এক দিনের সিরিজে ভাল খেলছে ভারতীয়রা। প্রথম ম্যাচটা ওরা জিততেই পারত। লর্ডসেও জেতার মতো জায়গায় ছিল। দু’টো ম্যাচেই গ্রিন টপ উইকেটে আগে ব্যাট করতে হল ভারতকে। ওদের খেলা দেখার পরে ভারতের ওয়ান ডে টিমের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী থাকার কারণ খুঁজে পাচ্ছি। এই ফর্ম্যাটে ভারতীয় দলের গভীরতা রয়েছে, রিজার্ভ বেঞ্চের শক্তিও ভাল। পরের মাসে ভারতে ফিরতি সিরিজ খেলতে গিয়ে ইংল্যান্ডের কাজটা আদৌ সহজ হবে না।
ভারতের তরুণ ব্রিগেড যে ওয়ান ডে-তে বেশি স্বচ্ছন্দ, বোঝাই যাচ্ছে। টেস্ট সিরিজে নতুন বল হাতে ইংরেজ পেসারদের সামলাতে হিমসিম খেয়েছিল ভারতীয়রা। নতুন বলেই ভারতের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে ইংল্যান্ড। এক দিনের সিরিজে ছবিটা উল্টে গিয়েছে। নতুন বলের বিরুদ্ধে ব্যাটসম্যানরা ভাল খেলছে বলেই ভারতের পারফরম্যান্স ভাল হচ্ছে। এ জন্য ভারতের দুই ওপেনার পার্থিব পটেল আর আজিঙ্ক রাহানের কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়। জোর দিয়ে বলছি, ভারতীয় ওপেনাররা যে ভাবে ইংল্যান্ডের পেসারদের সম্ভ্রম দেখাচ্ছে না, তাতে কুকরাই সব থেকে বেশি অবাক হয়েছে।
টেস্টে এক নম্বর হলেও ওয়ান ডে ক্রিকেটে কুকদের অনেক উন্নতি করতে হবে। ওয়ান ডে-তে ওদের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস দেখছি না। বরং ছন্দের অভাব রয়েছে। ‘টেক্সট্ বুক’ শটের বাইরে অন্য শট খেলতে গেলে সেটা দৃষ্টিকটু হয়ে দাঁড়াচ্ছে। রবিবার ট্রট আর বেলের আউটগুলো দেখলেই বুঝতে পারবেন কী বলতে চাইছি। রান তোলার গতি বাড়ানোটাও সহজ হচ্ছে না।
অন্য দিকে, ভারতের হয়ে ইদানীং ওয়ান ডে-তে খুব ভাল খেলছে রায়না আর ধোনি। দু’জনেই ভাল অ্যাথলিট। এই ফর্ম্যাটে কোন বোলারকে কখন আক্রমণ করতে হবে, কী ভাবে ইনিংস গড়তে হবে, রান তোলার গতি কখন বাড়াতে হবে, সেগুলো এই দু’জনের নখদর্পণে। প্রতিপক্ষের উপর চাপ তৈরি করে তাদের ঘাবড়ে দিয়ে কী করে কোণঠাসা করতে হয়, ওরা ভাল জানে। সামনে একটাই ম্যাচ। সম্মানের কথা ভেবে সেটা জেতার জন্য সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাতে পারে ভারত। তাতে ইংল্যান্ড থেকে অন্তত একটা জয় নিয়ে ফেরা যাবে। কিন্তু আর একটা বিকল্পও রয়েছে। সেটা হল, শেষ ম্যাচটায় রিজার্ভ বেঞ্চে থাকা তরুণদের একটা সুযোগ দিয়ে দেখা। আমি হলে দ্বিতীয়টাই করতাম। রাহানে এই সিরিজের সেরা আবিষ্কার। সুযোগ পেলে ওর মতো আরও কয়েক জনও নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিতে পারে। |