তাঁর গত চার বছরের কোচ আর্মান্দো কোলাসো নয়, ভারতীয় ফুটবলকে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে উপরের দিকে তুলে আনার জন্য ম্যানুয়েল জোসকেই কোচ হিসাবে যোগ্য বলে মনে করেন বেটো। ডেম্পো ছেড়ে চার্চিল ব্রাদার্সে যোগ দেওয়া বেটো রবিবার দুপুরে পুণের হোটেলে বসে সরাসরি বলে দিলেন, “ম্যানুয়েলের যা কোচিং অভিজ্ঞতা এবং সাফল্য তাতে জাতীয় কোচ হিসাবে ফেডারেশনের তাঁকেই ভাবা উচিত।”
যাঁকে নিয়ে বেটোর এই উচ্ছ্বাস, সেই লুই ফিগোর পর্তুগাল টিমের সহকারি কোচ ম্যানুয়াল জোস দ্য সিলভা অবশ্য এখনই ভারত নিয়ে ভাবতে রাজি নন। তাঁর মাথায় ঘুরছে শুধুই তাঁর নতুন ক্লাব চার্চিল। “ভারতকে কোচিং করানোর স্বপ্ন আমি দেখি এটা সত্যি। কারণ এখানে প্রচুর প্রতিভা আছে। যাদের নিয়ে অ্যাঙ্গোলা, মলদ্বীপের মতো এখানেও ভাল কিছু করা যায়। এ দেশের ফুটবলের উন্নতির জন্যই ইউরোপ বা আফ্রিকায় সাফল্য পাওয়ার পরও ভারতে এসেছি। তবে এখন এ সব নিয়ে ভাবতে রাজি নই। আমার একটাই লক্ষ্য চার্চিলকে কিছু ট্রফি দেওয়া।” এ দেশের ক্লাব ফুটবলে এখনও পর্যন্ত যত বিদেশি কোচ কোচিং করতে এসেছেন তাদের মধ্যে ম্যানুয়েলের মতো চোঁখ ধাধানো জীবনপঞ্জি কারও নেই। পর্তুগাল জাতীয় দলে কোচিং করানোর পাশাপাশি বেনফিকা, স্পোর্টিং দ্য এসপিনো-সহ বহু দেশের সেরা ক্লাব টিমে কোচিং করিয়েছেন। সাফল্যও চমকে দেওয়ার মতো। দু’বছর আগে ট্রেভর মর্গ্যানের আগে তাঁকেই কোচ করতে চেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু পর্তুগালের প্রাক্তন কোচ স্কোলারির অনুরোধে সৌদি আরবের আল আহলির দায়িত্ব নেন তিনি। হোসে মোরিনহোর বন্ধু জানাচ্ছেন, “মোরিনহোর মতো ৪-৩-৩ ফর্মেশন আমার পছন্দ হলেও চার্চিল ফুটবলারদের দেখে ৪-১-৩-২ ফর্মেশনে খেলাচ্ছি। যা বিশ্বের কোথাও গিয়ে আমি করিনি।”
ওডাফার জুতোয় পা গলালেও তাঁর উপর চার্চিল ভাইদের কোন প্রত্যাশার চাপ নেই বলে জানিয়ে দিলেন বেটো। বললেন, “ওডাফা এবং আমার পজিশন আলাদা। ও গোল করতে চাইত। করত। আমি টিমকে জেতাতে চাই।” পাশাপাশি তাঁর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, “ওডাফা প্রচুর গোল করেছে। কিন্তু চার্চিল ক’টা বড় টুর্নামেন্ট জিতেছে ওর সময়? ফেড কাপ পায়নি। একবার আই লিগ পেয়েছে। সে জন্যই ওডাফার চেয়ে ভারতের সর্বকালের সেরা বিদেশি ফুটবলার হিসাবে ব্যারেটোকে আমি এগিয়ে রাখব। আমি সেরা বিচার করতে চাই ট্রফি দিয়ে। ব্যারেটোর ধারাবাহিকতা কারও নেই।” মোহনবাগান কেন হারল তা নিয়ে মন্তব্য করতে না চাইলেও বেটো বললেন, “ওদের হার আমাদের সতর্ক করেছে।” আজ সোমবার চার্চিলের সঙ্গে খেলবে ওয়াহিংডো।
ওডাফার মতো বেটোও রবিবার বলে দিলেন, “আমারও ইচ্ছে ভারতের জার্সি পরে খেলার। নাগরিকত্ব নেওয়ার। ফেডারেশন সুযোগ দিলে খেলব।” ব্যারেটোর সঙ্গে কলকাতায় খুব শীঘ্রই দ্বিতীয় অ্যাকাডেমি তৈরি করতে চলেছেন গোয়ার মতো। তারপর রোনাল্ডো, কাকাদের মতো ব্রাজিলের তারকাদের এনে একটি ম্যাচ করানোর ইচ্ছে আছে বেটোর। হাসতে হাসতে বললেন, “মেসির আর্জেন্তিনা এসেছে। এ বার ব্রাজিল ম্যাচ হোক না।” |