ত্রিপুরার সরকারি মেডিক্যাল কলেজে সংরক্ষিত শূন্য আসনগুলিতে ভর্তির জটিলতা কাটাতে দ্বিতীয়বার জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা নেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তপন চক্রবর্তী জানান, এ বারে সরকারি মেডিক্যাল কলেজে সংরক্ষিত ২৯টি শূন্য আসনে ভর্তি নিয়ে যে ‘অচলাবস্থা’ সৃষ্টি হয়েছে, তার নিরসনেই এই উদ্যোগ। সর্বদল বৈঠক ও মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতেই একই শিক্ষাবর্ষে আবার একটি জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা নেওয়ার এই সিদ্ধান্ত। পরীক্ষা সেরে ফেলা হবে এ মাসেই।
প্রশ্ন উঠেছে, সংরক্ষিত আসনে অকৃতকার্য ছাত্রছাত্রীদের সুযোগ করে দেওয়ার জন্যই কি এই ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হল রাজ্য সরকার? স্বাস্থ্যমন্ত্রী তপন চক্রবর্তী জানান, রাজ্য সরকার নীতিগত ভাবে চায়, সমাজের পিছিয়ে পড়া দুর্বল শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরাই সংরক্ষণের সুযোগ কাজে লাগাক। সে জন্যই তো সংরক্ষণের ব্যবস্থা। তাই সরকারি মেডিক্যাল কলেজে সংরক্ষিত ২৯টি শূন্য আসনে ভর্তির জন্য একটি বিশেষ পরীক্ষা নেবে রাজ্যের জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের ছাত্রছাত্রীরা যারা উচ্চ মাধ্যমিকে পিসিবি গ্রুপে (পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন ও জীববিজ্ঞান) ৪০ শতাংশ নম্বর পেয়েছে, কেবলই তারাই এই পরীক্ষায় বসতে পারবে। পরীক্ষা হবে ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। একই শিক্ষাবর্ষে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের দ্বিতীয়বারের পরীক্ষার মাধ্যমে নির্বাচিতদের মেডিক্যালে ভর্তির সুযোগ দেওয়ার প্রয়োজনে মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার ‘অনুমোদন’ চাইবে রাজ্য সরকার। এ ক্ষেত্রে এমসিআই রাজ্য সরকারকে ‘অনুমোদন’ না দিলে দ্বিতীয়বারের জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের পরীক্ষা প্রক্রিয়া বা ফলাফল, সবটাই বাতিল হয়ে যাবে।
সরকারের এই সিদ্ধান্ত সর্বদলীয় বৈঠকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সর্বদলীয় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী অনিল সরকার, স্বাস্থ্যমন্ত্রী তপন চক্রবর্তী, উপজাতি কল্যাণমন্ত্রী অঘোর দেববর্মা, বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের রতনলাল নাথ এবং আইএনপিটি বিধায়ক বিজয়কুমার রাঙ্খল। |