এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরি নিয়ে উত্তর দিনাজপুরে কংগ্রেস ও তৃণমূলের বিরোধ ক্রমশই বাড়ছে।
রবিবার হেমতাবাদে রায়গঞ্জের কংগ্রেস সাংসদ দীপা দাশমুন্সি অভিযোগ করেন, “এই জেলায় কংগ্রেস শক্তিশালী বলেই উন্নয়ন হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল গড়ার জন্য জমি পছন্দ করে গেলেও রায়গঞ্জে জমি মিলছে না বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচার করেছেন। কংগ্রেসকে নিশ্চিহ্ন করতে উন্নয়নকে সামনে রেখে চক্রান্ত হচ্ছে।”
এর ২৪ ঘন্টার মধ্যেই সাংবাদিক সম্মেলন করে কংগ্রেস সাংসদের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন তৃণমূলের জেলার মন্ত্রী, নেতারা। মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে সোমবার জেলা পরিষদের নতুন ভবন উদ্বোধনের অনুষ্ঠান ‘বয়কট’ও করেন জনশিক্ষা ও গ্রন্থাগারমন্ত্রী আব্দুল করিম চৌধুরী। ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম এ দিন সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “দীপাদেবী রাজনৈতিক স্বার্থে মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অপমানজনক কথাবার্তা বলছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হিংসা করেন কংগ্রেস সাংসদ। উনি দায়িত্বজ্ঞানহীন কথাবার্তা বলছেন।”
মন্ত্রীর অভিযোগ, “হাসপাতাল তৈরির জন্য জমি অধিগ্রহণের পদ্ধতি, প্রক্রিয়া চলছে। দীপাদেবী-সহ কংগ্রেস নেতারা তা না জেনেশুনেই মন্তব্য করছেন। কংগ্রেস সাংসদ সরাসরি মহাকরণে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে পারতেন। তা না করে শুধুমাত্র চিঠি দিয়েছেন।” সাংবাদিক সম্মেলনে জেলা তৃণমূল সভাপতি অসীম ঘোষ, দলের জেলা নেতা তিলক চৌধুরীরা বলেন, “আমরাও ওই হাসপাতাল চাই। সরকার গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখছে। মাত্র চার মাসের সরকার। কিন্তু গত আড়াই বছর কেন হল না, কংগ্রেসকেই জবাব দিতে হবে।”
দীপাদেবীর প্রতিক্রিয়া, “তৃণমূল নেতারা কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার করছেন। রায়গঞ্জে এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরির জন্য জেলা কংগ্রেস যতদূর সম্ভব যাবে। সাংবাদিক সম্মেলন করে কেউ কেউ জেলার মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাইছেন।”
কংগ্রেস পরিচালিত জেলা পরিষদের কাজকর্ম নিয়ে ‘অস্বচ্ছতা’, ‘দুর্নীতি’র অভিযোগও তুলেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁরা জানান, তৃণমূল সমর্থকদের উপরে কংগ্রেস সমর্থকদের ‘হামলা’র প্রেক্ষিতে জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি এবং বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারের দাবিও মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। |