লর্ডসের বৃষ্টি ভারত অধিনায়ককে এতটাই হতাশায় ডুবিয়ে দিয়েছে যে তিনি স্পষ্ট জানাচ্ছেন, ক্রিকেটের কুৎসিততম দিকটা তাঁর চোখে ধরা পড়েছে রবিবার। মহেন্দ্র সিংহ ধোনি শুনলে আরও হতাশ হবেন যে তাঁর দলের বিরুদ্ধে জয়কে ইংরেজ ক্রিকেটাররা আর মানুষকে উৎসর্গ করছেন না। ধোনি-বাহিনীকে ‘হোয়াইটওয়াশের’ গর্ব উৎসর্গিত হচ্ছে চিড়িয়াখানার জন্তু-জানোয়ারদের জন্য! এতটাই তাচ্ছিল্য গ্রেম সোয়ানের।
তবে ধোনি হয়তো শুনে স্বস্তি পাবেন যে শুক্রবার আর খেলতে হবে না স্টুয়ার্ট ব্রডকে। ইংরেজ অলরাউন্ডারের কাঁধের পেশি ছিঁড়েছে। আগামী অক্টোবরে ভারতের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের সিরিজেও তিনি নেই। কিন্তু এই সামান্য স্বস্তিতে আর লাভ কতটুকু? সফরে মানসম্মান লুটিয়ে মিশেছে মাটিতে। ধোনিদের নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ চলছে পুরোদমে। তার মধ্যেই রবিবারের ম্যাচ নিয়ে হতাশায় ডুবে ‘ক্যাপ্টেন কুল’। ম্যাচ জেতা নিয়ে দু’পক্ষের নাটক দেখে ধোনি হতাশ। বলেছেন, “ক্রিকেটের কুৎসিত দিকটা দেখলাম। খেলা বৃষ্টিতে বন্ধ হচ্ছিল। আর ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে যারা এগিয়ে থাকছিল, তারা আর খেলতেই চাইছিল না। আর যারা পিছিয়ে থাকছিল, তাদের আবার ফুটবল খেলতেও কোনও আপত্তি ছিল না।” লর্ডসে বেশ কয়েক বার বৃষ্টিতে থেমেছে ম্যাচ। একবার ইংল্যান্ড এগিয়েছিল। একবার ভারত। শেষ পর্যন্ত ‘টাই’ হয়। ধোনি বলছেন, “অনেকে বুঝতেই পারিনি কারা জিতল। কেউ কেউ বলছিল, আমরাই জিতেছি। ভেবেছিলাম, বৃষ্টিটা বেশিক্ষণ চলবে না। কিন্তু ড্রেসিংরুমে গিয়ে জানলাম, ম্যাচটা টাই হয়েছে।” রবিবার ম্যাচ শেষে ইংল্যান্ড অধিনায়ক অ্যালেস্টার কুক একদফা খোঁচা দিয়েছিলেন। এ দিন আবার মাত্রাছাড়া ব্যঙ্গ করে বসলেন গ্রেম সোয়ান। সাধারণত ক্রীড়াবিদরা জিতলে পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, মায় নিজের পোষ্যকে জয় উৎসর্গ করে থাকেন। কিন্তু তা বলে লন্ডনের চিড়িখানা! ইংরেজ স্পিনার কিন্তু তাই করেছেন। টুইট করেছেন, “একদিনের সিরিজ জয়টা লন্ডন চিড়িয়াখানাকে উৎসর্গ করলাম।” ব্রিটিশ ক্রিকেটমহলে হাসিঠাট্টা করা নিয়ে সোয়ানের নাম রয়েছে। কিন্তু তাঁর এমন ঠাট্টা শুনলে ধোনির যে হজম হবে না, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। কিপিং নিয়েও খোঁচা হজম করতে হচ্ছে তাঁকে। ধোনিকে জিজ্ঞেস করা হয়, চাপ যখন বেড়ে যাচ্ছে, তা হলে কিপিং গ্লাভস পার্থিবকে দিচ্ছেন না কেন? ধোনি বলেছেন, “আমি খুব ভাল ফিল্ডার নই। বাউন্ডারিতে দাঁড়াতেই পছন্দ করি। কিন্তু সেখান থেকে তো আর অধিনায়কত্ব করা যায় না। তাই পার্থিবকে দিয়ে কিপ করানোর কথাটা এখন ভাবছি না।” |