রাস্তা সারানোর দাবিতে অবরোধ
নিজস্ব সংবাদদাতা |
মূল দাবি, রাস্তা সারাতে হবে। সেই জন্য রাস্তা আটকেই বিক্ষোভ দেখালেন বাসিন্দারা। সোমবার বরাহনগর ও বেলঘরিয়া থানা এলাকার আড়িয়াদহে অবিনাশচন্দ্র সরকার রোডে দোলপিড়ির কাছে ওই অবরোধ হয়। ফলে ব্যাপক যানজটে ভোগান্তি হয় যাত্রীদের। বাসিন্দারা জানান, রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরেই খারাপ। কয়েক দিন আগে জলের লাইনের জন্য আবার খোঁড়াখুঁড়ি হয়েছিল। ফলে বৃষ্টি হলেই খানাখন্দ কার্যত ডোবায় পরিণত হয়। পুরসভাকে জানিয়েও ফল হয়নি। বাধ্য হয়েই অবরোধ। কামারহাটি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান প্রবীর মিত্র বলেন, “সাত দিনের মধ্যে সারাই শুরু হবে।” বাসিন্দাদের হুমকি, কাজ শুরু না-হলে ভবিষ্যতে লাগাতার অবরোধ চলবে।
|
পরপর যান্ত্রিক বিভ্রাটে সোমবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভোগান্তি হল মেট্রোয়। সিগন্যালিং ব্যবস্থা বিকল হয়ে যাওয়ায় ‘ম্যানুয়াল’ পদ্ধতিতে স্টেশনে স্টেশনে সিগন্যাল নিয়ন্ত্রণ শুরু হয় দুপুরে। প্রতিটি স্টেশনে তিন-চার মিনিট করে দাঁড়িয়ে থাকে ট্রেন। ভিড় বাড়তে থাকে। মেট্রোর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রত্যুষ ঘোষ বলেন, “আড়াইটে থেকে সাড়ে তিনটে পর্যন্ত দু’টি আপ ও তিনটি ডাউন ট্রেন বাতিল হয়েছে।” বিকেল চারটে দশ নাগাদ মহানায়ক উত্তমকুমার স্টেশনে বিকল হয় এসি রেক। মেট্রো সূত্রে খবর, ট্রেনটির ব্রেক আটকে গিয়েছিল। সেখানেই যাত্রীদের নামিয়ে ট্রেনটিকে টালিগঞ্জ কারশেডে পাঠানো হয়। এর জেরে বাতিল হয় ২টি করে আপ ও ডাউনের ট্রেন। কোনও ঘোষণাও হয়নি বলে যাত্রীদের অভিযোগ। অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়ে প্রত্যুষবাবু বলেন, “ঘোষণা না হলে যাত্রীদের অসুবিধা হওয়ারই কথা। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।”
|
নিউ মার্কেট থানা এলাকার একটি পাঁচতারা হোটেল থেকে নিখোঁজ হলেন রৌরকেলার এক ব্যবসায়ী। সোমবার কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান দময়ন্তী সেন জানান, অরুণ খন্ডেলওয়াল (৪৫) নামে ওই ব্যবসায়ী ৯ সেপ্টেম্বর রাত থেকে নিখোঁজ। তাঁর এক আত্মীয় রৌরকেলা থানায় অভিযোগ করেন, ৯ সেপ্টেম্বর রাতে মোবাইলে এক মহিলার ফোন পেয়ে অরুণ হোটেল থেকে বেরিয়ে যান। সেই থেকে তাঁর খোঁজ নেই। গোয়েন্দা প্রধান আরও জানান, রৌরকেলার পুলিশ সুপার কলকাতা পুলিশের সেন্ট্রাল ডিভিশনের ডিসি-কে ঘটনাটি জানিয়েছেন। ওই পুলিশ সুপারকে জানানো হয়, তাঁরা চাইলে কলকাতা পুলিশ তদন্ত শুরু করতে পারে। সোমবার রাত পর্যন্ত রৌরকেলা পুলিশ এ নিয়ে অনুরোধ করেনি।
|
লা মার্টসের ছাত্র রৌভনজিৎ রাওলার ‘আত্মহত্যা’ ঘিরে স্কুলে শারীরিক নিগ্রহমূলক শাস্তি দেওয়া নিয়ে প্রচুর বিতর্ক হয়েছে। সোমবার সেই স্কুলের অনুষ্ঠানেই এমন শাস্তি রোধের কথা বললেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, “স্কুলে শারীরিক নিগ্রহমূলক শাস্তি বন্ধ হওয়া উচিত। এখন শিশুদের উপরে এমনিতেই মানসিক চাপ থাকে। তা মনে রাখতে হবে।” যদিও তাঁর বক্তব্যের সঙ্গে রৌভনজিতের ঘটনার যোগ নেই বলে দাবি করেন মন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, “শুধু লা মার্টস নয়, সব স্কুলেই মেধার ভিত্তিতে ভাল শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ করা জরুরি। অনুষ্ঠানে সেটাই বলেছি।” |