নিজস্ব সংবাদদাতা • রাজনগর |
রাস্তা বেহালের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যানবাহন। বাড়ছে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা। এ সব কারণে সোমবার সকালে রাজনগর বাসস্ট্যান্ডে পথ অবরোধে সামিল হল বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনগুলি। কোনও ব্যানার ছাড়াই সিটু, আইএনটিইউসির কর্মী-সমর্থকেরা অবরোধে সামিল হয়েছিলেন। তাঁদের অভিযোগ রাজনগর-সিউড়ি রুটের পাথরচাপুরি থেকে মাধাইপুর পর্যন্ত রাস্তা এবং রাজনগর-খয়রাশোল রাস্তার হাল অত্যন্ত খারাপ। বাস চালাতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বাস মালিকদের। অযথা হয়রানির শিকার হচ্ছেন ওই রুটে বাস চলাচলকারি কর্মীরা। একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা। প্রশাসনের কাছে বহুবার আবেদন জানিয়েও লাভ না হওয়ায় অবরোধের পথে হাঁটতে হয়েছে। |
ঝুঁকি নিয়ে চলছে যাতায়াত। ছবি: দয়াল সেনগুপ্ত। |
সোমবার সকাল ১০টায় শুরু হওয়া অবরোধ অবশ্য ঘণ্টা খানেকের মধ্যে উঠে যায় রাজনগরের বিডিও প্রভাংশু হালদারের হস্তক্ষেপে। বিডিও বলেন, “ওঁরা যে দাবি করছেন সেটা সঙ্গত। কিন্তু রাস্তা অবরুদ্ধ থাকলে সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়বেন বলে অবরোধ তুলে নিতে অনুরোধ করেছিলাম বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনগুলির প্রতিনিধিদের কাছে। ওই রাস্তার টেন্ডার হয়ে আছে বলে। কাজ শুরুর ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে জানাব।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজনগর-সিউড়ি, রাজনগর-খয়রাশোল রুটে সারাদিন প্রচুর বাস চলে। বছর তিনেক আগে রাজনগর-সিউড়ি রুটের চন্দ্রপুর পর্যন্ত রাস্তাটি নতুন করে তৈরি হলেও কিছু কিছু জায়গায় ছোটবড় গর্ত তৈরি হয়েছে। তবে ওই রুটের সবচেয়ে খারাপ অবস্থা মাধাইপুর থেকে পাথরচাপুরি পর্যন্ত অংশটুকু। প্রায় একই অবস্থা রাজনগর থেকে খয়রাশোল যাওয়ার রাস্তাটিও। সিউড়ি-রাজনগর রুটের এক চালক প্রভাকর মণ্ডল ও রাজনগর-খয়রাশোল রুটের চালক সাধন পৈতন্ডীরা বলেন, “দাঁতনখ বের করা রাস্তায় গাড়ি চালাতে ভীষণ সমস্যা হয়। প্রায়ই গাড়ির চাকা নষ্ট হচ্ছে। নয়তো গাড়ির কোনও না কোনও যত্রাংশ ভেঙে যাচ্ছে।” সিটুর রাজনগর ব্লক সম্পাদক মানিক সেন এবং আইএনটিইউসির রাজনগর ব্লক সভাপতি শেখ ইয়াসিনদের দাবি, “অবিলম্বে রাস্তাগুলি সংস্কার করতে হবে। রাজনগর-খয়রোশাল রাস্তাটির কাজ শুরু হয়েও বন্ধ হয়ে রয়েছে। ফলে দুর্ভোগ বেড়েছে। রাস্তাগুলি সংস্কার না হলে যে কোনও দিন বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটবে। আশা করি বিডিও বিষয়টি নিয়ে উদ্যোগী হবেন। নতুবা আমরা আন্দোলন করব।” |