চব্বিশ ঘণ্টা পর নাইট নেতা হিসাবে নামছেন উপ্পলের মাঠে। প্র্যাক্টিস শেষে প্রথাগত সাংবাদিক সম্মেলনে এলেন না। কিন্তু মাঠ ছাড়ার আগে আইপিএল থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ধোনিদের ইংল্যান্ড সফর, পরের বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন, সব কিছুই খোলাখুলি বলে গেলেন জাক কালিস...
প্রশ্ন: আইপিএল ফাইনালে তো ওঠা গেল না। চ্যাম্পিয়ন্স লিগটা জেতা যাবে?
কালিস: নিশ্চয়ই। অতীত নিয়ে পড়ে থাকলে চলে না। আর আইপিএল কিন্তু আমাদের একেবারে খালি হাতে ফেরায়নি। বেশ কিছু ম্যাচ ভাল খেলেছিলাম। ফাইনালে উঠতে পারিনি ঠিকই, কিন্তু এটাও মাথায় রাখতে হবে যে আমরা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলছি।
প্র: কিন্তু কোয়াইলিফাইং পর্বেই আবার গৌতম গম্ভীরকে পাচ্ছেন না। ইয়ন মর্গ্যানও নেই। আচমকা পাওয়া অধিনায়কত্বকে চাপ বলে মনে হচ্ছে?
কালিস: গোতি বিশ্বমানের ক্রিকেটার। ওর অভাব টের পাব না বললে বোকামি হবে। কিন্তু নাইট রাইডার্স একজন বা দু’জনের উপর দাঁড়িয়ে নেই। গোতির জন্য হা-হুতাশ না করে আমাদের কারও উচিত ওর কাজটা করে দেওয়া। আর অধিনায়কত্ব নিয়ে কোনও দিন চাপে ভুগিনি আমি। ক্রিকেট খেলতে নামলে চাপ সবার উপর থাকে। শুধু অধিনায়ক কেন?
প্র: ইংল্যান্ড সফরে ভারতের দুর্দশা নিশ্চয়ই দেখেছেন। এর কারণ?
কালিস: ইংল্যান্ডে ভারত গিয়েছিল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়ে। প্রচুর ক্রিকেট খেলে। শারীরিক দিক থেকেই হোক কিংবা মানসিক দিক, দু’জায়গাতেই বিপর্যস্ত ছিল ভারতীয়রা। ইংল্যান্ডের মাটিতে ইংল্যান্ডকে সামলানো এমনিতেই খুব কঠিন। তার উপর টিমটা অসম্ভব চার্জড ছিল।
প্র: সচিন যে সচিন, তিনিও তো পারলেন না। অ্যান্ডারসনের কাছে বারবার ঠকতে হয়েছে। সমস্যাটা কোথায় হচ্ছিল?
কালিস: ইংল্যান্ড সফরে সচিনের ব্যাটিং আমি খুব খুঁটিয়ে লক্ষ্য করিনি। ভুলটা বলতে পারব না। তবে একটা সিরিজ সচিনের খারাপ যেতেই পারে। তা নিয়ে এত হইচইয়ের কী আছে? এত দিন যে টানল ভারতকে?
প্র: সচিন পারেননি, কিন্তু দ্রাবিড় পেরেছেন। ক্রিকেটার দ্রাবিড় কেমন, দুনিয়া জানে। মাঠে দাঁড়িয়ে মানুষ দ্রাবিড়কে কেমন দেখেছেন?
কালিস: গোটা বিশ্বের কাছে উদাহরণ হতে পারে রাহুল। মাঠে কোনও দিন উঁচু গলায় কথা বলতে শুনলাম না। বাজে আউট হয়েও কখনও আম্পায়ারের উপর চোটপাট করেনি। পারফেক্ট জেন্টেলম্যান।
প্র: শেষ প্রশ্ন। আপনার চল্লিশটা টেস্ট সেঞ্চুরি। সচিনকে তাড়া করছেন। তবু টি টোয়েন্টি খেলে কী পান? মনে হয় না এত বেশি টি টোয়েন্টি আপনার কেরিয়ার সংক্ষিপ্ত করে দেবে?
কালিস: মনে হয় না। টি টোয়েন্টি খেলতে ভাল লাগে, তাই খেলি। আসলে এটা পুরোপুরি নিজেকে সামলানোর ব্যাপার। যেটা আমি ভালই করতে পারি বলে মনে করি। কলকাতার হয়ে খেলতে এসে কতটা ভালবাসা পেয়েছি, বলে বোঝাতে পারব না। কলকাতা এখন আমার দ্বিতীয় ঘর। যত দিন ভাল লাগবে, টি টোয়েন্টি খেলব। বরং এটা বলে রাখি যে, পরের বিশ্বকাপেও আমাকে দেখতে পাবেন। |