দলের জন্ম এক দশকেরও বেশি আগে। বর্তমানে তারা রাজ্যের শাসকদলও বটে। অথচ পশ্চিম মেদিনীপুরে তৃণমূলের এখনও কোনও নির্দিষ্ট জেলা কার্যালয় নেই। অর্থ-সঙ্কটই এ ক্ষেত্রে বাধা। তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায় বলেন, “দলের জেলা কার্যালয় তৈরি করতে অনেক টাকা প্রয়োজন। অত টাকা খরচ করার সামর্থ্য দলের নেই। তাই জেলা কার্যালয় গড়ে তোলা যায়নি।”
বর্তমানে ফেডারেশন হলের একটি ঘরেই বসছেন জেলা সভাপতি। সেখান থেকেই চলছে জেলাস্তরের সাংগঠনিক কাজকর্ম। সম্প্রতি অবশ্য জেলা কার্যালয় তৈরির তোড়জোড় শুরু হয়েছে। চলছে জমি দেখা। ভাড়া বাড়ির খোঁজও নেওয়া হচ্ছে। বাসস্ট্যান্ড বা স্টেশন লাগোয়া এলাকায় কম ভাড়ায় বাড়ি পাওয়া গেলে আপাতত সেখানেই জেলা কার্যালয় হবে। দীনেনবাবুর কথায়, “ভাড়া বাড়ির খোঁজ চলছে। কিন্তু ভাড়ার অঙ্কও এত বেশি যে তা নেওয়া যাচ্ছে না। কম ভাড়ায় বাড়ি পেলে আপাতত কাজ চালিয়ে নেওয়া যেত।”
তৃণমূলের জন্মলগ্নে দীনেন রায়ই যখন জেলা সভাপতি ছিলেন, তখন মেদিনীপুরে এলআইসি চকের কাছে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে ছিল দলের অফিস। মৃগেন মাইতি জেলা সভাপতি হওয়ার পরে ফেডারেশন অফিস থেকে দল চালাতেন। আর প্রণব বসু জেলা সভাপতি থাকাকালীন বিএড কলেজের পাশে একটি ঘরেই ছিল জেলা কার্যালয়। এখন দীনেনবাবুই ফের জেলা সভাপতির ভূমিকায়। তবে আগে যে পরিত্যক্ত ঘরে তিনি অফিস চালাতেন, সেটি আর ব্যবহারের যোগ্য নেই। ঘরের মালিকানা নিয়েও বিবাদ রয়েছে। তবু বাইরের বারান্দায় বসে ক’দিন দল চালিয়েছিলেন দীনেনবাবু। শেষ পর্যন্ত ফেডারেশন হলের একটি ঘরেই অফিস করেছেন।
এ দিকে, নির্দিষ্ট জেলা কার্যালয় না থাকায় তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা পড়েছেন বিড়ম্বনায়। একেই দলে একাধিক গোষ্ঠী। তাদের মধ্যে দ্বন্দ্বও নিত্যদিনের। এর জেরে কর্মী-সমর্থকরা সব নেতার কাছে সরাসরি যান না। জেলা সভাপতি বদলের সঙ্গে সঙ্গে জেলা কার্যালয়ের ঠিকানা পাল্টে যাওয়ায়, এই সমস্যা বেড়েছে। তা ছাড়া, ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট এমপ্লয়িজ ফেডারেশনের অফিসে কেন দলের জেলা কার্যালয়ের অফিস থাকবে, তৃণমূলের অন্দরেই সেই প্রশ্ন উঠেছে। এ নিয়ে দলীয় নেতাদের মধ্যে বিতর্কও হচ্ছে। তৃণমূলেরই এক নেতার কথায়, “আমাদের দলের একাধিক গোষ্ঠীর কথা সকলেরই জানা। দলের নিজস্ব অফিস না থাকায় এক গোষ্ঠীর অফিসে অন্য গোষ্ঠীর সমর্থকরা যেতে পারছেন না।” এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের সব কর্মী-সমর্থকই চাইছেন, একটি নির্দিষ্ট জেলা কার্যালয়। প্রয়োজন বুঝেছেন জেলা সভাপতিও। দীনেনবাবুর কথায়, “মানুষের থেকে অল্প অল্প অর্থ সাহায্য নিয়ে চেষ্টা করব যাতে ছোট হলেও একটি জেলা কার্যালয় তৈরি করা যায়।” বিমা সপ্তাহ পালন। বিমা সপ্তাহের শেষ দিন, বুধবার খড়্গপুর শহরে একটি মোটরবাইক র্যালির আয়োজন করেছিল এলআইসি-র ইন্দা শাখা কার্যালয়। সংস্থার তরফে স্নেহাশিস মুখোপাধ্যায় জানান, বিমা সপ্তাহ উপলক্ষে সাত দিন ব্যাপী নানা কর্মসূচি শুরু হয়েছিল ১ সেপ্টেম্বর। রক্তদান শিবিরের পাশাপাশি ক্যুইজ, বসে আঁকো প্রতিযোগিতার আয়োজন ছিল। ট্রাফিক নিয়ে এ দিন খড়্গপুরের ইন্দা লোকাল থানা মোড়ে সচেতনতা কর্মসূচিরও আয়োজন করা হয়েছিল। সহযোগিতায় ছিল খড়্গপুর ট্রাফিক পুলিশ বিভাগ ও ট্রাফিক রিক্রিয়েশন ক্লাব। পরিচালনা করেন অজিত গুপ্ত। |