় থেকে দুই বছরের এবং সার্টিফিকেট কোর্স ছয় মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত হতে পারে। সাধারণত এই সমস্ত পেশাদার কোর্সে ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা থাকে। বিভিন্ন হোটেল, রেস্তোরাঁ বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে হাতে-কলমে কাজ শেখার জন্য শিক্ষার্থীদের পাঠানো হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ইন্টার্নশিপে রোজগারের সুযোগ থাকে। এই সময় ভাল কাজ দেখালে কোর্সের শেষে ওই সমস্ত প্রতিষ্ঠানেই কাজের সুযোগ পাওয়া যায়। এই পেশায় কাজের সুযোগ ভালই।
বিদেশে ফ্যাশন ডিজাইন নিয়ে পড়াশোনা করলে কী কেরিয়ার করা সম্ভব?
সুপ্রতিম বসু, আলিপুর
বিদেশে ডিজাইন নিয়ে পড়াশোনা করলে টেলিভিশন, ফিল্ম, থিয়েটারে কস্টিউম ডিজাইনার/ কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কাজ পাওয়া যায়। এ ছাড়া ফ্যাশন কনসালট্যান্ট, ফ্যাশন ডিজাইনার বা অ্যাসিসটেন্ট ডিজাইনার, ফ্যাশন অন্ত্রেপ্রেনিয়র, ফ্যাশন ফোরকাস্টার, ফ্যাশন ইলাসট্রেটর, ফ্যাশন ফোটোগ্রাফি কো-অর্ডিনেটর, ফ্যাশন কো-অর্ডিনেটর, ফ্যাশন স্টাইলিস্ট, প্যাটার্ন ডিজাইনার, প্রোডাকশন সুপারভাইজার, কোয়ালিটি কন্ট্রোলার হিসেবে কেরিয়ার গড়া যেতে পারে। |
|
|
|
|
|