নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
প্রস্তাবিত কাওয়াখালি উপনগরীর পুনর্বাসন প্যাকেজ নিয়ে অভিযোগ তুলে অতিরিক্ত সুবিধা দাবি করল কাওয়াখালি পোড়াঝাড় ভূমিরক্ষা কমিটি। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে তারা দাবি করেন জমিহারা সকলকেই ক্ষতিপূরণ বাবদ পুনবার্সন প্রকল্পে জমি দেওয়া হোক। তাদের অভিযোগ, জমিহারারা অনেকেই ক্ষতিপূরণের টাকা পাননি। অনেককে ক্ষতিপূরণের আওতায় আনা হয়নি। জমিহারাদের পরিবারের বয়স্ক, বিধবা বা প্রতিবন্ধীদের ভাতা দেওয়ার কথা বলা হলেও তা দেওয়া হচ্ছে না। এলাকার নিকাশি, রাস্তা, আলোর সুবন্দোবস্ত করা হয়নি। জমি অধিগ্রহণ করেও দীর্ঘদিন তা ফেলে রাখা হয়েছে। প্রকল্প গড়ে উঠলে সেখানে কর্ম সংস্থান এবং রোজগারের যে সুযোগসুবিধা বাসিন্দারা পেতেন তা থেকেও তারা বঞ্চিত হচ্ছেন। ওই কারণ দেখিয়ে অধিগ্রহণ করার জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রতি কাঠার জন্য দেড় লক্ষ টাকা তারা দাবি জানিয়েছেন। এক সপ্তাহের মধ্যে প্রকল্পের উদ্যোক্তা শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তরফে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে তারা বড় ধরনের আন্দোলন করবেন। এসজেডিএ’র চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, “দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রস্তাবিত উপনগরী প্রকল্পের বাসিন্দাদের নিয়ে বৈঠক করে তাদের অভাব অভিযোগ শোনা হয়েছিল। সে সময় কাওয়াখালি পোড়াঝাড় ভূমি রক্ষা কমিটির সদস্যরা ছিলেন না বলে জানিয়েছেন। যাই হোক এ দিন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। তাদের দাবির বিষয়টি জানিয়েছেন। ওই সদস্যরা পুনর্বাসন প্যাকেজে রাজি হয়েছিলেন। সেই মতো তাদের দাবির বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হবে।” এসজেডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ির উপকন্ঠে প্রস্তাবিত ওই উপনগরী প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে থিকনিকাটা কাওয়াখালি ল্যান্ড ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা প্রতিবাদ জানিয়ে ক্ষতিপূরণের টাকা নেননি। কিন্তু পুনর্বাসন প্রকল্পে ঘোষণা করা প্যাকেজে রাজি হয়েই কাওয়াখালি পোড়াঝাড় ভূমিরক্ষা কমিটির সদস্যরা ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়েছেন। তাই বাড়তি সুবিধা চাওয়ার বা জমি ফেরতের দাবি তাদের ক্ষেত্রে যুক্তিযুক্ত নয় বলে মনে করছেন কর্তৃপক্ষ। কাওয়াখালি পোড়াঝাড় ভূমিরক্ষা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক যুগল কিশোর সরকার বলেন, “প্রকল্প গড়ে উঠলে এলাকায় কর্ম সংস্থানের সুযোগ হত। রোজগারের উপায় হত। অথচ দীর্ঘদিন ধরে জমি অধিগ্রহণ করে ফেলে রাখায় আমাদের ক্ষতি হচ্ছে। সে কারণে জমির কাঠা প্রতি দেড় লক্ষ টাকা হিসাবে ক্ষতিপূরণের দাবি জানানো হয়েছে। জমিহারাদের সংশাপত্র এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধার দাবি জানানো হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা না নিলে বড় ধরনের আন্দোলন করা হবে।” |