|
|
|
|
সাঁওতালডিহি |
কালভার্ট সারেনি পাঁচ দিনেও, বিক্ষোভ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রঘুনাথপুর |
কালভার্ট ভেঙে যাওয়ার পাঁচ দিন পরেও মেরামতি করেনি পূর্ত দফতর। ফলে বন্ধ রয়েছে যান চলাচল। এই পাঁচ দিন ধরে পুরুলিয়া ও রঘুনাথপুরের সঙ্গে কার্যত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সাঁওতালডিহির। পূর্ত দফতরের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ তুলে বুধবার রঘুনাথপুর শহরে ওই দফতরের সহকারী বাস্তুকারের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন সাঁওতালডিহির জনা ৭০ বাসিন্দা।
এ দিন কার্যালয়ে এসে সহকারী বাস্তুকার দীপনারায়ণ শীলকে না পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ওই বাসিন্দারা। বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ দেখানোর পরে পুলিশের মধ্যেস্থতায় তা বন্ধ হয়। পরে তাঁরা যান রঘুনাথপুরের এসডিপিও দ্যুতিমান ভট্টাচার্যের কাছে। এসডিপিও পূর্ত দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করেন। কালভার্ট সংস্কারে দফতর শীঘ্রই ব্যবস্থা নেবে বলে আশ্বাস মেলার পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। প্রসঙ্গত, গত ৩ সেপ্টেম্বর রঘুনাথপুর-সাঁওতালডিহি সড়কতে পাহাড়িপাড়া গ্রামের কাছে বহু পুরনো কালভার্টটি ভেঙে পড়ে। ওই রাস্তা দিয়েই সাঁওতালডিহির সঙ্গে যোগাযোগ রঘুনাথপুর ও জেলা সদরের। পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডের বোকারো ও ধানবাদে যাওয়ার জন্য এই রাস্তাটি ভরসা এলাকাবাসীর। তা ছাড়া সাঁওতালডিহিতে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও ভজুডি কোল ওয়াশারিতে যাওয়ার জন্য কয়লা ও পণ্যবাহী ট্রাক চলাচলের ভরসা এই সড়ক।
স্থানীয় বাসিন্দা সুজিত শিকদার, নিশীথ তিওয়ারি, মানিক রজকদের ক্ষোভ, “সাঁওতালডিহি থেকে বাইরে যাওয়ার অন্য মাটির রাস্তাটি বর্ষায় বেহাল হয়ে পড়েছে। সেটি দিয়েও গাড়ি চলাচল বন্ধ। এই অবস্থায় মূল রাস্তার কালভার্ট পাঁচ দিন পরেও মেরামতি করেনি পূর্ত দফতর।” দীপনারায়ণবাবু বলেন, “বিভিন্ন কারণে কাজ শুরু করতে দেরি হয়েছে। কালভার্টের পাশে অস্থায়ী বিকল্প রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। শুক্রবার সকালের মধ্যেই সেটি তৈরি হয়ে যাবে।” |
|
|
|
|
|