ত্রাণের চাল চুরির ঘটনায় অবশেষে ঘাটালের তৃণমূল কাউন্সিলর গণেশ বড়দোলইয়ের নামে মামলা শুরু করল পুলিশ। অভিযুক্তের সন্ধানে তল্লাশিও শুরু হয়েছে।
গত ১ সেপ্টেম্বর ঘাটাল পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির কার্যালয় সংলগ্ন একটি গুদাম থেকে রাতের অন্ধকারে ১০ বস্তা ত্রাণের চাল পাচার করার অভিযোগ উঠেছিল গণেশবাবুর বিরুদ্ধে। তার পর থেকেই অভিযুক্ত কাউন্সিলর-সহ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলনে নামে সিপিএম ও বিজেপি। স্থানীয় বাসিন্দারা সরব হন। অস্বস্তি এড়াতে প্রচারে নামে তৃণমূল। পথসভা করে তারা দাবি করতে থাকে, গোটা বিষয়টিই অপপ্রচার। শেষ পর্যন্ত অবশ্য পুলিশ অভিযুক্তের তালিকায় গণেশবাবুর নাম সংযোজিত করল। স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক শঙ্কর দোলই চাল পাচারের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তবে চাল সরানোর ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত ত্রুটির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।
ওয়ার্ড কমিটির কার্যালয় সংলগ্ন গুদাম থেকে একটি ভুষিমাল দোকানের গুদামে ত্রাণের চাল পাচারের অভিযোগ রয়েছে গণেশবাবুর বিরুদ্ধে। তদন্তে নেমে ভুষিমাল দোকানের মালিক বনমালী সামন্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, বনমালীবাবু জানিয়েছেন, গণেশবাবুর নির্দেশেই চাল সরানো হয়েছিল। সরকারি চাল গুদামে রাখার অপরাধে বনমালীবাবুকেও গ্রেফতার করা হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয় চালের বস্তাগুলি। দোকানটিও ‘সিল’ করে দেওয়া হয়। নিয়মানুযায়ী সরকারি ত্রাণ-সামগ্রী অন্যত্র নিয়ে যেতে হলে প্রশাসনের বা পুরপ্রধানের অনুমতি প্রয়োজন। গণেশবাবু এই ধরনের কোনও অনুমতিপত্র দেখাতে পারেননি। তা ছাড়া, ঘটনার পরে তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছিল, ওয়ার্ড-কমিটির গুদামে জল পড়ে বলেই চালের বস্তা সরানো হয়েছিল। পুলিশ অবশ্য তদন্তে জেনেছে, ওই গুদামটিতে বৃষ্টির জল পড়ার সম্ভবনা নেই। তার উপর সেখানে এখনও ৯ বস্তা চাল রয়েছে। এ সব দেখে পুলিশ নিশ্চিত চাল সরানো হয়েছিল কোনও অসৎ উদ্দেশ্যে। এ দিকে বিতর্ক শুরু হতেই গণেশবাবু বেপাত্তা হয়েছেন। |