মেদিনীপুরে ময়নাতদন্ত হল মৃত বন্দির দেহের
মলুক সাবজেলে অস্বাভাবিক ভাবে মৃত বিচারাধীন বন্দি সুশান্ত বেরার দেহের ময়নাতদন্ত হল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সাব-জেলের ভিতরে শৌচাগার সংলগ্ন একটি ঘরে জানলার শিক থেকে গলায় গামছা বাঁধা অবস্থায় ওই বন্দির দেহটি নজরে আসে মঙ্গলবার সকালে। কারারক্ষীরা দেহ উদ্ধারে গেলে অন্য বন্দিরা বাধা দেন। জেলের ভিতরে নানা অব্যবস্থা ও নির্যাতনের অভিযোগ তুলে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। নির্যাতনের পরিণতিতেই ওই বন্দির মৃত্যু হয়েছে বলে বিক্ষুব্ধ বন্দিরা অভিযোগ তোলেন। মৃতের পরিজনেরাও একই অভিযোগে সরব হন। পরিস্থিতি সামলাতে সাবজেলে যান পুলিশ-প্রশাসনের আধিকারিকরা। কারা বিভাগের এআইজি, ডিআইজিরাও বিক্ষুব্ধ বন্দিদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন ।
সেই আলোচনার পর মঙ্গলবার বিকেলে মৃত বন্দির দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও সেখানকার শব-ব্যবচ্ছেদের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ময়নাতদন্ত করতে অস্বীকার করেন। দেহটি কলকাতা বা অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার সুপারিশ করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত বুধবার মেদিনীপুর মেডিক্যালে বন্দির দেহের ময়নাতদন্ত হন। তমলুক সাব-জেলের সুপার তথা মহকুমাশাসক বাসব বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছেন, জেলে অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় নিয়মানুযায়ী বিচারবিভাগীয় তদন্তও হবে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভগবানপুরের জগমোহনপুর গ্রামের বাসিন্দা সুশান্ত ছিলেন ডাক বিভাগের কর্মী। কর্মসূত্রে কোলাঘাট থানার মাছিনানে স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে থাকতেন। গত জুলাইয়ে আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় স্ত্রী দেবশ্রীর। বধূর পরিবার সুশান্ত ও তাঁর বাবা-মা-বোনের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগ দায়ের করেন। সুশান্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিচারাধীন বন্দি হিসাবে গত ১৫ জুলাই থেকে তমলুক সাব-জেলেই ছিলেন তিনি। শুক্রবারই তাঁকে আদালতে হাজির করানোর কথা ছিল। তার দু’দিন আগে অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় কারা-কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। কী ভাবে ওই বন্দি রক্ষীদের চোখ এড়িয়ে গামছা নিয়ে শৌচাগারের পাশের ঘরে গেলেন, জানলার শিক থেকে গলায় গামছা জড়িয়ে মৃত্যু সম্ভব কি না, সেই প্রশ্নও উঠেছে।
আবগারি অভিযান। বেআইনি মদের কেনাবেচা বন্ধে লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা আবগারি দফতর। গত দু’মাসে ১০ হাজার লিটার চোলাই, প্রায় দেড় লক্ষ লিটার মদ তৈরির উপকরণ নষ্ট করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে নানা সরঞ্জাম। ২৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জেলা আবগারি সুপারিনটেনডেন্ট পরিমলকান্তি দত্ত বলেন, “বেআইনি মদ বিক্রি বা তৈরির খবর পেলেই হানা দেওয়া হচ্ছে। কোথাও বেআইনি মদ বিক্রি করা যাবে না। লাগাতার তল্লাশি চলবে।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.