আন্দোলন শুরু ছ’জেলা জুড়ে |
রায়গঞ্জে এইম্সের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরির পরিকল্পনা জিইয়ে রাখতে উত্তরবঙ্গ জুড়ে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে কংগ্রেস। আজ, মঙ্গলবার ওই আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করতে বৈঠকে বসছেন ছয় জেলার শীর্ষ কংগ্রেস নেতৃত্ব। শিলিগুড়িতে দলের দফতরে ওই বৈঠক হবে। রায়গঞ্জের কংগ্রেস সাংসদ দীপা দাশমুন্সির উদ্যোগেই ওই বৈঠক ডাকা হয়েছে বলে দলীয় সূত্রের খবর। তিনি বলেন, “বহুদিন উত্তরবঙ্গের নেতাদের নিয়ে দলের বৈঠক হচ্ছে না। তাই বৈঠক ডাকা হয়েছে। সাংগঠনিক নানা বিষয়ের সঙ্গে এইম্সের ধাঁচে হাসপাতালের প্রসঙ্গেও আলোচনা হবে। বিস্তারিত বৈঠকের পরে জানানো হবে।” কংগ্রেস সূত্রের খবর, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, দুই দিনাজপুর, মালদহের জেলা কংগ্রেস সভাপতিদের ছাড়াও দলের প্রবীণ নেতা, বিধায়কদের ওই বৈঠকে ডাকা হয়েছে। রায়গঞ্জে এইম্সের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরির পরিকল্পনা রাজ্য সরকার দক্ষিণবঙ্গে সরিয়ে নেওয়ার জন্য তৎপর হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রী তিস্তা জলবন্টন চুক্তি নিয়ে উত্তরবঙ্গবাসীর স্বার্থরক্ষার জেহাদ ঘোষণা করলেও রায়গঞ্জে এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরি বাস্তবায়িত করতে তৎপর নন বলে অভিযোগ তুলেছেন কংগ্রেস নেতাদের একাংশ। কোচবিহার জেলা কংগ্রেস সভাপতি শ্যামল চৌধুরী বলেন, “ওই বৈঠকের আমন্ত্রণ পেয়েছি। কী আলোচনা হবে তা জানা নেই।”
|
জীবাণু চিহ্নিতকরণ কেন্দ্র শিলিগুড়িতে |
বিভিন্ন সংক্রামক রোগের চিকিৎসায় শিলিগুড়িতে একটি কেন্দ্র খুলছে ন্যাশনাল ইন্সস্টিটিউট অব কলেরা অ্যান্ড এন্টেরিক ডিজিস সংস্থা। সোমবারই ওই সংস্থার পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের দফতরে চিঠি পৌঁছেছে। এসজেডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাইরাস ও ব্যাকটিরিয়া সংক্রান্ত অধিকাংশ জটিল রোগের জীবাণু চিহ্নিত করার জন্য রোগীর রক্ত কিংবা রক্তরসের নমুনা এত দিন কলকাতা অথবা পুণেতে সংস্থার দফতরে পাঠাতে হয়। শিলিগুড়িতেই এ বার কেন্দ্র চালু হলে সেই সমস্যা দূর হবে। এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য জানান, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরেই সংস্থার কেন্দ্র চালু করা হবে। তাতে উত্তরবঙ্গে রোগ জীবাণু নিয়ে গবেষণার সুযোগও বাড়বে।
|
সেন্ট জন অ্যাম্বুল্যান্স খড়্গপুর শাখার উদ্যোগে রবিবার পালিত হল বিশ্ব প্রাথমিক চিকিৎসা দিবস। সংস্থার কার্যালয়ে ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন অজিত গুপ্ত, এম এ নাজমি, ইন্দ্রনীল কুলাভি, শতদল বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
|
এ বার খোদ মেয়রের বাড়ির সামনেই মিলল ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গির জীবাণুবাহক মশার ডিম। সোমবার একটি পাত্রে তা পুরভবনে নিয়ে আসেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় স্বয়ং। পুর-স্বাস্থ্য বিভাগের মশা বিশেষজ্ঞেরা জানান, ওর মধ্যে রয়েছে ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গির জীবাণুবাহক যথাক্রমে অ্যানোফিলিস ও এডিস মশার লার্ভা। মেয়র জানান, এ দিন তাঁর বাড়ির কাছে ১০০ দিনের প্রকল্পের কিছু সাফাইকর্মী ভাঙা বেসিনে জমা জলে ডিমগুলি দেখে মেয়রকে দেন। ওই কর্মীদের প্রশংসা করেছেন মেয়র। অন্য দিকে, এই ঘটনায় বিব্রত পুর-স্বাস্থ্যকর্তারা কোনও মন্তব্য করেননি। |