বার্ষিক টিউশন ফি বাড়ানোর প্রতিবাদে পানাগড়ের একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের গেটে পড়ুয়ারা দিনভর বিক্ষোভ দেখান। এর ফলে সোমবার বন্ধ হয়ে যায় কলেজের পঠন-পাঠন। অচলাবস্থা কাটাতে দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক মৌমিতা বসু এক ডেপুটি মেজিস্ট্রেটকে কলেজে পাঠান। কিন্তু পড়ুয়ারা তাঁদের দাবিতে অনড় থেকে কলেজ চালু করতে দেননি।
কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকারি নির্দেশে গত শিক্ষাবর্ষ থেকেই বার্ষিক টিউশন ফি বাড়ানো হয়েছে। |
এ বছর সেই সিদ্ধান্ত কার্যকরী করতে গিয়েই বিপত্তির শুরু। কলেজের চেয়ারম্যান প্রদীপ অগস্তির দাবি, তাঁদের এক্ষেত্রে কিছুই করার নেই। পড়ুয়াদের অভিযোগ, সরকারি নির্দেশের বাইরে গিয়ে তাঁদের কাছ থেকেঅতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে। বিক্ষোভকারী ছাত্রদের পক্ষে প্রিন্স কুমার জানিয়েছেন, প্রথম সেমেস্টারের পড়ুয়াদের জন্য সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী ৪৪,৬০০ টাকা নেওয়ার কথা। কিন্তু তাঁদের কাছে নেওয়া হচ্ছে ৫৫,৫০০ টাকা। এই বাড়তি অর্থ দেবেন না বলে বিক্ষোভ শুরু করেছেন তাঁরা। কলেজ কর্তৃপক্ষ অবশ্য দাবি করেছেন, এই বাড়তি অর্থ তাঁরা হোস্টেলে থাকা-খাওয়া বাবদ নিচ্ছেন।
এ দিন আইন-শৃঙ্খলা যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে সেই জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দেন। পুলিশ আসে। কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রশাসনিক স্তরেও যোগাযোগ করেন। তবে পড়ুয়ারা নিজেদের দাবিতে অনড় থাকায় পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হয়নি। আজ, মঙ্গলবার কলেজ খুললে ফের বিক্ষোভের আশঙ্কা প্রকাশ করছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক মৌমিতা বসু জানিয়েছেন, পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। |