ট্রেনে কাটা পড়ে এক যুবকের মৃত্যুতে সোমবার সকালে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটল দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাওড়া-খড়্গপুর শাখার বাগনান স্টেশনে। টিকিট পরীক্ষক ধাক্কা মেরে ওই যুবককে প্ল্যাটফর্ম থেকে ফেলে দিয়েছেন, রটিয়ে দিয়ে যাত্রীদের একাংশ স্টেশনে ভাঙচুর চালান। প্রহৃত হন ওই টিকিট পরীক্ষক এবং চার রেলকর্মী। ঘণ্টাদেড়েক রেল অবরোধ করা হয়। শেষমেশ পুলিশ ও র্যাফ গেলে অবরোধকারীরা পালান। সন্ধ্যা পর্যন্ত মৃতের পরিচয় জানা যায়নি।
রেলের ‘স্পেশাল স্কোয়াড’-এর জনা পনেরো টিকিট পরীক্ষক এ দিন ভোর থেকে ওই শাখার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে যাত্রীদের টিকিট পরীক্ষা করছিলেন। সওয়া ৮টা নাগাদ বাগনান স্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে হাওড়াগামী হলদিয়া লোকাল আসে। প্ল্যাটফর্মে ওভারব্রিজে ওঠার মুখে দাঁড়িয়েছিলেন টিকিট পরীক্ষক অমরনাথ ঘোষ। |
রেল পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই যুবক এবং আরও এক জন ওভারব্রিজের দিকে আসছিলেন। দ্বিতীয় যাত্রীর কাছে অমরনাথবাবু টিকিট দেখতে চান। সেই ফাঁকে ওই যুবক পালান। তিন নম্বর প্লাটফর্ম থেকে তিনি লাইনে নেমে পড়েন। সেই সময়ে ওই লাইনে আসছিল সেকেন্দ্রাবাদগামী ফলকনামা এক্সপ্রেস। তার ধাক্কায় ওই যুবক ঘটনাস্থলেই মারা যান। রেল পুলিশের অনুমান, লাইন টপকে যুবক চার নম্বর প্ল্যাটফর্মে উঠতে চেয়েছিলেন।
দুর্ঘটনার পরেই রটে যায়, ওই যুবক টিকিট দেখাতে না-পারায় অমরনাথবাবু তাঁকে ধাক্কা মেরে চলন্ত ট্রেনের সামনে ফেলে দেন। রটনায় প্রভাবিত হয়ে ক্ষুব্ধ যাত্রীদের একাংশ অমরনাথবাবুকে ধরে বেধড়ক পেটান॥
অমরনাথবাবু বলেন, “আমি লাল জামা পরা ওই যুবকটির কাছে টিকিট চাইনি। অন্য জনের কাছে চেয়েছিলাম। হঠাৎ দেখি, যুবকটি দৌড় লাগালেন। তারপরে শুনলাম ফলকনামা এক্সপ্রেসে কাটা পড়েছেন। এরপরেই আমার উপরে একদল যাত্রী চড়াও হয়।” |