দোকানে চুরির চেষ্টা, চোরকে গণধোলাই
চুরি করে আর পালিয়ে যাওয়া হল না। তার আগেই দোকান মালিক ধরে ফেললেন চোরকে। তারপরে চোরকে দিয়েই লন্ডভন্ড দোকান ফের সাজিয়ে তোলা হল। চোর ভেবেছিল কাজ করে দেওয়ার বিনিময়ে হয়তো মুক্তি পাওয়া যাবে। কিন্তু তার বদলে জুটল বেদম মার। মারের চোটে জখম চোরকে শেষ পর্যন্ত পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটে হাবরার সংহতি রেল স্টেশনে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সংহতি স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের ধারে খাতা, পেনসিল, ব্যাগের দোকান রয়েছে পরিমলচন্দ্র মাতব্বরের। এ দিন ভোররাতে দোকানের টিনের বেড়া ভেঙে চুরি করতে ঢোকে পিণ্টু বণিক নামে এক চোর। কিন্তু হাতানোর মতো বিশেষ কিছু না পেয়ে হতাশ হয়ে সে দোকানের ভিতরেই ঘুমিয়ে পড়ে। সাড়ে ৮টা নাগাদ পরিমলবাবু দোকান খুলতে আসেন। দোকানের দরজা খুলেই তিনি দেখেন ঘরের মধ্যে অচেনা লোক। ব্যাপার বুঝতে আর বাকি থাকে না তাঁর। ধরা পড়ার ভয়ে পিণ্টুও তখন বেড়া গলে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তার আগেই ঝাঁপিয়ে চোরকে ধরে ফেলেন পরিমলবাবু। ইতিমধ্যে চিৎকার চেঁচামেচিতে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়ে যায়। ইমিতমধ্যেই পিণ্টুকে দু’চার ঘা লাগিয়ে দেন পরিমলবাবু। লোকজন জড়ো হয়ে যখন পিণ্টুকে গণধোলাইয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে তখন হাতজোড় করে পিণ্টু জানায়, তার বাড়ি হাবরার ২ নম্বর রেলগেট এলাকায়। ছাতার দোকান ভেবে ছাতা চুরি করতেই সে ঢুকেছিল। তাঁরা যেন তাকে না মারধর করেন। বদলে যে কোনও শাস্তিই সে মাথা পেতে নেবে। সবাই মিলে তখন ঠিক হয়, পরিমলবাবুর লন্ডভন্ড দোকানের জিনিসপত্র ফের যে ভাবে ছিল সে ভাবেই সাজিয়ে দেবে পিণ্টু। সানন্দে তাতে রাজি হয়ে কাজে নেমে পড়ে। এক সময় কাজও শেষ হয়ে যায়। এ বার তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলতেই শুরু হয়ে যায় মারধর। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.