শিল্পে পিছিয়ে থাকা জেলা পশ্চিম মেদিনীপুরেও রবিবার সকাল থেকে ছিল বিশ্বকর্মা পুজো ঘিরে উৎসবের মেজাজ। ছোট-বড় সব কারখানায় নানা আয়োজন। খড়্গপুর শিল্পতালুকেও পুজোয় মাতেন মানুষ। মেদিনীপুর-খড়্গপুর ও তার আশপাশে বেশ কিছু নজরকাড়া মণ্ডপ তৈরি হয়েছে। কোথাও দক্ষিণ ভারতের মন্দিরের আদলে মণ্ডপ, কোথাও বা মণ্ডপে মাদুরকাঠির কাজ। সন্ধে হতেই আলোর রোশনাই। বিশ্বকর্মা পুজোর অনুষঙ্গেই কার্যত সূচনা হল শারদোৎসবের।
রেলশহর খড়্গপুরে প্রতি বছরই বিশ্বকর্মা পুজো হয় সাড়ম্বরে। এখানে বহু ছোট-বড় কারখানা রয়েছে। শহর সংলগ্ন এই শিল্পতালুকে গত ক’বছরে কারখানার সংখ্যা বেড়েছে। সকাল থেকেই পুজোয় ব্যস্ত ছিলেন শ্রমিক-কর্মীরা। দুপুরে একসঙ্গে বসে খাওয়ার আয়োজন ছিল। বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের উদ্যোগেও হয়েছে পুজো। খড়্গপুরের বহু রিকশা স্ট্যান্ড, অটো স্ট্যান্ডেও পুজো হয়েছে। ছোট ছোট মণ্ডপ তৈরি করে হয়েছে দেব-কারিগরের আরাধনা। আলোকসজ্জা ছাড়াও মণ্ডপে-মণ্ডপে বেজেছে সাউন্ডবক্স। |
একই ছবি মেদিনীপুরেও। খড়্গপুরের মতো অতটা জৌলুস না-থাকলেও এখানেও পুজোকে কেন্দ্র করে উদ্দীপনা ছিল। পূর্ত, বিদ্যুৎ-সহ বিভিন্ন সরকারি দফতরের পাশাপাশি আইটিআইয়ের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও পুজোর আয়োজন হয়। অটো, রিক্সা-সহ শহরের প্রায় প্রতিটি গাড়ি স্ট্যান্ডেই পুজোর আয়োজন ছিল। দুই শহর ছাড়াও কেশপুর, বেলদা, নারায়ণগড়, ডেবরা, সবং, পিংলা এলাকার ছোট ছোট কারখানা, লোকালক্কড়ের দোকানে বেশ ঘটা করেই পুজো হয়েছে। শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র উদ্যোগে ডেবরা বাজার এলাকায় বিশ্বকর্মা পুজো হচ্ছে। উদ্বোধন করেন জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। পুজো উপলক্ষে দুঃস্থ মানুষের হাতে নতুন বস্ত্রও তুলে দেওয়া হয়। |