উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও জেলা স্বাস্থ্য দফতরকে সঙ্গে নিয়ে শিলিগুড়ি ও লাগোয়া এলাকার নার্সিংহোমগুলির স্ট্যাটাস রিপোর্ট তৈরির কাজে নামছে শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এসজেডিএ)। সোমবার এ কথা জানিয়েছেন এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য। এসজেডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, নার্সিংহোমগুলিতে কারা চিকিৎসা করেন, শয্যা কত, অস্ত্রোপচারের ব্যয়ই বা কত তা নিয়ে রোগী এবং পরিবারের লোকেদের কাছ থেকে দীর্ঘদিন ধরেই জেলা স্বাস্থ্য দফতরে নানা অভিযোগ জমা পড়ছিল। অথচ জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কাছে এই বিষয়ে কোনও তথ্য নেই। তথ্য নেই শহরের বেসরকারি ল্যাবরেটরিগুলোরও। এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান বলেন, “আমাদের লক্ষ্য স্ট্যাটাস রিপোর্টের সাহায্যে এই সংক্রান্ত একটি তথ্যপঞ্জি তৈরি করা যাতে শহরে চিকিৎসার মান পর্যালোচনা করা যায়। রোগীদের চিকিৎসায় সুবিধে হয়।” নার্সিংহোমগুলিতে অস্ত্রোপচার-সহ চিকিৎসার কোন খাতে কত টাকা দিতে হয় তারও তালিকা টাঙাতে হবে বলে এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান জানিয়েছেন। তিনি জানান, ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের বিপরীতে, প্রধাননগরে, সুভাষপল্লিতে, হাকিমপাড়ায় এবং বিধান রোডে রাতে ওষুধের দোকান খোলা থাকবে। প্রতিটি দোকানে পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। রাজ্যে নয়া সরকার গঠনের পরে শিলিগুড়িতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে উদ্যোগী হয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। শিলিগুড়ি পুরসভা এবং এসজেডিএও এই কাজে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ, শিলিগুড়ি হাসপাতালে নানাবিধ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, নার্সিংহোমগুলির দিকেও নজর দেওয়ার পরিকল্পনা হয়েছে। নার্সিংহোমগুলিতে আরএমও হিসাবে কাজ করেন, প্রশিক্ষিত নার্স কতজন, তাও খতিয়ে দেখা হবে। এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান বলেন, “মেডিক্যাল কলেজের কম্যুনিটি মেডিসিন বিভাগের সাহায্য নিয়ে এই স্ট্যাটাস রিপোর্ট তৈরি করা হবে। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকেই তাঁদের পরিকাঠামো সম্পর্কে জেলা স্বাস্থ্য দফতরকে জানাতে হবে। পুরসভার হেলথ পোস্ট, বেসরকারি ল্যাবরেটরিগুলিকে নিয়েও একই ধরনের স্ট্যাটাস রিপোর্ট তৈরি করা হবে বলে তিনি জানান। এ দিকে, গরিব রোগীদের কথা বিবেচনা করে শিলিগুড়িতে বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে স্বল্প ব্যয়ের হাসপাতাল তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান জানান, প্রকল্প তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। দ্রুত তা ঘোষণা করা হবে। |