বিকল্প কাজের দাবিতে গেটে তালা ঝুলিয়ে মহকুমা পরিষদ অচল করে অবস্থান বিক্ষোভ দেখালেন এক সময় সেতু পাঠক্রমে যুক্ত থাকা সহায়ক এবং সুপারভাইজাররা। সোমবার বেলা ৯ টা থেকে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের গেট আটকে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। তাতে দফতরে কর্মী আধিকারিকেরা কেউ ঢুকতে পারেননি। মহকুমা পরিষদ অচল করে আন্দোলনের খবর পেয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব শিলিগুড়ি পুরসভার পূর্ত বিভাগের মেয়র পারিষদ কৃষ্ণ পালকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলতে পাঠান। কলকাতা থেকে ফিরে ২০ সেপ্টেম্বরের আগে সেতু পাঠ্যক্রমের সমস্যা নিয়ে সর্বশিক্ষা মিশনের আধিকারিক, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী আলোচনায় বসবেন আশ্বাস দিলে বেলা দেড়টা নাগাদ অবস্থান তুলে নেওয়া হয়। ২৬ জুন নোটিশ দিয়ে সেতু পাঠ্যক্রমের কেন্দ্রগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাতে সর্বশিক্ষা মিশন প্রকল্পে ২০০৫ সাল থেকে ওই কেন্দ্রগুলিতেস্কুল ছুট ছেলেমেয়েদের, বয়স্কদের পড়াশোনার কাজে যুক্ত সহায়ক এবং সুপারভাইজাররা কর্মচ্যুত হয়ে পড়েন৯ জুলাই জেলাশাসকের সঙ্গে আলোচনায় তাঁদের এক মাস সময় দিয়ে বিকল্প কাজের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি। কিন্তু দুই মাস পরেও কাজ না হওয়ায় তারা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছেন। সেতু পাঠ্যক্রম সংগঠনের আহ্বায়ক বিভাস চক্রবর্তী বলেন, “সেতু পাঠ্যক্রমে নিয়োগ করার সময় চুক্তি ছিল কর্মীরা অন্য কোনও কাজে যুক্ত হতে পারবে না। বর্তমানে তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সকলে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। বিকল্প কাজের ব্যবস্থা রাজ্য সরকারের তরফে নেওয়া হচ্ছে না। সে কারণেই আন্দোলনে নামতে হয়েছে।” কৃষ্ণবাবু জানিয়েছেন, গেটে তালা ঝুলিয়ে কাউকে ঢুকতে না দিয়ে আন্দোলন করায় মহকুমা পরিষদের কাজ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। তিনি বলেন, “উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর নির্দেশে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেছি। ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তা স্থগিত রাখতে বলা হয়েছে। শিলিগুড়িতে ফিরে বৈঠকে বসবেন মন্ত্রী।” |