প্রত্যন্ত গ্রামে-গঞ্জে সাক্ষরতার বার্তা ছড়িয়ে দিতে সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন তিনি।
সোমবার সকাল। সাইকেল তখন মেদিনীপুর-কেশপুর সড়কে। চালকের মাথায় টুপি, সাইকেলের দু’দিকে দু’টি পতাকা। একটি জাতীয় পতাকা, অন্যটি সাক্ষরতার। রাস্তার ধারে লোকজন দেখলেই দাঁড়িয়ে পড়ছেন। বলছেন, “আপনাদের ছেলেমেয়েদের স্কুলে ভর্তি করেছেন তো? শিক্ষাই পারে সমাজের সবস্তরে আলো পৌঁছে দিতে। ছেলেমেয়েরা শিক্ষিত হলেই গ্রামের উন্নতি হবে।” সাইকেল আরোহীর নাম শ্যামাপদ প্রামাণিক। বাড়ি বাঁকুড়ার বড়জোড়ার সংগ্রামপুরে। কতকটা অজান্তেই সাক্ষরতা প্রসারের সঙ্গে জুড়ে গিয়েছেন এই কৃষক।
|
গত ৮ সেপ্টেম্বর দেশ জুড়ে পালিত হয়েছে বিশ্ব সাক্ষরতা দিবস। সেই দিন থেকেই সাক্ষরতা প্রসারে সাইকেলে রাজ্য সফর শুরু করেছেন শ্যামপদ। বাঁকুড়া থেকে গিয়েছিলেন পুরুলিয়া। সেখান থেকে পশ্চিম মেদিনীপুর। এরপর যাবেন হুগলি, হাওড়া-সহ রাজ্যের অন্যত্র। বছর ছাপান্নর শ্যামপদবাবুর কথায়, “শুধু অর্থ ব্যয় করে সকলকে সাক্ষর করা যাবে না। এ জন্য প্রয়োজন সচেতনতা। সকলের মধ্যে সেই সচেতনতা গড়ে তুলতেই আমার সফর।”
সংগ্রামপুরে সামান্য জমি আছে। সেই ভরসায় সংসার চলে। এই জীবন সংগ্রামের মধ্যেই শ্যামাপদবাবু বুঝেছেন, শিক্ষাই সমাজের অন্ধকার ঘোচাতে পারে। গ্রামে এক শিক্ষাকেন্দ্রও খুলেছেন তিনি। নাম ‘প্রবহমাণ শিক্ষা ক্ষেত্র।’ শ্যামপদবাবুর কথায়, “১৯৯৮ সাল থেকে এই কেন্দ্র চলছে। গ্রামের ছেলেমেয়েরা এখানে পড়াশোনা করতে আসে। এঁদের অধিকাংশ তফসিলি পরিবারের।” নিরক্ষরতা দূরীকরণে সরকারি নানা কর্মসূচি হয়। তার বাইরে এমন উদ্যোগ সত্যিই নজরকাড়া। |