|
|
|
|
রাজ্যের কিছু পথকে জাতীয় সড়ক করার প্রস্তাব কেন্দ্রকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
পশ্চিমবঙ্গের বেশ ক’টি রাজ্য সড়ককে জাতীয় সড়কে উন্নীত করতে কেন্দ্রের দ্বারস্থ হল রাজ্য। এই কাজে যে বিপুল অর্থের প্রয়োজন তা এই মুহূর্তে রাজ্য সরকারের কাছে নেই। বহু ক্ষেত্রে অর্থের অভাবেই বন্ধ রয়েছে রাস্তা চওড়া ও মেরামতির মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ। সে কারণেই কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রকের সাহায্য চেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। কেন্দ্র অর্থ দিলে ডজনখানেক রাজ্য সড়ককে দ্রুত জাতীয় সড়ক হিসেবে গড়ে তোলা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে রাজ্য। ‘জাতীয় সড়ক নির্মাণে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ-এর ভূমিকা’ সংক্রান্ত একটি বৈঠকে যোগ দিতে আজ দিল্লিতে এসেছিলেন রাজ্যের পূর্ত ও পরিবহণ মন্ত্রী সুব্রত বক্সি। বৈঠক শেষে তিনি বলেন, “বর্তমানে রাজ্যের যা আর্থিক অবস্থা, তাতে কেন্দ্র বা বেসরকারি সংস্থার বিনিয়োগ ছাড়া সড়ক নির্মাণ করা খুব কঠিন।” এ নিয়ে আজ কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রকের কর্তাদের সঙ্গে আলোচনাও করেছেন রাজ্যের পূর্ত ও পরিবহণ দফতরের সচিবরা। কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রক বিষয়টি নিয়ে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে বলে রাজ্যের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। রাজ্যের যে সড়কগুলি জাতীয় সড়ক করে তোলার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে: নন্দকুমার থেকে দিঘা, দুর্গাপুরের মুচিপাড়া থেকে বাঁকুড়া, পানাগড় থেকে ইলমবাজার ও পুরুলিয়া জেলার দু’টি রাস্তা।
যে জাতীয় সড়কগুলির কাজ মঞ্জুর হওয়া সত্ত্বেও দীর্ঘসূত্রতার কারণে আটকে রয়েছে, সেগুলির জন্যও এ দিনের বৈঠকে তদ্বির করেছে রাজ্য। সুব্রতবাবু বলেন, “কোনা থেকে কাকদ্বীপ প্রায় ৬০ কিলোমিটারের বেশি রাস্তাকে জাতীয় সড়ক হিসেবে গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে বহু দিন আগে। কাজ হয়নি বিন্দুমাত্র।” এ ছাড়া, দীর্ঘদিন ধরে কলকাতা থেকে আসানসোলের মধ্যে পানাগড়ের কাছে প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা মেরামতির কাজ আটকে রয়েছে। চওড়া ও মেরামতির কাজ থমকে রয়েছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের মুর্শিদাবাদ, নদীয়া ও উত্তর ২৪ পরগণা জেলার কিছু অংশে। এই কাজগুলিও যাতে শীঘ্র শুরু হয়, সে ব্যাপারেও পরিবহণ মন্ত্রকের কর্তাদের সঙ্গে এক প্রস্ত আলোচনা করেছেন রাজ্যের আমলারা। |
|
|
|
|
|