|
|
|
|
সিটুর সঙ্গে সমালোচনায় আইএনটিইউসি-ও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
সিটু-সহ বিভিন্ন বামপন্থী শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের পাশে বসে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করলেন আইএনটিইউসি নেতা রমেন পাণ্ডে। তাঁর অভিযোগ, শিল্পে বোনাস থেকে বিভিন্ন বিষয়ে স্বীকৃত শ্রমিক ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনা না করে ‘অগণতান্ত্রিক’ কাজ করছে রাজ্য সরকার। যা অতীতে কংগ্রেস বা বামফ্রন্ট সরকার কখনও করেনি। রমেনবাবুর আরও অভিযোগ, “এই সরকার মুখে গরিবদের রক্ষার কথা বললেও বণিকসভার সঙ্গে কথা বলে একতরফা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।” আইএনটিইউসি তাঁদের ‘পাশে’ দাঁড়ানোয় সিটু নেতারা খুশি। সিটুর রাজ্য সম্পাদক কালী ঘোষ জানান, মোবাইল পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীরা নানা দাবিতে ১৯ সেপ্টেম্বর ৪ ঘণ্টা ধর্মঘট ডেকেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্মঘট বন্ধ করতে আইন করার ভাবনা নিয়ে রমেনবাবু বলেন, “আইন করে বন্ধ বা ধর্মঘট তুলে দেওয়া যায় না। এটা শ্রমিকদের অধিকার। এমন কিছু করার চেষ্টা হলে রাজ্য জুড়ে ধর্মঘট হবে।” রাজ্যে কংগ্রেস-তৃণমূল জোট সরকারের বয়স মাত্র সাড়ে তিন মাস। এই অবস্থায় আইএনটিইউসির রাজ্য নেতার কথায় কংগ্রেস নেতৃত্ব অস্বস্তিতে। যদিও ‘শ্রমিক স্বার্থের’ কথা বলে বিতর্ক এড়াতে চেষ্টা করছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা আইএনটিইউসির রাজ্য সভাপতি সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “আশা করব রাজ্য শীঘ্রই শ্রম নীতি ঘোষণা করবে। তখনই যা বলার বলব।” ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের মাধ্যমে বোনাস, ঠিকা শ্রমিকদের কাজের সময় নির্ধারণ, ঠিকা শ্রমিক আইন সংশোধন করে শ্রমিকদের আরও সুযোগ-সুবিধা প্রদান, ত্রিপাক্ষিক শ্রম উপদেষ্টা পর্ষদকে কার্যকর করা ইত্যাদি দাবিতে শ্রমিক ভবনে সাংবাদিক বৈঠক ডেকেছিলেন বামপন্থী শ্রমিক সংগঠনগুলি। সিটু নেতা কালীবাবু, এআইটিইউসি নেতা রণজিৎ গুহ, টিইউসিসি নেতা সরল দেব, ইউটিইউসি নেতা অশোক ঘোষ উপস্থিত ছিলেন। |
|
|
|
|
|