চোরাই কাপড় ও অস্ত্র উদ্ধার কাকদ্বীপে, ধৃত ২
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাকদ্বীপ |
চোরাই কাপড় পাচার করার চেষ্টার অভিযোগে ট্রলার-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের লট-৮ জেটিঘাটের কাছে মুড়িগঙ্গা নদীতে। পুলিশ জানিয়েছে ধৃতদের নাম মোজাম শেখ ও পঞ্চু পরামান্ন। তাদের কাছে থেকে ২১ গাঁট কাপড়, একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও দু’ রাউন্ড কাতুর্জ পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পরে ধৃতদের জেরা করে কাকদ্বীপেই কাপড় পাচারের মূল পাণ্ডা কালু শেখের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। কিন্তু সেখানে তাকে পাওয়া যায়নি। তার বাড়ি থেকে দু’রাউন্ড কার্তুজ-সহ একটি রিভলভার উদ্ধার হয়। বুধবার ধৃতদের কাকদ্বীপ আদালতে তোলা হলে বিচারক ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই লট-৮ জেটিঘাট থেকে চোরাই কাপড় ট্রলারে করে বাংলাদেশে পাচার করা হচ্ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার গভীর রাতে পুলিশ ওই ঘাটে হানা দেয়। ঘাটের কাছেই খাজাবাবা নামে একটি ট্রলারে বেশ কিছু কাপড়ের গাঁট পাওয়া যায়। সেখানেই ধরা পড়ে গোসাবার বাসিন্দা পঞ্চু পরামান্ন। তাকে জেরা করে ঘাটের কাছেই একটি গুদাম থেকে আরও কিছু কাপড়ের গাঁট ও এবং আগ্নেয়াস্ত্র-সহ মোজাম শেখকে ধরে পুলিশ। ওই সব চোরাই কাপড় বাংলাদেশে পাচার করা হচ্ছিল কি না বা সেখান থেকে এখানে আনা হয়েছে কি না সে ব্যাপারে তদন্ত চলছে। আটক করা কাপড়ের মূল্য প্রায় ১০ লক্ষ টাকা বলে পুলিশ জানিয়েছে। |
গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • মিনাখাঁ |
মোটরবাইকে বাড়ি ফেরার পথে গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক যুবকের। গুরুতর জখম হন তাঁর স্ত্রী ও ছেলেমেয়ে। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটে মিনাখাঁর দক্ষিণ ঘড়ির মোড়ের কাছে কলকাতা-বাসন্তী সড়কে। মৃতের নাম নজরুল সর্দার (২৬)। বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের কাশীপুরে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নজরুলের শ্বশুরবাড়ি সন্দেশখালির রাজবাড়ি গ্রামে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১০টা নাগাদ তিনি স্ত্রী ও ছেলেমেয়েকে নিয়ে মোটরবাইকে ফিরছিলেন। রাস্তার বাঁকের মুখে দ্রুত গতিতে আসা একটি গাড়ি বাইকটিকে ধাক্কা মারে। নজরুলরা সকলেই ছিটকে পড়েন। তাঁদের মিনাখাঁ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসেকরা নজরুলকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ গাড়িটি আটক করেছে। চালক পলাতক। |
ট্যাক্সির ধাক্কায় মৃত্যু ছাত্রের
নিজস্ব সংবাদদাতা • বনগাঁ |
ট্যাক্সির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক কলেজ ছাত্রের। জখম হয়েছেন তাঁর দুই বন্ধু। বুধবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁর সিকদারপল্লির কাছে যশোহর রোডে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ছাত্রের নাম শঙ্কর ঘোষ (১৮)। তিনি গোবরডাঙা হিন্দু কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তাঁর দু’ই আহত বন্ধুকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় কালুপুর এলাকার বাসিন্দা ওই তিন বন্ধু এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ মোটর সাইকেলে করে বনগাঁ শহরের দিকে আসছিলেন। সেই সময় উল্টোদিক থেকে একটি ট্যাক্সি চাঁদপাড়ার দিকে যাচ্ছিল। সিকদারপল্লি কাছে ট্যাক্সির সঙ্গে সংঘর্ষে মোটর সাইকেল থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়েন তিন বন্ধু। ঘটনাস্থলেই মারা যান শঙ্কর। |
ব্যাঙ্ক থেকে লুঠ ৫ লক্ষ
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
দিনেদুপুরে সোনারপুরের এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে কয়েক লক্ষ টাকা লুঠ করে পালাল দুষ্কৃতীরা। পুলিশ জানায়, বুধবার স্থানীয় পঞ্চবটীতে ওই ব্যাঙ্কের অফিসে পৌঁছয় মোটরবাইক-আরোহী মুখ ঢাকা সাত দুষ্কৃতী। দু’জন গেটের সামনে দাঁড়িয়েছিল। বাকিরা ভিতরে লুঠপাট চালায়। ব্যাঙ্ক-কর্মীরা জানান, ক্যাশিয়ারের মাথায় রিভলভার ঠেকিয়ে ভল্ট থেকে টাকা হাতানোর পরে তাঁদের টাকাও লুঠ হয়। সব মিলিয়ে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা লুঠ হয় বলে পুলিশকে জানান কর্তৃপক্ষ। ব্যাঙ্ক-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে দুষ্কৃতীদের ছবি আঁকাচ্ছে পুলিশ। তাদের হাতের ছাপও সংগ্রহ করা হয়। ঘটনাস্থলে যায় সিআইডি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) কঙ্করপ্রসাদ বারুই বলেন, “কয়েক জন শনাক্ত হয়েছে। তাদের খোঁজ চলছে।” এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে ব্যাঙ্কের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে। পুলিশের দাবি, মাসখানেক আগে ওই ব্যাঙ্কের কর্তাদের বলা হয়েছিল সিসিটিভি এবং বন্দুকধারী নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করতে। তা করা হয়নি। ম্যানেজার সুরজিৎ দত্তের দাবি, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পুলিশের পরামর্শের বিষয়টি জানিয়েছেন তাঁরা। এ দিনই চুরির অভিযোগে বারুইপুর থেকে এক গয়নার দোকানের কর্মী ও তার দুই সঙ্গী গ্রেফতার হয়। মিলেছে চুরি যাওয়া গয়নার প্রায় সবটাই। ধৃত কর্মীর নাম শোভনকুমার রায়। পুলিশ জানায়, গয়নার বাক্স খদ্দেরদের কাছে পৌঁছনোর দায়িত্ব ছিল তার। গত ৯ অগস্ট ৮৭ লক্ষ টাকার গয়নাভর্তি একটি বাক্স পৌঁছতে বেরিয়ে বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের ওই দোকানে আর যোগাযোগ করেনি সে। পরে দোকানের তরফে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। তবে শুধু বিশ্বাসের জোরে এত গয়না কর্মীদের হাতে ছাড়া কতটা যুক্তিসঙ্গত, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। |