সবুজায়নের জন্য তহবিল পূর্বস্থলীর স্কুলে |
এলাকায় সবুজায়নের প্রসার ঘটাতে পূর্বস্থলী ১ ব্লকের নাদনঘাট রামপুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় তৈরি করল ‘গ্রিন ফান্ড’। ওই তহবিলে সম্প্রতি রাজ্য সরকারের কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরস্কারের টাকা দিয়ে দিলেন স্কুলের ইংরেজি শিক্ষক ‘গাছ মাস্টার’ অরূপ চৌধুরী। রামপুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে শনিবার জেলা স্কুল পরিদর্শক আব্দুল হাইয়ের হাতে ওই অর্থ তুলে দেন অরূপবাবু। পরে জেলা স্কুল পরিদর্শক স্কুলের ইকো ক্লাবের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক অশোক রায়ের হাতে তুলে দেন। অশোকবাবু জানান, গ্রিন ফান্ডের টাকা দিয়ে স্কুল ও আশেপাশে সবুজায়নের প্রসার হবে। এছাড়াও দুঃস্থ মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা ও তাদের চিকিৎসার খরচ ওই তহবিল থেকেই মেটানো হবে। এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সরকারের পুরস্কারপ্রাপ্ত আর এক শিক্ষক দেবাশীষ নাগ। তিনি পুরস্কারের অর্থ তুলে দেন পূর্বস্থলী দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক স্বপন দেবনাথের হাতে। ওই অর্থে একটি তহবিল তৈরি করে বিধায়ক গরিব পড়ুয়াদের সাহায্য করবেন বলে জানিয়েছেন সমুদ্রগড় উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবাশীষবাবু। তাঁর কথায়, “আমার সম্মানের সমান অংশীদার ছাত্রছাত্রীরা। ওদের জন্য কিছু করতে পেরে ভাল লাগছে।” নাদনঘাট রামপুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুকুমার গড়াই বলেন, “পাড়াশোনা ছাড়াও আমাদের স্কুল সবুজায়নের পথে অনেকটাই এগিয়ে এগিয়েছে। আশা করি ভবিষ্যতে আরও এগোবে। শিক্ষক-শিক্ষকদের আন্তরিকতায় এ সব সম্ভব হয়েছে।”
|
তৃণমূলের ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব’, জখম যুবক |
তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী সংঘর্ষে জখম হলেন এক যুবক। রবিবার সকালে রায়নার বেলসর গ্রামের ঘটনা। জখম নজু মির্জাকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, এ দিন সকালে বেলসর বাজারে বসে চা খাওয়ার সময়ে এক দল তৃণমূল কর্মী-সমর্থক তাঁকে আক্রমণ করেন। মাটিতে ফেলে লাঠি-রড দিয়ে মারা হয় তাঁকে। হাসপাতালে জখম যুবককে দেখতে এসে গত বিধানসভা ভোটে রায়নার তৃণমূল প্রার্থী নেপাল ঘোড়ুই দাবি করেন, “নজু আমাদের সক্রিয় কর্মী। দিন কয়েক আগে শৈলেন সাঁই রায়না ১ ব্লকে দায়িত্বভার পাওয়ার পরে তাঁর লোকজন আমাদের মারধর করে বেড়াচ্ছে। দলের নেতাদের এই ঘটনার কথা জানিয়েছি। কিন্তু কোনও ফল হয়নি।” নেপালবাবুর আরও দাবি, তাঁদের আরও কয়েক জন এই আক্রমণের মুখে পড়ে পালিয়ে যান। এই ঘটনা পুলিশকে জানানো হয়েছে। শৈলেনবাবু অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, “বেলসরে এক যুবক ইভটিজিংয়ের ঘটনায় জড়িয়ে পড়েন। তা নিয়েই ওই চায়ের দোকানে তাঁর সঙ্গে কিছু লোকের ধাক্কাধাক্কি হয়। তাতে পড়ে গিয়ে ওই যুবক আহত হয়েছেন। যা শুনেছি, আঘাত তেমন গুরুতর নয়।” তাঁর পাল্টা দাবি, “এই ঘটনায় তৃণমূলের লোকজন কোনও ভাবে জড়িত নন। চক্রান্ত করে মিথ্যা রটানো হচ্ছে।” পুলিশ জানায়, ঘটনার কথা মৌখিক ভাবে তাদের জানানো হয়েছে। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে।
|
প্রৌঢ় দম্পতির ঝুলন্ত দেহ |
এক প্রৌঢ় দম্পতির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল মঙ্গলকোট থানার পুলিশ। রবিবার সকালে মাথরুন গ্রামের মাঝেরপাড়া দম্পতির দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত দম্পতির নাম সাধন চট্টোপাধ্যায় (৫৫) ও সাধনা চট্টোপাধ্যায় (৪৫)। দেহ দু’টি ময়না-তদন্তের জন্য কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ দিকে দেহ দু’টির কাছ থেকে একটি ‘সুইসাইড নোট’ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, পারিবারিক জমি-জায়গা সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই ওই দম্পতি আত্মহত্যা করেছেন। ওই দম্পতির মেয়ে মঙ্গলকোটের কৈচর ফাঁড়িতে তাঁর দুই জ্যাঠা ও এক পরিচিত ব্যক্তির নামে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ জানিয়েছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
|
আমগোড়িয়া-গোপালপুর আরজিএম ইনস্টিটিউশনের পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করলেন তৃণমূল সমর্থিত ৬ জন প্রার্থী। শনিবার ছিল কেতুগ্রামের ওই স্কুলে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। তৃণমূল ছাড়া আর কোনও রাজনৈতির দলের সমর্থিত প্রার্থীরা মনোনয়ন পত্র জমা দেননি। সিপিএমের ভাগীরথী-অজয় জোনাল কমিটির সদস্য তপন কাজির অভিযোগ, “ওই এলাকায় সন্ত্রাস তৈরি করেছে তৃণমূল। সুষ্ঠভাবে নির্বাচন সম্ভব নয় বলে আমরা যোগ দিইনি।” তৃণমূলের আগড়ডাঙা অঞ্চল সভাপতি রহিম মির্জার কথায়, “সিপিএমই এত দিন সন্ত্রাস তৈরি করছিল। গণতন্ত্র ফিরে আসায় এখন পিছু হটেছে।”
|
মুসলেমাবাদ হাই মাদ্রাসার পরিচালন সমিতির নির্বাচনে জয়লাভ করলেন সিপিএম সমর্থিত প্রার্থীরা। কালনা ১ ব্লকের আটঘোড়িয়া সিমলন পঞ্চায়েতে ওই হাই মাদ্রাসায় রবিবার ছিল পরিচালন সমিতির ভোট। সিপিএম ছাড়াও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা। সব ক’টি আসনে জিতেছেন সিপিএম সমর্থিত প্রার্থীরা। |