কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাবিত এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরি এবং রেল পরিষেবা উন্নয়নের দাবিতে উত্তর দিনাজপুরে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিয়েছে সিপিএমের ছাত্রযুব সংগঠন এসএফআই এবং ডিওয়াইএফআই। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর ওই দুই সংগঠনের কয়োকশো কর্মী সমর্থক কলকাতায় স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থান করে স্বাস্থ্য সচিবের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেবেন। রাধিকাপুর-নিউ জলপাইগুড়ি ইন্টারসিটি ট্রেন চালু এবং রাধিকাপুর-কলকাতা এক্সপ্রেস ট্রেনের কোচ বাড়ানোর দাবিতে ১৫ সেপ্টেম্বর তাঁরা কলকাতায় পূর্ব রেলের সদর দফতরের সামনে দিনভর বিক্ষোভ দেখাবেন। ডিওয়াইএফআই-র উত্তর দিনাজপুর জেলা সম্পাদক সুরজিৎ কর্মকার বলেন, “রায়গঞ্জে এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েও কংগ্রেস জনপ্রতিনিধিরা কথা রাখেননি। হাসপাতাল তৈরির জন্য পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকার জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু করেছিল। সরকার পরিবর্তন হতেই ওই কাজ আটকে গিয়েছে। স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ওই ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হবে।” এসএফআই-র জেলা সম্পাদক প্রাণেশ সরকার অভিযোগ করেন, বিধানসভা নির্বাচনের আগে রেল বাজেটে তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাধিকাপুর-নিউ জলপাইগুড়ি ইন্টারসিটি ট্রেন চালু করার কথা ঘোষণা করেন। এর পরে গত জুন মাসে রায়গঞ্জ পুরসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে তৎকালীন রেল প্রতিমন্ত্রী মুকুল রায় ১৫ দিনের মধ্যে রাধিকাপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের কোচ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। ওই ঘটনার প্রতিবাদে তাঁরা কলকাতায় পূর্ব রেলের সদর দফতরের সামনে বিক্ষোভের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে প্রাণেশবাবু জানান। যদিও এসএফআই এবং ডিওয়াইএফআই-র অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উত্তর দিনাজপুর জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব। দলের জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, “রায়গঞ্জের সাংসদ দীপা দাশমুন্সি হাসপাতাল তৈরির জন্য জমি অধিগ্রহণের দাবিতে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছেন। জেলা কংগ্রেসের একদল প্রতিনিধি কয়েকদিনের মধ্যে ওই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন। ৩৪ বছর ক্ষমতায় থেকে ওরা রায়গঞ্জের জন্য কী করেছেন সেটা আগে বলুন। তার পরে অন্য বিষয় দেখুন।” জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অসীম ঘোষ বলেন, “জেলার উন্নয়নের প্রশ্নে আমরা কংগ্রেসের সঙ্গে একজোট। কিছুদিনের মধ্যে রেলের প্রকল্পগুলির কাজ শুরু হয়ে যাবে। সমস্ত বিষয় নিয়ে আমরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। উন্নয়ন নিয়ে সিপিএম, এসএফআই এবং ডিওয়াইএফ-এর কথা বলার অধিকার নেই। ওঁরা ৩৪ বছরে কী করেছেন সেটা আগে জেলার বাসিন্দাদের বলুন।” |