ভূমিকম্প একনজরে

নেপালে মৃত্যু পাঁচ জনের
অন্তত ৫ জনের মৃত্যু। কাঠমান্ডুতে ব্রিটিশ দূতাবাসের দেওয়াল চাপা পড়ে আট বছরের একটি মেয়ে-সহ তিন জনের মৃত্যু হয়। আহত এক জন। ভারত-নেপাল সীমান্তে ভূমিকম্পের কেন্দ্রের কাছেই ধারান এলাকা। সেখানে ভাঙা দেওয়াল চাপা পড়ে মারা গিয়েছেন দু’জন। আতঙ্কে অফিস, বাড়ি বা বাজার থেকে ছুটে বেরোতে গিয়ে আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
কাঠমান্ডুতে ব্রিটিশ দূতাবাসের ভেঙে পড়া দেওয়াল সরাতে নেমেছে সেনা। রয়টার্সের ছবি।

কাঠমান্ডুর এক হাসপাতালে আট বছরের বীরবাহাদুর মাঝি
ও ৩৬ বছরের সজন শ্রেষ্ঠর দেহ। ভূমিকম্পের জেরে ভেঙে পড়েছিল ব্রিটিশ
দূতাবাসের দেওয়াল। তার জেরেই মৃত্যু হয় এই দু’জনের। ছবি: এ এফ পি
 
ক্ষতি বাংলাদেশেও
দেড় মিনিট মতো কাঁপল বাংলাদেশের মাটিও। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বগুড়া, ফরিদপুর, জামালপুর, রংপুর এবং সিলেট-সহ বিভিন্ন এলাকায় কম্পন বোঝা যায়। ঢাকার চামেলিবাগে একটি নির্মীয়মাণ ভবনের ছাদের অংশ ভেঙে পড়ে। বগুড়ার সাতানিবাড়ি এলাকায় এবং মহাখালিতে হেলে পড়ে বাড়ি। লালমণিরহাটের পাটগ্রামে রেলের একটি ভবন ধসে গিয়েছে। নাটোরের সিংড়ায় ন’টি গ্রামের ২০টি বাড়ি ভেঙে পড়েছে।

মমতার আশ্বাস
সিকিমকে সব রকম সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার তিনি বলেছেন, “সিকিমের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। বাংলার মানুষের পক্ষ থেকে সব রকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে রাতের ট্রেনেই দার্জিলিং চলে যেতে বলেছি। গৌতম দেবকেও পাঠিয়ে দিচ্ছি। তেমন হলে নিজেও যাব।” পাহাড়ের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনি মোর্চা নেতা হড়কা বাহাদুর ছেত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।

বারবার চার
এই নিয়ে চতুর্থ বার। শুধু চলতি মাসেই এখনও পর্যন্ত ৪টি ভূমিকম্পের সাক্ষী হল ভারত। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, ৪ সেপ্টেম্বর কেঁপে উঠেছিল মণিপুরের উখরুল জেলা। ৭ সেপ্টেম্বর কাঁপল হরিয়ানার সোনেপত। দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের অনেক জায়গাতেই বোঝা গিয়েছিল সেটা। ১১ তারিখ গুজরাতের কচ্ছে ফের মৃদু কম্পন হয়।

সাহায্যে মোদী
অনশন মঞ্চ থেকেই ভূমিকম্পের খবরে উদ্বেগ ও সমবেদনা প্রকাশ করলেন নরেন্দ্র মোদী। দুর্গতদের সাহায্যে গুজরাত সরকার সর্বতো ভাবে সাহায্য করতে চায় বলেও ঘোষণা করলেন। নিজেকে জাতীয় নেতা হিসেবে তুলে ধরার যে লক্ষ্য নিয়ে অনশনে বসেছেন মোদী, ভূমিকম্পের নিরিখেও সেই ভূমিকাই বজায় রাখলেন তিনি। বললেন, “গুজরাতে যে বার ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়, সারা পৃথিবী সাহায্যের হাত বাড়িয়েছিল। এখন যখন দেশের অন্য অংশ বিপর্যস্ত, গুজরাতের সরকার এবং মানুষ অবশ্যই পাশে দাঁড়াবে। রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে যে কোনও জায়গায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছি।”

ফাটলে স্পিকার
রাঁচি শহরের প্রাণকেন্দ্রেও ফাটল! ঝাড়খণ্ড বিধানসভার স্পিকার সি পি সিংহ জানিয়েছেন, তাঁর সরকারি বাসভবনে চিড় ধরেছে। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে সিংহ বলেন, রান্নাঘর আর ভাঁড়ারঘর মিলিয়ে প্রায় ৩-৪টি ফাটল দেখা যাচ্ছে। সেগুলো আগে ছিল না। সন্ধে সওয়া ছ’টা নাগাদ ভূমিকম্পের পরেই এই সব ফাটল নজরে আসে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.