নিহত কলেজ-কর্তার হিসেবপত্রে অসঙ্গতি |
চার দিন কেটে গিয়েছে। কিন্তু বেসরকারি ম্যানেজমেন্ট ও তথ্যপ্রযুক্তি কলেজের কর্তা সুপ্তেন্দু দত্ত এবং তাঁর গাড়ির চালক সুশান্ত ঘোষালের হত্যাকাণ্ডের রহস্যভেদ হয়নি। বস্তুত, সোমবারেও পুলিশ কার্যত অন্ধকারে। তবে ওই কলেজ-কর্তার ব্যবসার হিসাবনিকাশে বেশ কিছু অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছে বলে এ দিন দাবি করেন তদন্তকারীরা।
পারিবারিক কারণ অথবা ব্যবসা সংক্রান্ত কোনও কারণে সুপ্তেন্দুবাবুকে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশের সন্দেহ। এই দুই সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে এগোতে চাইছে তারা। ব্যবসায়িক গোলমালে খুনের সম্ভাবনা যাচাই করতে গিয়ে এ-পর্যন্ত তাদের ‘কৃতিত্ব’ বলতে শুধু সুপ্তেন্দুবাবুর হিসাবরক্ষক অসিত রায়ের গ্রেফতারি। সুপ্তেন্দুবাবুর ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে কোনও গরমিল আছে কি না, তা জানতে এ দিনও ওই হিসাবরক্ষককে দফায় দফায় জেরা করা হয়। আর পারিবারিক কারণে খুন কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য রবিবার থানায় ডেকে দীর্ঘ ক্ষণ জেরা করা হয়েছে সুপ্তেন্দুবাবুর স্ত্রী মৌসুমীদেবী এবং শ্যালক সুমন বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
তদন্তকারী অফিসারেরা এ দিন জানান, অসিতবাবুকে দফায় দফায় জেরা করে সুপ্তেন্দুবাবুর ব্যবসার হিসেবপত্রে বেশ কিছু গরমিল পাওয়া গিয়েছে। সেই কারনে ওই কলেজ-কর্তার আয়কর সংক্রান্ত যাবতীয় ফাইলও খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে তদন্তকারী দল। বছর দুয়েক আগে নিজের চুঁচুড়ার জমি ও বাড়ি দেখিয়ে ব্যাঙ্ক থেকে দু’কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন সুপ্তেন্দুবাবু। অসিতবাবুকে জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, সুপ্তেন্দুবাবু নতুন করে দু’কোটি টাকা ঋণের জন্য আবেদন করেছিলেন এবং সেই ঋণ নেওয়ার জন্য তিনি ওই জমি-বাড়িই দেখাতে চাইছিলেন। একই সম্পত্তি দেখিয়ে তিনি কী ভাবে দু’বার ঋণ নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ঋণ পাওয়ার জন্য সুপ্তেন্দুবাবু বেআইনি পদ্ধতির আশ্রয় নিচ্ছিলেন কি না, সেটাও যাচাই করছে তদন্তকারী দল। শুক্রবার রাতে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে চুঁচুড়ার বাড়িতে যাওয়ার সময় খুন হন বেসরকারি সুপ্তেন্দুবাবু এবং তাঁর গাড়ির চালক সুশান্তবাবু। |