মাঝে মাত্র তিন দিন। তার পরই যুবভারতীতে ফেড কাপের প্রথম ম্যাচেই টোলগে-ওপারাদের ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে লড়াই অলোক মুখোপাধ্যায়ের কোচিংয়ে উজ্জীবিত মহমেডান স্পোটির্ংয়ের। সোমবার কল্যণী স্টেডিয়ামে গোয়ার ভাস্কো স্পোর্টস-কে একমাত্র গোলে হারিয়ে কলকাতার পঞ্চম দল হিসাবে এ বারের ফেডারেশন কাপে ঢুকে পড়ল মহমেডান। যোগ্যতা অর্জন পর্বের শেষ ম্যাচে সাদা-কালো জার্সির পক্ষে গোল করলেন সুমন দে। মূলপর্বে গ্রুপ ‘সি’-তে ইস্টবেঙ্গল ছাড়াও ডেম্পো এবং পুণে এফ সি-র মতো শক্ত গাঁটের সঙ্গে খেলতে হবে এক সময়কার বড় দলকে।
এ দিন ড্র করলেই মূলপর্বে খেলার ছাড়পত্র পেয়ে যেত মহমেডান। “এই অবস্থায় মোটিভেশন ঠিক রাখাটাই সমস্যা”, বলছিলেন অলোক। মহমেডান কোচের কথায়, “নিজে খেলার সময়ে দেখেছি, এ ধরনের ম্যাচে ড্রয়ের জন্য খেলতে গিয়ে অনেক বার হেরে গিয়েছি। তাই এ দিন বাড়তি সতর্ক ছিলাম।” ড্রয়ের জন্য মহমেডান খেলছিল না তা বোঝা গিয়েছিল শুরুতেই। প্রথম থেকেই ফেলিক্স-স্ট্যানলিরা চাপে রাখেন গোয়ানদের ডিফেন্সকে। ভাল খেলছিলেন কল্যাণীরই ছেলে সুরজিৎ বসু। তবে তাঁর নিশানা ঠিক থাকলে ৮১ মিনিট পর্যন্ত গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হত না মহমেডানকে। প্রথমার্ধেই বার তিনেক সুরজিতের শট বারপোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়।
না জিতলে মূলপর্বের আশা নেই, এই অবস্থায় বিরতির পর তেড়েফুঁড়ে উঠেছিল ভাস্কো। তখন স্বাভাবিক কারণেই রক্ষণাত্মক হয়ে যান কৌতম কুজুর-সফর সরদাররা। অলোক যুক্তিও দিলেন, “গোয়ার দলগুলো কাউন্টার অ্যাটাকে খুব ভাল। তাই ছেলেদের ওই সময়টা বলেছিলাম ডিফেন্সিভ খেলতে।” ফেলিক্সের বদলি কোরিয়ান হ্যান উক অবশ্য পাল্টা লড়াইটা ফের ছড়িয়ে দিলেন ভাস্কোর বক্সে। মহমেডানের ডান দিকের উইং সারাক্ষণ সচল রেখে দিয়েছিলেন কল্যাণীর আর এক ছেলে সুদীপ দাস। এ বার বিপক্ষে তিনটি আই লিগ দল। কতটা তৈরি সাদা-কালো ফুটবলাররা? যাঁদের দেখতে অফিসের দিনেও হাজার চারেক দর্শক হাজির ছিল কল্যাণী স্টেডিয়ামে। অলোক বললেন, “মাত্র দশ দিনের আবাসিক ক্যাম্পে যা অনুশীলন হয়েছে তাতে এই ম্যাচে আমাদের পাসিং বেশ ভালই হয়েছে। আশা করছি পরের ম্যাচগুলোতে আরও ভাল খেলব আমরা। আমাদের কিছু হারানোর নেই।” ভাস্কো কোচ ভ্যালেন্টাইন উজেগো আগে খেলেছেন মহমেডানে। তার পর গোয়ায় কাটাচ্ছেন। হিন্দিতে বলছিলেন, “রেফারিং বেশ খারাপ হয়েছে। আমাদের একটা নিশ্চিত পেনাল্টি দেওয়া হয়নি।” |