বিদ্যুতের খুঁটি পোঁতা নিয়ে চাপান-উতোর
দীর্ঘদিন ধরে রাস্তায় বিদ্যুতের খুঁটি পোঁতা নিয়ে আরামবাগে চাপান-উতোর চলছিল রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা ও পূর্ত (নির্মাণ) দফতরের মধ্যে। ফের একটি খুঁটি পোঁতাকে কেন্দ্র করে সেই চাপান-উতোর নতুন মাত্রা পেল। সমস্যা মেটাতে হস্তক্ষেপ করতে হচ্ছে মহকুমাশাসককে।
মহকুমা পূর্ত (নির্মাণ) দফতরের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা না করে, নিয়ম-কানুন না মেনে বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা পাকা রাস্তাগুলির ধারে যত্রতত্র বিদ্যুতের খুঁটি পোঁতে। ইচ্ছামতো খননের ফলে রাস্তার স্থায়িত্ব নষ্ট হয়। দুর্ঘটনারও আশঙ্কা থাকে। অন্য দিকে, বিদ্যুৎ বন্টন দফতরের পাল্টা অভিযোগ, সরকারি জমি ব্যবহার করে তারা শহর ও গ্রামোন্নয়নের কাজ করলেও বাধা দেয় পূর্ত (নির্মাণ) দফতর। সম্প্রতি দৌলতপুরের কাছে আরামবাগ-বর্ধমান রোডের ধারে একটি বিদ্যুতের খুঁটি পোঁতে বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা। এই খুঁটি পোঁতাকে কেন্দ্র করে দুই দফতরের চাপান-উতোর ফের সামনে চলে আসে। অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ চলে। তারা সমস্যার মীমাংসার জন্য মহকুমাশাসক অরিন্দম নিয়োগীর দ্বারস্থ হন।
মহকুমা পূর্ত (নির্মাণ) দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার অমলকুমার মজুমদার বলেন, “রাস্তাগুলি দেখভালের দায়িত্ব আমাদের। রাস্তার মাঝখান থেকে ১৫ মিটার দূরে বিদ্যুতের খুঁটি পোঁতা যেতে পারে। কিন্তু অধিকাংশ জায়গাতেই আমাদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ না করে ৭-৮ মিটার দূরে খুঁটি পোঁতা হচ্ছে।” তাঁর দাবি, আরামবাগ-বর্ধমান রোডের ধারে যেখানে বিদ্যুতের খুঁটি পোঁতা হয়েছে, রাস্তার মাঝখান থেকে সেই দূরত্ব ১০ মিটারেরও কম। খুঁটি সরানো না-হলে রাস্তার ক্ষতি এবং দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ব্যাপারে তাঁরা মহকুমাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন।
মহকুমাশাসকের পক্ষে তদন্তকারী ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সমীর দাস জানিয়েছেন, তদন্তে দেখা গিয়েছে, দৌলতপুরে ওই খুঁটিটি নির্দিষ্ট রাস্তার মাঝখান থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বের কম দূরত্বে রয়েছে।
অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার আরামবাগের ডিভিশনাল ম্যানেজার চন্দন মণ্ডল। তাঁর দাবি, “ওই খুঁটিটি যথেষ্ট দূরত্বেই রয়েছে। ওই খুঁটির মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহও করাও শুরু হয়েছে।” অবশ্য এর পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, শুধুমাত্র ওই খুঁটিটি সরাতে তাঁদের আপত্তি নেই। কিন্তু তার ফলে, অন্য খুঁটিগুলির সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করা যাবে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে হবে।
মহকুমাশাসক বলেন, “দু’পক্ষকে নিয়ে সরেজমিন তদন্ত হয়েছে। দু’পক্ষকেই আইন মোতাবেক কাজ করতে বলা হয়েছে। সরকারি দফতরগুলির মধ্যে সমন্বয়ের পরিবেশ দৃঢ় করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.